পাপ পুণ্য মুভি রিভিউ চঞ্চল চৌধুরী....
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল সদস্য ও এডমিন পেনেলের সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। হিন্দু ভাই বোনদের জানাই নমস্কার, মুসলিম ভাই বোনদের জানাই আদাব ও অন্নান ভাই বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আমি নতুন আমার কিছু ভূল ত্রটি হলে সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। যাই হোক আজকে যে বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট লিখা, তাহলো মুভি রিভিউ।
মুভির নামঃ পাপ পূর্ণ
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
সময়ঃ ২ ঘন্টা ০৬ মিনিট
প্রথমেই সুন্দর একটা দৃশ্য দিয়ে শুরু হয় ছবিটি। নদীর তীরে বিচার বসে, একটা মেয়েকে দর্শন করা নিয়ে। একজন নেতার বাতিজা সে এলাকার একটা মেয়েকে দর্শন করে। চঞ্চল চৌধুরী হলো সেই এলাকার চেয়ারম্যান। সে খুবই সৎ ও উদার মনের মানুষ, তার পিএস থাকে আল-আমিন (সিয়াম) । চেয়ারম্যান বিচার করে পুলিশের কাছে দিয়ে দেন।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
এই দিকে তার মেয়ে আল-আমিন এর প্রতি ক্রাশ খেয়ে বসে আছে, ইশারা ইঙ্গিত এ বুঝাতে চায় সে তাকে সব সময় চায়। একদিন মেয়েটা শাড়ী পরে ছাদে পোস নিয়ে দাড়িয়ে আছে , তাকে বুঝালো সে বড় হইছে। পরে থেকে আল-আমিন ও পটে গেল।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
এখন চলছে শুধু রোমাঞ্চ, প্রেম গল্প নিয়ে ব্যস্ত তারা। কিছু দিনের মধ্যেই তাদের প্রেম মজবুত হয়ে উঠে, রাতে রাতে দেখা করে। আল-আমিনরে মা টের পেয়ে যায়। আল-আমিন-কে মিশতে না করে। কে শুনে কার কথা, প্রেম কি এইগুলা মানে।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
পরিশেষে তার মা পুকুরঘাটে বেগম সাহেবাকে সব কিছু বলে। আমার আল-আমিন এর কোন দোষ নেই, সব দোষ আপনার মেয়ের।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে আল-আমিন-কে বিদেশ পাঠিয়ে দিবে। এই দিকে বিচারে নেতার মানসম্মান দুলিসাত করার কারনে চেয়ারম্যান এর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। বিদেশ চলে যেতে হবে আল-আমিন-কে, শহরের উদেশ্য যাচ্ছ দুজনে।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
স্টেশনে দুইজন লোক একটা ট্রাংক উঠিয়ে দিয়ে বললো, সামনে স্টেশনে আমাদের লোক নিয়ে নিবে। ট্রেনে পুলিশ বললো এটা কার, চেয়্যারম্যান বললো আমার।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
তারা দু-জনে হোটেলে যায়, আল-আমিন বলে তার মেয়েকে চায়। কিছু কথা বার্তার চলে, এক সময় চেয়্যারম্যান রাগের মাথায় তার মাথায় কাচের বোতল দিয়ে আঘাত করে। সে মারা যায়, তাকে এক বেগ ভরে তাকে নদীতে ফেলে দেয়।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
এই দিকে ঐ টাংকের ভীতরে পাওয়া যায় একটা লাশ। পুলিশ বলছে টাংকটি চেয়্যাম্যান এর। তাকে পুলিশে ধরে নিয়ে যায়,অনেক মারধর করে। তখন সে প্রতি ক্ষণে আল-আমিনকে মিস করে। চেয়্যাম্যান এর ফাঁসি হয়।
আমার মতামত,
আমার কাছে শুরুটা ভালোই লাগছে, কিন্তু শেষটা বেশী ভালো লাগে নাই। সব অপরাধীদের কোন সাজা হলো না। যদি তাদের মিলিয়ে দেয়া হতো তাহলে আরেকটু ভালো হতো। অসৎ লোকদের সাজা দেওয়া উচিত ছিলো। যাই হক, আপনারা যদি মুভিটি যদি কেউ দেখে থাকেন তাহলে কমেন্ট করে মেতামত জানাবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং ৭/১০
মুভির টাইটেল-
এই সিনেমাটা নিয়ে অনেক পজিটিভ কথা শুনেছি। সেটা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছে। তবে আপনার এই রিভিউ পড়ার পর সেই আগ্রহটা আরো বেড়ে গেলো। চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই মুভিটায় সিয়ামের অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সিয়ামের নাটক মুভি আমি সবই দেখি। এই মুভিটির শেষের দিকে খুবই খারাপ লাগে। সিয়াম মারা যায় এটা কষ্টকর।
আমি যদিও এই সিনেমাটি এখন পর্যন্ত দেখিনি তবে কয়েকটি খন্ড অংশ দেখেছি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সময়ের অভাবে দেখতে পারছি না ।আমাদের মাঝে সংক্ষিপ্ত আকারে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।