সবজির সাথে মাশের ডাল দিয়ে নিরামিষ রেসিপি....
সবাই কেমন আছেন, আশা করি ভালো আছেন, আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভিন্ন এক রেসেপি নিয়ে হাজির হয়েছি। ডাল সবজির রেসেপি ভিন্ন এক স্বাধ। মা একদিন রান্না করেছিলো খেতে দারুন। তাই আমি নিজে রান্না করার চেষ্টা করলাম। রাধা অষ্টমীর উপবাস ছিলাম, পারণের দিন নিরামিষ খেতে হয়, স্ত্রী-কে বললাম আজকে আমি রান্না করবো ,সে আমাকে কাজে সাহায্য করলো।
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
মিষ্টি আলু | ২ টা |
লাউ | পরিমান মতো |
আলু | ৫ টি |
কচুর মুখি | ১টা |
ডাটা | ১ টি |
পটল | ২টা |
পেঁপে | ১ টি |
পুঁই শাক | ১ টি শাখা |
পাঁচফোঁড়ন | পরিমান মতো |
জিরা | পরিমান মতো |
তেজ পাতা | ২টি |
শুকনো মরিচ | ২টি |
কাচাঁ মরিচ | পরিমান মতো |
লবণ | স্বাদ মতো |
হলুদ ফাকি | ১ চা-চামচ |
মরিচ ফাকি | ১.৫ চা-চামচ |
তেল | পরিমান মতো |
আদা | ১ টুকরো |
মাশের ডাল | ১/২ কাপ |
ধাপ ১।
প্রথমে চুলা জালিয়ে কড়াইয়ে তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে তেজ-পাতা, শুকনা মরিচ, জিরা-মসলা দিয়ে দিলাম। ভালো নাড়িয়ে ভেঁজে নিয়েছি।
ধাপ ২।
তারপর হলুদ-মরিচ গুড়ো, লবণ দিয়ে সবজি গুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে, পরিমান মতো জল দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ ৩।
কিছু ক্ষণ পর একটু নাড়িয়ে দিতে হবে, যাতে করে সব গুলো সবজি সিদ্ধ হয়।
ধাপ ৪।
কাচা মরিচ ও আদা গুলো দিয়েছি। আমি একটু ঝাল পছন্দ করি তাই কাঁচা মরিচ বেশি দিয়েদিলাম।
ধাপ ৫।
তার পরে ডাল গুলো সবজির উপরে ছড়িয়ে দিয়েছি। ডাল মোটামুটি সিদ্ধ হওয়ার পরে জিরা-মসলা ভাটা দিয়ে দিলাম। কিছু ক্ষণ পরে নামিয়ে নিলাম। ডাল গুলো সবজির গায়ে লেগে আছে।
আমি আগে রান্না করি নাই, মেসে থাকার সময় একটু ভাত, ডিম ভাজি এছাড়া কিছু করা হয় নাই। নিজে রান্নার করার একটা মজা আছে যা আমি প্রথম অনুভব করিলাম। আমার স্ত্রী আমাকে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছেন,কোন সময় কি দিতে হবে। অনেক কিছু শেখার আছে। আমার বাংলা ব্লগে না আসলে মনে হয় অনেক কিছু শেখা বাকি রয়ে যেত। আমার বাংলা ব্লগ কমিনিউটির সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
লেখা-লেখি করবো বাংলা ভাষায়,
”আমার বাংলা ব্লগ” কমিনিউটি-তে এটাই আমার আশা।।
সবজি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের মিশালি সবজি খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। মাসকলায় দিয়ে সবজি কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম। একদিন বাসার ট্রাই করে দেখব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য
বিভিন্ন সবজি দিয়ে নিরামিষ খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। এই নিরামিষ আমি শীতের দিন খেতে অনেক পছন্দ করি। কিন্তু মাশের ডাল কি ঠিক চিনলাম না দাদা।আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করেছেন। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দেখেন তো আপু চিনতে পারেন কিনা।।।
সবজি বরাবরই আমার খুব পছন্দের। এবং তার সাথে যদি হয় অনেক প্রকার সবজি এবং ডাল তাহলে কোন কথাই নেই। আমার তো খুব ভালো লেগেছে আপনার রান্না।
রেসিপিটি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, এতে করে সবজির টেস্ট আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। খুবই সুন্দর এবং ইউনিক একটি রেসিপি ছিল শুভকামনা আপনার জন্য।
সবজি খেতে ভিশন মজা লাগে আমার কাছে। সবজি হলে আমার অন্য কোন তরকারী দরকার হয় না। সবজি রান্নার মধ্যে মাশের ডাউল একটু বেশি করে দিয়ে রান্না করলে বেশি মজা হয়। সবজি রান্নার পদ্ধতি টা সহজ ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ছেলে বা মেয়ে সবাইকে সব কিছু শিখে রাখা দরকার কখন কার দরকার পরে বলা যায়।ভবিষ্যতে আপনার আরো রেসিপি দেখতে পাবো আশা করি।
আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো। রান্নাতে আনন্দ আছে। দোয়া করবেন, আপনাদের অনুপেরনা পেলে চেষ্টা করবো।।। ধন্যবাদ আপু...