তৃতীয় লিঙ্গের লোকজনের চাঁদাবাজি।

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আজকে পত্রিকায় খবর পড়তে গিয়ে ছোট্ট একটি খবরে চোখ আটকে গেলো। খবরটি ছিল তৃতীয় লিঙ্গের পাঁচজনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে একমাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাদেরকে আটক করা হয়েছিলো এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে। সেখানে তারা নাকি বিভিন্ন গাড়ি রাস্তার ভেতরে আটকে তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছিলো। খবরটি দেখে আমার বেশ ভালো লাগলো। অনেকে হয়তো অবাক হতে পারেন। ভাবতে পারেন তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের প্রতি আমার মনে মনে হয় কোন ক্ষোভ রয়েছে। আসলে ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। বাংলাদেশের তৃতীয় লিঙ্গের এই লোকগুলোর প্রতি এক ধরনের সামাজিক বৈষম্য রয়েছে এটা সত্য কথা। আবার সরকার থেকেও এদের জন্য তেমন কিছু করা হয়নি কখনোই।

তৃতীয় লিঙ্গের লোকজনের চাঁদাবাজি_20240408_092517_0000.png

এই বঞ্চনার ফলে এরা লাগামহীন হয়ে পড়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের প্রতি আমার মনে কোন আলাদা করে ক্ষোভ বা বিদ্বেষ নেই। তবে ইদানিং তারা যেটা করছে সেটা নিয়ে আমার প্রবল আপত্তি রয়েছে। এই চাঁদাবাজি যে শুধু তারা এয়ারপোর্ট এলাকায় করে তা নয়। এরা যেখানে সুযোগ পায় সেখানেই বাসের ভিতরে উঠে, ট্রেনের ভেতরে উঠে রীতিমতো জোর করে আপনার কাছ থেকে টাকা আদায় করবে। আর যদি কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তার সাথে এমন নোংরা ব্যবহার শুরু করে যেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাদের এই নোংরা ব্যবহারের ভয়ে সকলে তারা চাওয়া মাত্রই টাকা দিয়ে দেয়। তাদের এই ধরনের ব্যবহার নিয়ে আমার ঘোর আপত্তি রয়েছে। এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তারা আরো একটা কাজ করে যেটা খুবই ভয়াবহ। কোন বাসায় নতুন বাচ্চা হলে সেখানে গিয়ে তারা মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। সেই চাঁদার টাকা না পেলে তারা বাড়িঘর ভাঙচুর পর্যন্ত করে। সেই সাথে বাচ্চাটাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই ধরনের কাজকে আমার কাছে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে হয়।


তাদের কারণে মানুষ ভয়ানক ভীতিগ্রস্ত অবস্থায় থাকে। আবার এদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও তেমন একটা ব্যবস্থা নেয় না। যার ফলে এরা জনমনে প্রবল আতঙ্ক সঞ্চার করেছে। তবে এইভাবে যদি এখন থেকে এদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে তাহলে আশা করি এদের এই চাঁদাবাজিটা কমে যাবে। এরা আর মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়ার চেষ্টা করবে না। সেই সাথে আমি এটাও আশা করি সরকার থেকেও এদের জন্য নানা রকম পদক্ষেপ নেবে। যাতে এরাও একটা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। আর সামাজিকভাবে আমাদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমরাও যেনো তাদের প্রতি কোন বৈষম্যমূলক আচরণ না করি। তাদের কেও যেন সমাজের স্বাভাবিক অংশ হিসেবে বিবেচনা করি। তাহলে আশা করি এই সমস্যাটার একটা স্থায়ী সমাধান হবে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 9 months ago 

ভাই এটা শুধু এয়ারপোর্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ না। বাংলাদেশের সব এলাকাতেই লক্ষ্য করা যায় ট্রেনে বলেন লঞ্চঘাটে বলেন সব জায়গাতেই তাদের এই অত্যাচার সহ্য করতে হয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96328.68
ETH 2809.86
SBD 0.67