এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার তোলা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


IMG_2942_edited.jpg


ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON

ক্যামেরা মডেল : NIKON D5600

ক্যামেরা লেংথ : 78 mm

লোকেশন : উত্তর ২৪ পরগনা ,ভারত।



আসলে সূর্যমুখী ফুল সবার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে যেসব বড় বড় ক্ষেতে সূর্যমুখী চাষ করা হয় সেগুলো দেখতে আমাদের সবার খুব ভালো লাগে। এছাড়াও আমি অনেক জায়গায় দেখেছি যে যেখানে এই ফুলের চাষ করা হয় এবং এই সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল উৎপাদন করা হয়। আসলে সূর্যমুখী ফুলের বীজের থেকে যে তেল তৈরি করা হয় সেই তেলের চাহিদা বাজারে ব্যাপক। যাই হোক এই সূর্যমুখী ফুলটা কিন্তু একটু অন্য ধরনের। কারণ এই ফুলের আকৃতি অনেকটা ছোট। এছাড়াও এই ফুলের বীজ থেকে তেল উৎপাদন করা যায় না। আসলে এটি বাড়ির আঙিনাতে সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবে লাগানো হয়। যদিও দুটো ফুল দেখতে একই রকম। শুধুমাত্র আকার আকৃতিতে পার্থক্য।



IMG_3043_edited.jpg


ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON

ক্যামেরা মডেল : NIKON D5600

ক্যামেরা লেংথ : 78 mm

লোকেশন : উত্তর ২৪ পরগনা ,ভারত।


আপনারা পরবর্তী ছবিটা দেখে অনেকেই বুঝতে পেরেছেন যে এই ছবিটা কোন জায়গার ছবি। আসলে এই ছবিটি হল গঙ্গার উপরের সেই হাওড়া ব্রিজ। আসলে বাঙালিরা এই গঙ্গার পাড়ের এই গঙ্গা ঘাটে এসে তাদের আবেগ জড়ানো সময় গুলো কাটিয়ে থাকে। এছাড়াও আপনারা প্রতিদিন সকালে যদি এই ঘাটে আসেন তাহলে দেখতে পাবেন যে বহুদূরান্ত থেকে লোক এসে এই ঘাটে বসে বসে আড্ডা দেয় এবং অনেকে আবার স্নান করে। আসলে এই গরমের সময়ে এই গঙ্গার ঘাট হলো একমাত্র একটা শান্তির জায়গা। এছাড়াও এই গঙ্গার ঘাটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কবুতর।



IMG_3044_edited.jpg


ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON

ক্যামেরা মডেল : NIKON D5600

ক্যামেরা লেংথ : 78 mm

লোকেশন : উত্তর ২৪ পরগনা ,ভারত।


আপনারা গঙ্গার ঘাটের পাশে যে দেয়ালটি রয়েছে সেই দেয়ালটিতে বেড়ে উঠেছে একটি বটগাছ। আসলে এই বটগাছ যে কোন জায়গাতে হতে পারে। বিশেষ করে কলকাতার পুরনো বাড়ির দেয়ালগুলোতে এই বটগাছ যেন নিজেদের দখল করে নিয়েছে। কিন্তু অনেকে প্রথম অবস্থায় দেখলে মনে করবে যে বাড়ির দেয়ালগুলো এই বটগাছ হবার ফলে দুর্বল হয়ে গেছে। কিন্তু ভালো করে দেখলে বোঝা যায় যে এই বট গাছের শিকড় গুলো কিভাবে বাড়িগুলোকে চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। মনে হচ্ছে যে প্রকৃতি এই বাড়িটাকে কখনোই নষ্ট হতে দেবে না।
ঠিক গঙ্গার পরের এই বটগাছটিও একই রকম। এছাড়াও অনেকে এই গাছের নিচে এসে বিশ্রাম করে বিকাল বেলাতে।


IMG_3045_edited.jpg


ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON

ক্যামেরা মডেল : NIKON D5600

ক্যামেরা লেংথ : 78 mm

লোকেশন : উত্তর ২৪ পরগনা ,ভারত।


আসলে গঙ্গার ঘাটের এই কবুতর যখন ঝাঁকে ঝাঁকে আকাশে উড়ে বেড়ায় তখন সেই দৃশ্য দেখার মত। এছাড়াও আপনারা অনেকেই এই হাওড়া ব্রিজের ইতিহাস জানেন। কারণ এই ব্রিজটা পুরোটাই নাট এবং বোল্টের উপরে তৈরি করা হয়েছে। আর এটি কলকাতার অন্যতম একটি সবথেকে পুরাতন ব্রিজ। আসলে এই ব্রিজটি ইংরেজরা যখন আমাদের দেশ শাসন করতে এসেছিল তখন তারা সেই সময় এই ব্রিজটি তৈরি করে গেছেন। আসলে ইংরেজরা কিছু কিছু এমন নিদর্শন আমাদের দেশে রেখে গেছে যা সত্যিই অবাক করার বিষয়। কারণ এত বছর পুরনো হয়েও এই ব্রিজের এখনো তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Sort:  

That's a pretty cool looking bridge, don't see many of them designed that way around where I live

 3 days ago 

আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সূর্যমুখী ফুল দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। গঙ্গার ঘাটে দেওয়ালের পাশে যে বটগাছটির ফটোগ্রাফি করেছেন সেটা দেখতে আমার কাছে অসাধারণ লাগছে। এমন সব ভিন্ন ভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করো জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 days ago 

আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ লাগছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সূর্যমুখী ফুলগুলো বেশ দারুন লাগছে। গঙ্গার ঘাটে এক ঝাঁক কবুতর আকাশে উড়ে যাওয়ার দৃশ্যটি বড়ই সুন্দর্যদায়ক । অনেক ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।ধন্যবাদ দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 days ago 

বেশ দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করেছে আপনি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। হাওড়া ব্রিজে কবুতর উড়ে যাওয়ার দৃশ্য বেশ দারুন। এমন দৃশ্য দেখলে মন ভরে যায়। গঙ্গার ঘাটের ফটোগ্রাফিও বেশ অসাধারণ হয়েছে। এতো চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 61397.32
ETH 3382.52
USDT 1.00
SBD 2.48