বিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি
আজ সোমবার
আজ
সোমবার ২০২৪
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আচ্ছা আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম বিভিন্ন রকমের ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে। আমি আশা করব আমার ধারণা করা ফুলগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তাই আমি আমার মনের মত করে সাজিয়ে তুলবো আমার আজকের ব্লগ। সবাইকে আমার ফুলের ফটোগ্রাফি মুলক পোস্ট ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইলো ।
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন টবে লাগানো বিভিন্ন রকমের ঘাসফুল। এই ফুলের আরো অন্যান্য নাম রয়েছে, তবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ঘাসফুল নামে। একই টবের মধ্যে বিভিন্ন কালারের ঘাস ফুল ফুটেছে, বিভিন্ন রকমের ফুল থাকায় অনেক মানিয়েছে। বেশ দারুণভাবে টবটা সেজে উঠেছে বিভিন্ন ফুলের কারণে। আমি ফুলের ফটোগ্রাফি ধারণ করতে খুবই পছন্দ করে থাকি। তাই এমন সুন্দর সুন্দর ফুলগুলো যখন চোখের সামনে বাধে তখন ফটো না ধারণ করলেই নয়। তাইতো সুন্দর এই ফুলের চিত্রটা ধারণ করেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
এই মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর জবাব ফুলের ফটোগ্রাফি। বেশ দারুন ভাবে ফুটে রয়েছে জবা ফুলটা। আমরা সচরাচর বিভিন্ন রকমের জবা ফুল দেখেছি বা দেখে থাকি। তবে এই জাতীয় জবা ফুলগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যখন সারা গাছে পরিপূর্ণ রূপে ফুল ফোটে থাকে তখন সে গাছগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। গাছের পাশে দাঁড়িয়ে ফটো ধারণ করতে সেলফি তুলতে অনেক স্বাচ্ছন্দ মনে হয়।
এই মুহূর্তে আপনারা যে ফুলটা দেখতে পাচ্ছেন এটা বনফুল। এই ফুলটার নাম তেলাকুচি ফুল। এই ফুলটা দেখতে সাদা আকৃতির। তবে নিচের অংশে ঘন সবুজের শিশু দ্বারা বেষ্টিত। এই ফুলের গাছটা অনেক উপকারী একটা গাছ। অনেকের দেখা যায় দাঁতের সমস্যায় এই ফুলের গাছের পাতা ছিড়ে রস করে দাঁতে লাগায়। এত তাড়াতাড়ি যন্ত্রণা দূর হয়। তাহলে বলতে পারি ফুলের গাছটা বেশি উপকারের।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রঙ্গন ফুল। এখনো ফুলগুলো ফোটে নাই তবে খুব শীঘ্রই ফুটবে এমন একটা পর্যায়ে এসে গেছে। ফুল ফোটার আগে তার কলি গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। যেন একই শিষের উপর অনেকগুলো ফুল ফোটার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
এখানে আপনারা দেখতে পারছেন নয়ন তারা ফুল। নয়নতারা ফুল দেখতে দুই রকমের হয়ে থাকে। সাদা নয়ন তারা আর গোলাপি নয়ন তারা। তবে সাদা নয়ন তারা ফুলগুলো তুলনায় গোলাপি কালারের ফুলগুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। আমি এই ফুলটাকে খুবই পছন্দ করে থাকি। একটি গাছে এত বেশি পরিমাণ ফুল ফুটে থাকে দেখলে যেন মন ভরে যায়।
এখানে একটি পাতা বাহাড়ের গাছ। বিভিন্ন জায়গা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এবং সাজিয়ে রাখতে এই সমস্ত গাছগুলো লাগানো হয়। বেশ ভালো লাগে এই সমস্ত কাজগুলো দেখলে এবং এই গাছের ফটো ধারণ করবেন। কখনো কোন পার্কে ঘুরতে গেলে এই সমস্ত গাছগুলো একটু বেশি দেখে থাকি। তবে ইদানিং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ বাসা বাড়িতেও লক্ষ্য করা যায়।
এই মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রাস্তার পাশে ফুটে থাকা আকন্দ ফুল। এই ফুলগুলো দেখতে বেশ সাদা বেগুনি কালারের হয়ে থাকে। রাস্তার পাশে ফুটে থাকা এই সমস্ত ফুলগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমাদের বাড়ির পাশের রাস্তায় প্রায় লক্ষ্য করে থাকি এই ফুল ফুটে থাকতে। এই গাছের পাতা যেমন ছাগল গরুতে খায় না তেমন মানুষের হাত দিতে চায় না কসের কারণে। এই জন্য গাছগুলো যেভাবে বৃদ্ধি পায় সেভাবেই বেড়ে ওঠে এবং ফুল ফোটে।
এ মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কৃষ্ণচূড়া ফুলের ফটোগ্রাফি। বৈশাখ মাস আসার পর থেকে এলাকার কৃষ্ণচূড়া গাছগুলোকে রঙিন সাজে সাজতে দেখা যায়। সবুজ পাতাগুলো দিন দিন যেন লাল ফুলের মাঝে হারিয়ে যায়। আশেপাশের পরিবেশকে যেন নতুন রূপের সাজিয়ে তোলে কৃষ্ণচূড়া গাছ। তার এমন অপরূপ ফুলের দৃশ্য সবার মনকে মুগ্ধ করে। গাছের পাতার পাশ দিয়ে গাছের ডালের আগায় আগায় শত শত ফুলের পাপড়ি জেগে ওঠে দিনে দিনে। এখানে যে সমস্ত ফুলগুলো শেয়ার করেছি তার মধ্যে অন্যতম এবং সকলের দৃষ্টিনন্দিত ফুল কৃষ্ণচূড়া।
পোস্ট বিবরণ
ফটোগ্রাফি | ফুল |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | Infinix Hot 11s-50mp |
লোকেশন | Gangni-Meherpur |
ফটোগ্রাফার | Simransumon |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।সব গুলো ফটো আমার কাছে দারুন লেগেছে। তবে অনেকদিন পর কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।এই ফুলের সৌন্দর্য অনেক দিন হলো সামনে থেকে উপভোগ করা হয় নি।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কৃষ্ণচূড়া ফুল ভালো লেগেছে তাই ধন্যবাদ
দারুন সব সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ছোট বোন। আপনার এই ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো আমার। ফুলগুলো বেশ চমৎকার ছিল। ফুলগুলো পোস্টের মাঝে সাজানো অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু
ফুলের বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। জবা ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আসলে ফুলের সৌরভ এবং সৌন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করে। প্রত্যেকটি ফুলের ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ হয়েছে। এতো চমৎকার ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এ জাতীয় জবা ফুল গুলো ভালো লাগে
অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুবই চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ
সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। তবে কৃষ্ণচূড়া ফুল গুলো বেশি ভালো লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কৃষ্ণচূড়া ফুলটা আমারও অনেক ভালো লেগেছিল
ছোট একটা টবে এত রঙের ঘাসফুল দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ঘাসফুল অনেক রকমের হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো ভীষণ সুন্দর। আপনি চমৎকার ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। শেষে কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছের ফটোগ্রাফি দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমার বেশ ভালো লেগেছিল টবের ফুলটা
বাহ্ আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। জবা ফুল ও নয়ন তারা ফুলের ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
আপনার মতো আমারও এই জাতীয় জবাফুল গুলো খুব পছন্দ। তাছাড়া রং বেরঙের জবা ফুল দেখতেও খুব ভালো লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে আপু। বেশ ভালো লাগলো দেখে। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া