ঝটপট কাবাব রেসিপি: কাঁচকলা এবং রুইমাছ দিয়ে
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন, আশা করি ভালোই আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আজ আমি হাজির হয়েছি নতুন এক রেসিপি নিয়ে যা খুবই স্বল্প সময়ে ও ঘরে থাকা মসলা দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যায়।
এই রেসিপিটির নাম হলো কাঁচাকলার কাবাব।
ছোট বেলায় আমি সবজি ই খেতে চাইতাম না ,তাই আমার আম্মু বিভিন্ন টেকনিক করে আমাকে বিভিন্ন সবজি খাওয়াতো।আর কাঁচকলাও আম্মু আমাকে একটু টেকনিক করে খাওয়ানো শিখিয়েছিলো।
আর আজ আম্মুর সেই রেসিপি ই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
এই রেসিপিটি বানানোর জন্য দুইটা উপকার প্রধান আর সেগুলো হলো
১.কাঁচকলা
২.রুইমাছ
আর সাথে বাসায় থাকা কিছু মশলা।
প্রথমে আমি তিনটা কাঁচকলা না কেটে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
৬/৭ টুকরা রুইমাছ হালকা লবন দিয়ে মেখে তেলে ভেজে নেই হালকা করে ।
তারপর কলা সিদ্ধ হয়ে গেলে চকলা ছাড়িয়ে ভালো করে হাত দিয়ে মোতে নেই এবং ভাজা মাছ গুলাও কাটা ছাড়িয়ে ,মাছ আর কলা মিক্সেড করে নেই
এরপর বাসায় থাকা মশলা যেমন :
১.আদা ও রসুন বাটা মিক্সড
২.কাঁচা মরিচ
৩. লবন (পরিমান মত)
৪.রাঁধুনি কাবাব মশলা
এক সাথে করে ভালো ভাবে মিক্সড করি কাঁচকলা আর রুইমাছের সাথে।
মাখানোর পর হাতের সাহায্যে গোল চ্যাপ্টা করে নেই
এরপর একটা পাত্রে পরিমান মত ময়দা, চিলি ফ্লেক্স, লবন , টানপুরা ( যা ভাজাপোড়া খাবার মচমচে রাখে )
পরে একটা একটা করে কাবাব ময়দার মিশ্রনে হালকা করে এপিঠ ওপিঠ করে লাগিয়ে ,হাতের সাহায্যে অতিরিক্ত ময়দা গা থেকে ঝেড়ে দেয়
এরপর একটা পাত্রে সয়াবিন তেল নিয়ে একেক করে হালকা আঁচে ভেজে নেই ।
(এই পিকটা ক্যাপচার করতে আমি ভুলেই গেছিলাম ,তাই আর পিকযুক্ত করতে পারলাম না)
তারপর রেডি হয়ে যাবে মুচমুচে গরম গরম কাবাব । এই কাবাব টি পোলাও এবং গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই মজা।
আজ এই পর্যন্ত ই আবার আসবো নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে ।সেই অব্দি সুস্থ এবং ভালো থাকুন।
"ধন্যবাদ"
রুই মাছ দিয়ে কাঁচ কলার কাবাব এই রেসিপিটি প্রথম আপনার কাছে দেখলাম। রেসিপিটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। ইউনিক একটি রেসিপি ছিল। কাঁচা কলা খেতে আমারও তেমন একটা ভালো লাগে না। আপনার রেসিপিটি একদিন বাসায় তৈরি করে দেখব। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু ও ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাঁচকলার সাথে রুই মাছের মিশ্রণে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন এবং ইউনিকে একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে আজ শিখতে পারলাম ।।
যদিও এরকম ভাবে কখনো প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি তবে আপনার প্রস্তুত করা রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজাদার হবে।।
আপনার আম্মা তো দেখছি তাহলে আপনাকে সবজি খাওয়ানোর জন্য নতুন নতুন টেকনিক ব্যবহার করতেন। যার একটি দেখতে পেলাম।।
ঠিকই বলেছেন আপু এমন অনেক সবজি আছে যেটা আমাদের খেতে ভালো লাগে না কিন্তু আম্মুর ঠিকই টেকনিক করে খাইয়ে দেয় আমার আম্মু আলুর সাথে মিশিয়ে কাঁচ কলা এভাবে ভর্তা করে আমাদেরকে খাওয়াতো। আপনি খুব সুন্দর করে কাঁচকলা আর মাছের কাবাব রেসিপি তৈরি করেছেন এভাবে করে কখনো তৈরি করিনি। শিখে নিলাম আপনার কাছ থেকে যদিও কাঁচকলা খাই না কিন্তু এভাবে করে একদিন ট্রাই করে দেখব কেমন লাগে।
আপনি নিশ্চয়ই ছোটবেলায় খেতে চাইতেন না তাই আপনার আম্মু আপনাকে এটা সেটা বুঝিয়ে কাঁচকলার ভর্তা খাওয়াতো। রুই মাছ এবং কাঁচা কলার কাবাব রেসিপিটি আমার কাছে ইউনিক লাগছে। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে কারণ নতুন রেসিপি আমার জন্য খুবই আনন্দদায়ক।
মাছ দিয়ে এভাবে কাঁচকলা দিয়ে কাবাব তৈরি করে নি। রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে আপু। মাছ ও কাঁচ কলার সমন্বয়ে এমন রেসিপিটি আমিও তৈরি করে দেখব।
আশা করি ভালই লাগবে এই রেসিপিটি।
আপনার আম্মুর এইটে একটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ছোটদেরকে সবজি খাওয়ানোর জন্য এ ধরনের পদ্ধতি গুলো আমাদের সকলেরই অবলম্বন করা উচিত।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে কাঁচা কলা এবং রুই মাছ দিয়ে খুবই চমৎকার একটা কাবাব তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করলেন আপু।
কাঁচকলার সাথে রুইমাছের রেসিপিটা ইউনিক একটি রেসিপি ছিল। আসলে এধরণের রেসিপি আমি আগে কখনো দেখিনি। আর আম্মুরা এরকমি, কতো টেকনিকে যে বাচ্চাদের খাওয়ায় বুঝা মুশকিল। কাঁচকলা এবং রুইমাছ দিয়ে কাবাব রেসিপিটি অসাধারণ ছিল।
কাঁচকলা এবং রুইমাছ দিয়ে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। কাবাব খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার তৈরি কাবাব গুলো দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
রেসিপি তৈরি করতে করতে শেষ পর্যন্ত ছবি তুলতেই ভুলে গেলেন আপু। যাইহোক আমরা বুঝতে পেরেছি এরপর আপনি কাবাবগুলো সুন্দরভাবে তেলে ভেজে নিয়েছেন। ছোটবেলায় আমরা সবাই সবজি খেতে চাইতাম না। তাইতো মায়েরা বিভিন্নভাবে সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করত। আপনি আপনার মায়ের কাছে শেখা এই রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। কাঁচাকলার কাবাব দারুন একটি রেসিপি ছিল আপু।
যে কোনো কাবাবই আমার প্রিয়। তবে এমন কাবাব আগে কখনো শুনিনি বা খাইনি। তবে বাড়িতে একবার ট্রাই করে দেখতে হবে। তাই একদিক থেকে এই রেসিপি ইউনিক লেগেছে আমার কাছে।