মা বাবার পরিশ্রম

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে মা বাবার পরিশ্রম সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক

আসলে আমাদের এই পৃথিবীতে আমরা জন্মগ্রহণ করি তখন আমাদের মা-বাবাদের দায়িত্ব অনেকটা বেশি বেড়ে যায়। যদিও আমাদের জন্মের আগে থেকে মা-বাবা সবসময় চেষ্টা করে যে আমাদের জন্মের পর আমরা যেন কোন কষ্ট না পাই। আসলে আমাদের জীবনে প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাদের মা-বাবাদের অবদান অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা আমাদের বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে মোটেও শৈশবকালে বুঝতে পারি না এই মা-বাবাদের জন্য। যখন আমরা এই পৃথিবীর মুখ দেখি তারপর থেকে মা-বাবার দায়িত্ব দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। কারণ তারা যত কষ্ট পাক না কেন তারা কখনো চায় না যে আমরা জীবনে কষ্ট পাই। আর এজন্য তারা সব সময় দিন রাত অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম করে।



আসলে আমরা আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করি তখন এই বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের চাহিদাও অনেক অংশ বৃদ্ধি পায়। কারণ ছোটবেলায় আমাদের এক ধরনের চাহিদা থাকে এবং আর একটু যখন বড় হই তখন আমাদের চাহিদা আরেক ধরনের হয়ে থাকে। তাইতো সময়ের সাথে সাথে আমাদের চাহিদা পরিবর্তন হতে থাকে এবং বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই মা বাবা আমাদের মাথার উপর বটক বৃক্ষে ছায়ার মত সবসময় থাকে। আমাদের সামনের দিকে কোন অসুবিধা না হয় তাই তারা আগে থেকেই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথকে সুন্দর করে তোলে। আসলে আমরা কখনো বুঝতে পারি না যে তারা আমাদের অজান্তেই আমাদের জন্য এত কিছু করে যাচ্ছেন।

আবার যদি কোন অসুবিধার সৃষ্টি হয় তখন সেই অসুবিধার মোকাবেলা আমাদের মা-বাবা করে থাকে। আসলে জীবনে যতদিন না পর্যন্ত আমরা কর্মক্ষেত্রে যোগদান না করি ততদিন পর্যন্ত মা-বাবা আমাদের দেখাশোনা করেন। আসলে তাদের জন্য আমরা কখনো কোন কষ্ট অনুভব করতে পারি না। কিন্তু আমরা যখন বড় হয়ে কাজকর্ম করি তখন আমরা যদি আমাদের মা-বাবাকে না দেখাশোনা করি তাহলে এর থেকে বড় পাপ আমরা মনে হয় আর পৃথিবীতে একটিও করব না। আসলে মা বাবা যেমন আমাদেরকে কখনো তাদের কষ্ট বুঝতে দেননি। তেমনি আমরা বড় হয়েও আমাদের দুঃখ কষ্ট কখনো আমাদের মা-বাবাকে বুঝতে দেব না।



আসলে আমাদের যতই অসুবিধা থাকুক না কেন আমরা কিন্তু সব সময় মা-বাবার সামনে হাসিমুখে থাকবো। আর মা বাবার যত চাহিদা রয়েছে সবগুলো আস্তে আস্তে পূরণ করার চেষ্টা করব। কারণ ছোটবেলায় এই মা-বাবা কিন্তু আমাদের সকল চাহিদা নিমিষেই পূরণ করে দিয়েছে। যদিও আমাদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে তাদের নিজেদের অনেক চাহিদা অপূরণ থেকে গেছে। তাইতো আমাদের উচিত বড় হয়ে যখন আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজকর্ম করব তখন থেকে মা বাবার সেই অপূরণ করা চাহিদা গুলো আমরা পূরণ করতে চেষ্টা করব। আসলে আমাদের কাছে মনে হয় যে মা-বাবাই হলো আমাদের স্বর্গ। তাইতো আমরা তাদেরকে কখনো কষ্ট দেবো না।


আর এজন্য আমাদের মা-বাবাকে সুখে রাখা অবশ্যই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কারণ এই পৃথিবীতে যাদের মা-বাবা কাছে থাকে তাদের মত সুখী মানুষ আর এই পৃথিবীতে একটিও হতে পারে না। আসলে এই মা-বাবা যখন আমাদের কাছে থাকবে না তখন আমাদের জীবনটা কেমন যেন একাকী হয়ে যাবে। মনে হবে যেন আমাদের মাথার উপর থেকে ছাদটা সরে গেছে। তাইতো আমরা সময় থাকতে মা-বাবাকে কখনো কোন কষ্ট দেবো না। যদিও আমরা মনের ভুলে মা-বাবাকে কখনো কষ্ট দিয়ে ফেলি তাহলে সাথে সাথে আমরা মা-বাবার কাছে ক্ষমা চাইবো। কারণ কোন মা বাবা কখনো সন্তানের প্রতি রাগ করে থাকতে পারেন না।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Sort:  
 4 months ago 

খুবই বাস্তবসম্মত এবং চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমাদের জন্ম থেকে শুরু করে সবকিছুতেই মা বাবার অবদান অনস্বীকার্য। উসিলা স্বরূপ ওনাদের কারণেই দুনিয়াতে আসা, উনারা আমাদের ভরণপোষণ থেকে শুরু করে সবকিছুই করেন।
তাই আমাদের উচিত ওনাদের সাথে সবসময়ই ভালো আচরণ করা। উনারা যেন কোন আচরণে কষ্ট না পায় সে দিকে খেয়াল রাখা।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60836.32
ETH 2449.94
USDT 1.00
SBD 2.65