বনের বাঘ নাকি মনের বাঘ? 10% to @shy-fox & 5% to @abb-school.
হ্যালো সবাইকে।
আশা করি সবাই ভালো আছেন।
হরহামেশাই আমরা বিভিন্ন রকম চিন্তা মাথায় রেখে শুধু শুধু ভয়ের মধ্যে থাকি। কেউ কেউ হয়তো জানিও যে এর কোন বাস্তব প্রতিফলন নেই বা থাকার সম্ভাবনাও শুণ্যের কোঠায়। তারপরও একটা ভীতি নিয়ে অনেক সময় আমরা কাটিয়ে দেই। যেমন ধরুণ গানের গলা আপনার মোটামুটি আছে, আপনি একটু চাইলেই গান গাইতে পারেন। প্রফেশনাল গায়ক-গায়িকাদের মতো হয়তো হবে না তবে খুব যে একটা হযবরল হবে তাও না। কিন্তু আপনার মনে শুধু শুধুই এমন চিন্তা ভর করে যে, "ধুর, এই গলা নিয়ে যদি মানুষের সামনে গাইতে যাই খুব একটা লজ্জায় পড়বো"। আদতে তা নাও হতে পারে। আপনি নিজেকে একবার জিজ্ঞেস তো করে দেখবেন যে, " কোন দিন কি কারো সামনে গান গাওয়ার মতো করে গেয়ে কটুক্তি শুনেছেন?" হয়তো শুনে থাকেন নি। তাহলে চিন্তা কিসের? একবার গেয়ে দেখান। আপনি যেমন টি ভাবছেন তাতো নাও হতে পারে।
মার্ক টয়েন একটা কথা বলেছিলেন যে-
এগিয়ে যাওয়ার রহস্য হচ্ছে শুরু করে দেয়া।
আপনি যদি শুরু নাই করেন তাহলে এগিয়ে যাবেন কিভাবে? সামনে হয়তো আপনার গর্ত থাকতেই পারে। আপনি না এগুলে তো তা দেখার সুযোগ পাবেন না। এগিয়ে গিয়ে দেখুন। দেখে কিভাবে তা পার করা যায় তা নিয়ে ভাবুন। আগেই ভাবার কোন দরকার নেই এগিয়ে না গিয়ে।
সেনেকার একটা বিখ্যাত উক্তি -
We suffer more often in imagination than in reality.
আমরা আমাদের চিন্তাকে মাঝে মাঝে এতো বেশি সংকোচিত করে ফেলি যে সেই সংকোচিত চিন্তার বেড়াজালে আমরা আটকে যাই। তেমন কিছু করার থাকে না বা করার থাকলেও করতে ইচ্ছা করে না পাছে লোকে কি বলবে। আবার এমনও হয় এমন সব চিন্তা করি যার আসলে বাস্তবে কোন ভিত্তি নেই এবং সেটা নিয়ে দুঃখী থাকি অনেক সময়। আমার সেই অষ্টম শ্রেণির কথা মনে পড়ে যায় এখনো মাঝে মাঝে। জে,এস,সি পরীক্ষা। রোল নাম্বার, রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার গোল্লা ভরাট করে পূরণ করতে হতো। গোল্লা সব পরীক্ষায় সঠিনভাবেই পূরণ করতাম। কিন্তু তাও পরীক্ষা শেষে প্রচুর চিন্তা হতো যদি কোথাও ভুল করে থাকি! একটু ভুল হলে তো আমার রেজাল্ট আসবে না। রেজাল্ট না আসলে তো পাশ করা আর হবে না। পাশ যদি না করি আবার আরো একবছর পর পরীক্ষা দিতে হবে। বাসার মানুষজন কি ভাববে? বন্ধুবান্ধব সবাই পাশ করে উপরে উঠে যাবে, আমি কি তাহলে নিচেই পড়ে থাকবো?
আসলে এমন কিন্তু কিছুই হয়নি। হুদাই চিন্তা করে নিজেকে অস্থির করে তুলতাম।
আবার একই কাহিনী এস,এস,সি পরীক্ষার সময়ও হয়েছে।
হায়, হায়!! সব কিছু ঠিকঠাক করে দিয়েছি তো? নাকি কোথাও কোন গড়বড় করে রেখে আসলাম।
ঠিকই কিন্তু সব ঠিকঠাক করে বারেবারে মিলিয়ে দেখে নিয়েছি এবং সব কিছু দেখেই ডিউটি টিচার সাইন করে গেছেন। এমন ভাবে এইচএসসি পাবলিক পরীক্ষা আসলো তাতেও এমন অশান্তি নিজের মনে নিজে এনে ফেলতাম। তারপর আসলো ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা। তাতেও ভয়। হবে কি হবে না। না হলে কি হবে। কোথাও ভুলে গিয়ে কিছু ফেলে রেখে আসলাম কিনা, এসব। এতোসব চিন্তার কি আসলে কোন দরকার ছিলো? যা করার তাতো করেই ফেলেছি। তা নিয়ে আর দুশ্চিন্তা কেন? এতোসব হাবিজাবি চিন্তা আসলে কিন্তু আমার বাস্তব জীবনে তেমন কোন খারাপ পরিস্থিতি তেমনভাবে নিয়ে আসতে পারে নি যা আমি ভেবে ভেবে হয়রান হয়েছিলাম।
আসলে এমন কিন্তু কিছুই হয়নি। হুদাই চিন্তা করে নিজেকে অস্থির করে তুলতাম।
আবার একই কাহিনী এস,এস,সি পরীক্ষার সময়ও হয়েছে।
হায়, হায়!! সব কিছু ঠিকঠাক করে দিয়েছি তো? নাকি কোথাও কোন গড়বড় করে রেখে আসলাম।
ঠিকই কিন্তু সব ঠিকঠাক করে বারেবারে মিলিয়ে দেখে নিয়েছি এবং সব কিছু দেখেই ডিউটি টিচার সাইন করে গেছেন। এমন ভাবে এইচএসসি পাবলিক পরীক্ষা আসলো তাতেও এমন অশান্তি নিজের মনে নিজে এনে ফেলতাম। তারপর আসলো ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা। তাতেও ভয়। হবে কি হবে না। না হলে কি হবে। কোথাও ভুলে গিয়ে কিছু ফেলে রেখে আসলাম কিনা, এসব। এতোসব চিন্তার কি আসলে কোন দরকার ছিলো? যা করার তাতো করেই ফেলেছি। তা নিয়ে আর দুশ্চিন্তা কেন? এতোসব হাবিজাবি চিন্তা আসলে কিন্তু আমার বাস্তব জীবনে তেমন কোন খারাপ পরিস্থিতি তেমনভাবে নিয়ে আসতে পারে নি যা আমি ভেবে ভেবে হয়রান হয়েছিলাম।
একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদি আমরা খেয়াল করি তাহলে দেখা যাবে আমাদের অতীতে যেসকল দুশ্চিন্তা ছিলো তার বড় একটা কারণ ছিলো শুধু মাত্র মানসিক আবোলতাবোল ভাবনা। তাই যদি কোনভাবে আমরা আমাদের মনোভাব পজিটিভ করতে পারি এমন অনেক কিছু থেকেই আমরা ভালো থাকতে পারবো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
মানসিক দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
জীবন ভালো কাটবে।
সবার জন্য শুভকামনা।
লোকে কি বলবে এটা ভেবে আমরা আগাতে পারি না,আমাদের পেটে ক্ষুদা কিন্তু চোখে লজ্জা। তাই বলেই আমরা পিছিয়ে আছি।আর হ্যা যে কোন কাজ শুরু করলে কিছু একটা রেজাল্ট বের হবেই।অনেক ভালো লিখছেন, ধন্যবাদ
চোখের লজ্জা কমায়ে আমাদের পেটের ক্ষুধার দিকে লক্ষ্য রেখে নিঃসঙ্কোচে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে সুন্দর একটি ব্লগ লিখেছেন।আসলে বনের বাঘ মানুষকে খাওয়া লাগে না নিজের মনের বাঘে মানুষকে খায়। আর মনের ভিতরে যে ভয় সেটাই মনের বাগ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি শিক্ষণীয় ব্লগ উপহার দেওয়ার জন্য।
মনের বাঘ টাকে বাগে এনে এগিয়ে যাওয়াতেই জীবনের সাফল্য নির্ভর করে অনেকাংশে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই এমন ভাবে পাশে থাকার জন্য।
অনেক সুন্দর ফিডব্যাক দিয়েছেন ভাই এগিয়ে যান পাশে আছি ভালো থাকুন সর্বদা।
দোয়া করবেন ভাই সফলতার সাথে যেন আপনাদের পাশে থেকে এগিয়ে যেতে পারি।