ভেজাল খাবার
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে ভেজাল খাবার সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
একটা জিনিস কি কখনো লক্ষ্য করে দেখেছেন। বর্তমান সময়ের মানুষের গড় আয়ু অপেক্ষা পূর্বের মানুষের গড় আয়ু অনেক বেশি ছিল। এছাড়াও বর্তমান সময়ে যেসব রোগ আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে কিন্তু পূর্বে মানুষের এত রোগ ব্যাধি কখনো ছিল না। আসলে এসব কিছুই সৃষ্টি হচ্ছে মানুষের ভেজাল জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে। আসলে বাজারে ভেজাল ছাড়া এখন কোন খাদ্য পণ্য আর পাওয়া যায় না। এছাড়াও পূর্বের মানুষেরা অনেক শক্তিশালী ছিল এবং তারা অনেক বয়স অব্দি কঠোর পরিশ্রম করতে পেরেছে। এমন এমন মানুষ ছিল যারা একদম মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং মৃত্যুর আগে অবধি তাদের শরীরে কোন রোগ ছিল না। আসলে বর্তমান সময়ে আমরা দেখেছি যে আমাদের ঠাকুরদাদা অর্থাৎ বাবার বাবা যারা ছিলেন তারা কিন্তু অনেক বয়স অব্দি আমাদের পৃথিবীতে রয়ে গেছেন।
কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষের গড় আয়ু কমতে শুরু করেছে। আসলে এই গড় আয়ু কমার সবথেকে প্রধান কারণ হলো মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ভেজাল পণ্য অর্থাৎ ভেজাল জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করছে। আসলে আপনি বাজারের ফলমূল থেকে শুরু করে শাকসবজি এমনকি মাংস পর্যন্ত ভেজাল ঢুকে গেছে। আসলে ছোট্ট একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। আপনারা সবাই হয়তোবা দেখেছেন যে কলার দোকানগুলোতে যতদিন না পর্যন্ত কলা থাকে ততদিন ওই কাল রংয়ের কোনো পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ আপনি এক সপ্তাহ আগে যে কলাটি হলুদ রঙের দেখবেন এবং এক সপ্তাহ পরে সেই কলাটির রং সেই একই রকম অর্থাৎ কোনরূপ কোন পরিবর্তন হবে না কালারের।
এর কারণ হলো ওই দোকানদার প্রতিদিন সন্ধের সময় ওই কলায় কার্বাইড জল দ্বারা ধুয়ে রেখে দেয়। আসলে আমরা সবাই জানি যে কার্বাইড এমন একটা জিনিস যে তরলের মধ্যে আমরা যদি কোন প্রাণীর মৃতদেহ হাজার হাজার বছর রেখে দিই তাহলে ওই মৃতদেহে কোনো প্রকার ব্যাক্টেরিয়া আক্রমণ করতে পারবে না। অর্থাৎ প্রথম অবস্থায় যে রকম থাকবে সেই একই রকম অবস্থা হাজার হাজার বছর পরেও থাকবে। তাহলে বুঝুন এই কার্বাইড যদি ফলে ব্যবহার করা হয় তাহলে সেই ফল যদি আমরা খাই তাহলে এই কার্বাইড এর বিষক্রিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। আর এর ফলে আমাদের শরীরে সৃষ্টি হয় মারাত্মক ক্যান্সারের ভাইরাস।
এছাড়াও আমরা যখন বাজারে বাজার করতে যাই অর্থাৎ সবজির বাজারে যাই তখন দেখি যে সবজিগুলো একদম সতেজ রয়েছে। এই সবজিগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী অর্থাৎ দীর্ঘক্ষণ সতেজ রাখার জন্য তারা এইসব সবজিতে বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল জাতীয় তরল স্প্রে করে। যার ফলে এই কেমিক্যাল অনেক দিন পর্যন্ত সেই সবজির উপরে কার্যকারী থাকে এবং সেসব সবজি অনেক দিন পর্যন্ত সতেজ থাকে। আসলে বাজারের এখন প্রতিটি পণ্য বিষক্রিয়ায় ভরে গেছে। আর এভাবে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক জিনিস খেতে খেতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু বাসা বাঁধছে এবং বিভিন্ন মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও মাছকে তাজা রাখার জন্য মাছ এবং মাংস কার্বাইড জল দ্বারা পরিষ্কার করা হয়।
এছাড়াও এসব পশু পাখিকে যেসব ধরনের খাবার খাওয়াচ্ছে সেসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ। আসলে আমরা পূর্বে দেখেছি যে, যে গরু থেকে আমরা এক লিটার দুধ পেতাম সেই গরুর থেকে নাকি এখন দিনে ছয় থেকে সাত লিটার দুধ পাওয়া যাচ্ছে। কারণ ওই সব গরুদেরকে বিভিন্ন রাসায়নিক জাতীয় ওষুধ খাবারের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত দুধ পাওয়ার জন্য। আর মানুষ এখন এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে মানুষের উপায় নেই যে মানুষ বাড়িতে এইসব শাকসবজি এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফলমূল চাষ করে খাবে। তাই মানুষ বাধ্য হয়ে বাজারে গিয়ে এইসব খারাপ পণ্য কিনে খেতে হচ্ছে এবং এতে করে তাদের গড় আয়ু দিন দিন কমে যাচ্ছে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বর্তমানে সর্বত্রই ভেজালের ছড়াছড়ি। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যে যে পরিমাণ ভেজাল মিশ্রণ করতেছে যার ফলে মানুষ ডে বাই ডে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আগেরকার মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুস্থ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে খুব অল্প বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যার কারণ হচ্ছে খাদ্যের মধ্যে কার্বাইড মিশ্রণ। আমরা সকলেই জানি, কার্বাইড এমন একটা জিনিস যে তরলের মধ্যে আমরা যদি কোন প্রাণীর মৃতদেহ হাজার হাজার বছর রেখে দিই তাহলে ওই মৃতদেহে কোনো প্রকার ব্যাক্টেরিয়া আক্রমণ করতে পারবে না। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।