||ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ ভ্রমণ এর গল্প||১০%সাই - ফক্স এবং ৫% এবিবি - স্কুল এর জন্য
আসসালমুআলাইকুম,আদাব।
আজকে আমি উত্তর বঙ্গের ডালিয়া ,তিস্তা ব্যারেজ ভ্রমণ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপনা করতেছি।
৩০শে বৈশাখ ১৪২৮
13 may 2022
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল মেম্বার গণ কেমন আছেন আশা রাখছি ভালই আছেন ,আমিও ভালো আছি ।আজকে আমার তিস্তা ব্যারেজ এর ভ্রমণ নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি।
## সময় ছিল ঈদ এর তৃতীয় দিন ,ঈদ এর দিন এবং ঈদ এর পরের দিন আমি কোথাও যায়নি ঘুরতে ।সেদিন ও যাওয়ার কথা ছিল না ডালিয়া ব্যারেজ এর পাশেই আমার এক বন্ধু তার পারিবারিক ঝামেলাতে গিয়েছিল তো আমিও সেখানে যাই ঘুম থেকে উঠে।আমাকে বার বার ফোন দিতেছিল ,সেখানকার ঝামেলা শেষ করে হটাৎ আমার বন্ধু মমিনুর বলে উঠলো ঈদ এর তো আনন্দ উপভোগ করলাম না চলো তিস্তা ব্যারেজ ঘুরে আসি,আমিও আর দ্বিমত প্রষণ করতে পারলাম না কারণ কোথাও ঘুরতে যাইনি তাই নিজের মনকে বাঁধা নাদিয়েই ছুটে চললাম গন্তব্য স্তল এর দিকে ।ওখানে গিয়ে অপরূপ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম এবং আমার ক্যামেরায় আবদ্ধ করে ফেললাম ।
এটি হচ্ছে ব্যারেজ এ ঢুকতেই সামনে পড়বে ।ব্যারেজ টা পুরনো হওয়ায় ওভারলোড গাড়ি যেতে দেয় না তাই এই গেট টি স্থাপন করেছে ।
দূর হতে ব্যারেজ টি বেশ ভালই লাগতেছিলো ,তাই আর ক্যামেরা বন্দি করতে কার্পণ্য করলাম না ।
গেট হতে কিছুদূর গেলেই এই অবস্থান টি দেখতে পাওয়া যায় ।গোলাকার বিল্ডিংটি অবসর এর জন্য তৈরি করা হয়েছে ,সেখানে অবশ্য ভিআইপি মানুষ সারা সাধারণ মানুষকে প্রবেশ করতে দেয় না ।
এটি হইতেছে ব্যারেজ এর মুক্ষম পয়েন্ট এখানে দাড়ালে দুই দিক যাওয়া যায় ,এক হইতেছে তিস্তা নদী পার হওয়া আর একটি হইতেছে নদীর কিনার ঘেঁষে যাওয়া ।
এই ব্যারেজ এ ৫৬ টি গেট রয়েছে যা ইন্ডিয়া হতে বয়ে আসা পানিকে আটকে রাখে আবার প্রয়োজন অনুযায়ী তা ছেড়ে দেয় ।এতে করে কৃষক তার জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পায় ।অনেক সময় পানি বেশি আসলে প্রত্যেকটা গেইট ছেড়ে দেয় এ কারণে বন্যার সম্মুখীন হতে হয় ।
এটি হইতেছে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ । এর মাধ্যমে জলঢাকা ,ডিমলা ,ডোমার ,হাতীবান্ধা , লালমনিহাট এর মানুষজন চলাচল করতে পারে ।ফলে মানুষদের অনেক বড় উপকার হয় ।
এইসব দ্বারা তিস্তা নদী থেকে বালু পাথর সংগ্রহ করা হয় ,ফলে মানুষ তার জীবিকা নির্বাহ করে এবং দেশ এর অর্থনীতির লাভবান হয় ।ড্রাম গুলো লোহার তৈরি কিন্তু দিব্যি ভাবেই ভেসে বেড়াইতেছে ।
এরপর বন্ধু সহ ব্যারেজ পার হয়ে হালকা নাস্তা করে সেখানে প্রকৃতি দেখতে বসে যাই ,এদিক এ আমার আরেক বন্ধু ইয়াসিন হক টিটু ফোন দেয় বলে আমিও ব্যারেজ এর উপর আসছি তাই তার সাথে দেখা করি বেশ ভালই লাগলো আরেক বন্ধুকে দেখা করে। পাশেই কিছু ছেলে একধরনের খেলা বের করে খেলাটা এমন যে দূর থেকে ৩ টা কোল্ড ড্রিংস এর বোতল এর একটা ফেলতে পারলে সেটা তার । এ জন্য প্রতিটি বল ৫ টাকা করে নিয়েছিল,আমার এক বন্ধু সে বললো আমার হাতের রেইম অনেক ভালো ততক্ষনাত আমি তাকে বলে উঠলাম তুমি যদি ফেলতে পার তাহলে বল এর টাকা আমি দিবো আর ফেলতে না পারলে তাকে আমাদের বড় সর আকারে খাওয়া দাওয়া দিতে হবে সে রাজি হয় ।
|||
সেখানে গিয়ে বল নেই ৪ টা খেলার নিয়ম হলো বল একবারেই লাগতে হবে বল যদি ড্রপ খায় তাহলে হবে না ।একের পর এক বল ছুড়তে লাগল কিন্তু সে লাগতে পারলো না ৪ টা বল এ ঢিল মারলো কিন্তু লাগতে পারলো না তাই সে নিরাশ হয়ে আসলো আমরা খুব মজা করে তাকে খেপাইলাম অবশেষে সে আমাদের বাজিতে হেরে খাওয়াতে নিয়ে গেলো ।খাওয়া শেষ করে আমরা গাড়িতে চড়ে ফিরে যাই বাড়ির পথ এ ।
ডিভাইস | স্যামসাং m 21 |
---|---|
অবস্থান | ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ |
এডিট | লাইটরুম |
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য।
নিজের সম্পর্কে কিছু কথা :
আমি পেশায় ছাত্র,আমি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেছি ।আমি নতুনত্ব কে বেশি প্রাধান্য দেই কারণ আমি মনে করি এবং জানি যে জানার কোনো শেষ নেই ।আমি স্বাধীন চিত্তপ্রিয় মানুষ। স্বাধীনতা কে বেশি প্রাধান্য দেই আমার যেটা ভালো লাগে সেটাই করতে বেশি ভালোবাসি।আমার উপার্জিত কিছু অর্থ গরীব মানুষ এর মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই ।
ডালিয়া তিস্তা ব্রিজে আমিও অনেক বার ঘুরতে গিয়েছিলাম, অনেক সুন্দর একটি জায়গা ভাইয়া আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি আপনি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন, এর সাথে আমাদের কেও অনেক সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ছবি উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, তবে গল্পের শেষে দিক খেলাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে, অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য।তিস্তা ব্যারেজ আসলেই অনেক সুন্দর একটি জায়গা
আপনি ডালিয়া তিস্তা ব্রিজ ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আর সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগছে আপনার এই ঘুরার মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ,দোয়া রাখবেন আমার জন্য
তিস্তা ব্যারেজ এর নাম অনেক শুনেছি। এমনকি এর আগেও একজনের পোস্টে দেখলাম। জায়গাটা ভীষণ সুন্দর। আপনি ঈদের দ্বিতীয় দিন এই জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। এমন কি দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। এরকম একটা মুহূর্তে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ,ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ আসবেন আশা করছি ভালোই লাগবে
ডালিয়া তিস্তা ব্রিজে আমি আজ কখনো যাইনি ভাই তবে আপনার পোষ্ট থেকে অনেক কিছুই দেখলাম এবং উপলব্ধি করার চেষ্টা করলাম দেখে খুবই ভাল লেগেছে। আমি তিস্তা নদীর সৌন্দর্য দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছি আমি আপনার সময় গুলো অনেক সুন্দর কেটেছে। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রইল এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য ,ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ আসবেন অনেক সুন্দর জায়গা
বাইকে চড়ে বন্ধুর সাথে ব্রিজের উপর ঘুরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে। আপনার এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে কিছু স্থানের ঘোরাঘুরি সুন্দর দৃশ্য উপস্থাপন করেছেন যা পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে।