কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি তেলেভাজা সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে। আমাদের ভাষায় এই রেসিপি কে বলা হয় বড়া। আমরা অনেকে তেলে ভাজা পাকোড়া নামে জেনে থাকি। তবে যাই হোক না কেন, চলুন রান্নার কার্যক্রম শুরু করে দেই।

ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
১. | ঝাল | ৭ পিচ |
২. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৩. | পেঁয়াজ | ৪ পিচ |
৪. | কবুতরের মাংস | এক পোয়া |
৫. | গরম মসলা | ২ খন্ড |
৬. | মসলা বাকলা | ৪ খন্ড |
৭. | গুঁড়া মসলা | এক চা চামচ |
৮. | গুড়া ঝাল | এক চা চাম |
৯. | পানি | পরিমান মত |
১০. | ধনিয়া গুড়া | পরিমাণ মতো |
১১. | আলু | ২ পিচ |
১২. | গাজড় | ১ পিচ |
১৩. | তেল | পরিমাণ মতো |
১৪. | ময়দা | ছোট এক কাপ পরিমাণ |
১৫. | ধনিয়া পাতা | প্রয়োজন মত |
ধাপ 1️⃣
রেসিপি তৈরি করার কাজ শুরু করার পূর্বে আমি প্রয়োজনীয় সকল উপাদান সংরক্ষণ করে নিলাম এবং ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পরিপাটি ভাবে চুলার পাড়ে উপস্থিত হলাম। ফটোতে দেখতে পাচ্ছেন এবং তালিকা দেখে বুঝেছেন সমস্ত উপাদান গুলোর বিষয়ে।

ধাপ 2️⃣
এবার আলু গাজর খুব সুন্দর করে ছোট ছোট কুচি কুচি করে প্রস্তুত করে নিলাম একটি টিনের যন্ত্রের সাহায্যে। সচরাচর বিভিন্ন মেলায় এই যন্ত্র গুলো কিনতে পাওয়া যায়, বেশ উপকারী। তাই এটার মাধ্যমে সহজেই দেখতে পাচ্ছেন আমি সবকিছু কুচিকুচি করে নিয়েছি।

ধাপ 3️⃣
এবার সমস্ত উপাদান একের পর এক গামলার মধ্যে রাখলাম। প্রথমে আলু গাজর কুচি। এরপর কবুতরের মাংস। এরপর ময়দা সহ সকল মসলা জাতীয় উপাদান একসাথে করে গামলার মধ্যে রেখেছি মিক্সচার করার উদ্দেশ্যে।


ধাপ 4️⃣
এবার সমস্ত উপাদান গুলো পানি দিয়ে ভালোভাবে ছেনে নিলাম। আমরা যখন সমস্ত উপাদান একসাথে মিক্সচার করবো অবশ্যই পানির পরিমাণটা ঠিক রেখে, মিক্সার করব যেন বেশি নরম না হয়ে যায়। আবার বেশি শক্ত না থাকে।

ধাপ 5️⃣
এবার চুলা অন করে দিলাম। চুলার উপর কড়ায় বসিয়ে দিলাম। এরপর নির্দিষ্ট পরিমাণে সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম।

ধাপ 6️⃣
তেল গরম হওয়ার পর তেলের মধ্যে সমস্ত উপাদানের ছানা হাতের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ করে বড়া আকারে ছেড়ে দিতে থাকলাম। হয়তো ফটো গুলো লক্ষ্য করলে আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন কিভাবে আমি আমার এই বড়া তৈরি করছিলাম। আর তেলে দেওয়ার পর সবকিছু কিন্তু টকবক করে ফুটতে থাকলে এই মুহূর্তে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যেন তেল ছুটে এসে গায়ে না লাগে।

ধাপ 7️⃣
ঠিক এভাবে একের পর এক তেলে ভাজতে থাকলাম। তেলে ভাজা হয়ে গেলে বড়া গুলো গামলার মধ্যে উঠাতে থাকলাম। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এভাবেই বড়া তৈরি করার কাজ সম্পন্ন করতে থাকলাম।

শেষ ধাপ
একটি পর্যায়ে এসে আমার সমস্ত বড়া তৈরি করা হয়ে গেল। এরপর টমেটো দিয়ে খুব সুন্দর করে জানলার মধ্যে সাজিয়ে নিয়ে রান্নাঘর থেকে খাবার রুমে প্রবেশ করলাম। এরপর ডাইনিং টেবিলের উপর রেখে আমার কাজ সম্পন্ন করলাম।

শেষ কথা
খাবার খাওয়ার মুহূর্তে পরিবারের সবার মাঝে আমি আমার এই রেসিপি বিতরণ করলাম। আমার হাতে তৈরি অসাধারণ এই রেসিপি খেতে পেরে অনেকেই খুশি হলেন। আর এর মধ্য দিয়ে আমার সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত হলো।
পোস্ট বিবরণ
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
আমার নাম | @simransumon |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | itel vision 1 |
ক্যামেরা | 8mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২০ বছর |
আমার ইচ্ছে | আমার বাংলা ব্লগে ব্লগ করা |

ব্লগটি ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।

আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি এবং রেসিপি করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যেকোনো বড়া তৈরীর সময় যদি মাংস দেয়া হয় তাহলে খেতে অনেক বেশি মজার হয়। আর এই খাবার গুলো খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। দারুন হয়েছে আপু আপনার রেসিপি।
একদম ঠিক বলেছেন আপু
শীতকালে বিভিন্ন ধরণের তেলে ভাজা খাবার গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। তবে আপনার কাছে থেকে আজকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
নতুন রেসিপি শিখেছেন জেনে খুশি হলাম
বাহ্ আপু রোজার আগে আগে দারুন একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এক কথায় অসাধারণ। বেশ সুন্দর করে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপনও করেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। সবজি এবং মাংস এর সমন্বয়ে যে এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করা যায় সেটা আমার জানা ছিল না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম
সবজি ও মাংস দিয়ে যে এতো সুন্দর বড়া তৈরি করা যায় সেটা আজ প্রথম জানতে পারলাম। সবজির সাথে কবুতরের মাংস এবং ময়দা মিশিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই এ ধরনের বড়া গুলো খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল।
হ্যাঁ অনেক সুস্বাদু ছিল
বেশ ইউনিক এবং মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ সবজি এবং মাংস দিয়ে তৈরি এমন বড়া আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি ৷ তবে আমি বড়া অনেক বেশি পছন্দ করি ৷ একদিন এভাবে বড়া তৈরির চেষ্টা করতে হবে ৷ যাই হোক , বেশ দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ তবে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কবুতরে মাংসের রেসিপি শেয়ার করা কিছুটা বারণ আছে ৷ কারণ কবুতর হলো শান্তির প্রতীক ৷ আরমি দাদা এসব পছন্দ করেন না ৷ ধানবাদ
ও আচ্ছা, ধন্যবাদ জানা ছিল না।
সবজি ও মাংসের সমন্বয়ে তৈরী বড়াটি খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
হ্যাঁ অনেক সুস্বাদু ছিল
আমার কাছে এই ধরনের ভাজি জাতীয় খাবার খুবই পছন্দের। আপনি সবজি এবং মাংসের সমন্বয়ের দারুন বড়া রেসিপি করেছেন। এই ধরনের খাবার খেতে দারুন মজা । গরম ভাতের সাথে এই ধরনের খাবার খুবই প্রিয়। আপনার আজকের রেসিপিটি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আমাদের সাথে এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাতের সাথে ভালো লাগে
আপু আপনি সবজি ও মাংস মিক্সড করে খুবই মজাদার বড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার বড়া দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। আপনি এখানে কবুতরের মাংস ব্যবহার করেছেন আর এই মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনার খুব সুন্দর ভাবে রেসিপির ধাপগুলো তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে