জ পরীক্ষার শেষ মুহূর্ত এবং মাতৃভূমি ফিরে যাওয়া নিয়ে আজকের ব্লগ।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল মেম্বার আশা করছি আপনারা সকল এ ভালো আছেন আমিও ভালো আছি ।পুরো দমে পলিটেকনক্যাল লাইফ এ ষষ্ঠ সেমিস্টার কে বিদায়ের মুহূর্ত নিয়ে আজ আপনাদের সামনে আসছি।
আমাদের ১ টা পরীক্ষার জন্য আমাদের সকল এর বাড়ি যাওয়া আটকে ছিল ।বাড়িতে যাওয়ার সকল এর এত ইচ্ছে হচ্ছিল যা বলার বাহিরে। মনে হইতেছিল আমাদের দেহ এখানে পড়ে আছে আর মন টা বাড়িতে চলে গেছে । যাই হোক ২৫ তারিখ সকাল এ ৯.০০ ঘটিকায় প্রাক্টিকাল পরীক্ষা আরম্ভ হয়।সেদিন সকাল এ কলেজ এ এসেই কম বেশি সকল বন্ধুদের সাথে কুশল বিনিময় হয় ,সবার ই এক কথা আজ খুব আনন্দ লাগতেছে যে অনেকদিন পর বাড়িতে যাবো।
সেদিন সবাই অনেক আনন্দে আত্নহারা ।আগের দিন সাদিক একটা ঘড়ি কিনে ,মেস এ আসার পরই তার ঘড়ি নাকি নষ্ট হয়ে যায় ।তাই সে বলে কলেজ শেষ এ যাবো ,প্রথম এ আমি মজা করে বলি যাবো এক শর্তে আমার ১০০ টাকা লাগবে ,ও ফাজলামি করে একটা ঘুসি মারে আমি সরে যাওয়ায় মাহবুব কে লেগে যায় আর এ দিকে উৎপল ছবিতে ক্লিক করে ,এটা এক অন্যরকম মুহূর্ত তৈরি হয়ে যায় । এর পর কোনরকম পরীক্ষার হলে ঢুকে পরীক্ষা শেষ করি ।পরীক্ষা শেষ করে সকল এর আবদার যে তারা এই সময় কে স্মরণীয় করে তোলার জন্য ছবি তুলবে , তাই সবাই একত্রিত হয়ে বিভিন্ন ফ্রেম এ আবদ্ধ হই।
সকল এর আনন্দ একটাই যে বাড়িতে যাবো ,কলেজ থেকে কোনো রকম মেস এ এসেই প্যাকিং শুরু করে দেই ।আমার এক বন্ধু মেহেদী ওর আমার আমাদের পড়েই পরীক্ষা শুরু হয় তাই আমি কলেজ থেকে এসেই সরাসরি বাসায় রওনা দিতে পারি নি ।এদিকে দেখি নিরব অলরেডি সব প্যাকিং করে আমাকে রুম এ আসে বলে আমি গেলাম ,আমি তো অবাক আমি বললাম আরে কলেজ থেকে তো সবে মাত্র আসলাম তুই এখনি জাবি ,ও বলে আমি আর ১ সেকেন্ড থাকবো না ,তাই আর কি করার ওকে বাস স্ট্যান্ড এ এগিয়ে দিতে গেলাম ,কুশল বিনিময় করে তাকে বিদায় জানানো হলো ।তারপর আমি মেস এ আসে সব কিছু বের করলাম ,একবারে দীর্ঘ তিন মাস পর বাসায় যাইতেছি তাই অনেক কাপড় হওয়ায় ২ টা ব্যাগ হলো ,এদিক এ মেহেদী কলেজ থেকে এসে যায় কিন্তু আমি রেডি হয়নি ও বলে আমি ১০ মিনিট এর মধ্যে আসতেছি ,তার কথা কাজে মিল আছে কিন্তু আমি আর রেডি হইতে পারি নি ও এসে আমাকে এভাবে দেখে একটু রেগে যায় বলে তুমি চটপট হবা কবে তাই আমিও তার কথা শুনে চটপট করে রেডি হলাম ,এরপর বাস স্ট্যান্ট এ যাই দুজন এ বাস প্রায় সেরে দিতেছিল আমরা তড়িঘড়ি করে বাস এ চরী ।বাস এ চরার পর পরই দেখি ২ জন মে আমাদের কলেজ এর ওরাও চড়ে দেখে বিষয়টা ভালই ঠেকলো ভাবলাম জার্নি টা ভালই কাটবে আমাদের দুজন এর ।
দুজনই সুন্দর সুন্দর পজ দিয়ে ছবি তুললাম প্রথম এ আমরা অন্য দিক এ ছিলাম কলেজ এর মেয়েরা অন্য দিকে বসেছিল। আমরা কি করলাম তাদের পিছনে গিয়ে বসলাম, যাতে করে ভালো ভাবে লাইন মারতে পারি ,প্রথম এ কি ভাবে শুরু করবো দুজনই ভেবে পাইতেছিলাম না , যাই বলেই ফেললাম আপনারা আমাদের কলেজ এর তাই না ওরা বলল হ্যা এর পর আর কথা সেরকম হয়নি ,কিছুদূর যাওয়ার পর বললাম কোন ডিপার্টমেন্ট ,পরীক্ষা কেমন হলো ইত্যাদি ।আমরা আর বেশি কথা বললাম না আমারও নামার সময় হয়ে আসলো ,বন্ধু মেহেদীর সাথে কোলাকুলি করে নেমে যায় বাস থেকে ,মেহেদী একই হয়ে যায় আমি তাকে চিৎকার করে কইলাম ,বললাম মামা নাম টা শুনিস ও আমাকে হাত নাড়িয়ে বললো ঠিক আছে ,পড়ে আমি বাসায় আসি মেহেদী ও বাসায় যায় রাতে মাকে এসএমএস করে বলে মেয়েটার নাম শুনেছে নাকি ।বাড়িতে এসে এতটাই ভালো লাগছিল বাবা মা কে কতদিন পর দেখলাম সত্যিই মাতৃভূমির মতো শান্তি কোথাও পাওয়া যায় না।
ধন্যবাদ পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য
আল্লাহ হাফেজ
নিজের সম্পর্কে কিছু কথা :
আমি একজন স্বাধীন চিত্তপ্রিয় মানুষ। স্বাধীনতাকে বেশি প্রশ্রয়। আমি নতুন কিছু শিখতে বেশি ভালোবাসি ,আমি এটা মানি জানার কোনো শেষ নেই ।আমার জীবনে উপার্জিত কিছু অর্থ গরীব মেহনতি মানুষের কল্যাণে দিতে চাই ,আমি এটা মানি মানুষ মানুষের জন্যে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনার এই পোস্ট পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। তবে কোন ভুলের কারণে লেখাগুলো খুব মোটা মোটা হয়েছে। আশা করি এই ভুলটা শুধরে দিবেন। দোয়া করি যেন খুব শীঘ্রই আপনি ভেরিফাইড মেম্বার হতে পারেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার ভুলটা আমি সংশোধন করে নিবো
আপনি আজকে আমাদের সাথে খুবই বাস্তব একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি পরীক্ষা শেষ করে মাতৃভূমির টানে বাড়ি ফিরেছেন এবং তার গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই কোন কিছু শেষ করে যদি বাড়িতে ফেরা যায় তার আগ্রহ এবং আনন্দ অনেক বেশি হয়ে থাকে।
জি ভাই একদম ঠিক বলেছেন ,বাড়ি ফেরার মত আর কিছু হয় না ।