H.I.T:The first case||মুভি এক্সপ্লেনেশন
গতকাল ছিল শুক্রবার।সারাদিন কোন কাজ কর্ম নেই। ঠান্ডায় বাইরে যাইতেও ইচ্ছা করছে না।কিন্তু সময় তো কাটাতে হবে। এমন সময় লেপের মাঝে শুয়ে মুভি দেখার বিকল্প আর কি আছে? কিছুদিন আগে একজন ছোটবোন একটি মুভি সাজেস্ট করেছিল,ভাবলাম ট্রাই করে দেখাই যাক। সেই মুভির রিভিউ আজকে দেব।
মুভির নাম | H.I.T:the first case |
---|---|
জনরা | ক্রাইম,থ্রিলার |
ইনডাস্ট্রি | তেলেগু(হিন্দি রিমেক ও আছে) |
ভাষা | তেলেগু,হিন্দি(ডাবিং) |
অভিনয়ে | আদিভি শেষ,বিশওয়াক সেন,রুহানি শর্মা,নাভিনা রেড্ডি |
রিলিজ ডেট | ২৮/২/২০২০ |
সংক্ষিপ্ত প্লট
বিক্রম একজন পুলিশ অফিসার। সে হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (H.I.T) এর কর্মকর্তা।মুভির প্রথমেই আমরা দেখব সে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলছে। তার চাইল্ডহুড ট্রমা আছে,সে নিজের পরিবার কে চোখের সামনে নির্মম ভাবে খুন হতে দেখে।
আর সে এমন চাকুরি করে যে তাকে খুন খারাপিই দেখতে হয়। তাই প্রত্যেকবার সে একটি করে হত্যাকান্ডের তদন্তে যায় আর প্যানিক অ্যাটাক করে। তাই তাকে মনোরোগ বিশারদ দেখানো। ডাক্তার তাকে চাকুরি ছাড়তে বলে, কিন্তু বিক্রম নিষেধ শুনল না।বিক্রম এর গার্লফ্রেন্ড ও বলল তাকে অন্তত ছুটি নিয়ে কিছুদিন গ্রামে কাটিয়ে আসতে।
এরপর আমরা দেখি একটি মেয়ে গাড়ি থেকে বন্ধুদের সাথে দেখা করার কথা বলে বের হয়। রাস্তায় তার গাড়ি নষ্ট হয়,তখন পাশ দিয়ে এক পুলিশ অফিসার যাওয়ার সময় মেয়েটির দুরবস্থা দেখে তাকে লিফট দিতে চায়।কিন্তু মেয়েটি তার বদলে অফিসার এর ফোন থেকে।আর এটাই মেয়েটার শেষ দেখা।
এরপর মেয়েটি আর বাড়ি ফেরে না।মেয়ের বাবা মা সেই পুলিশ অফিসারকে গিয়ে ধরে। মেয়ের বাবা মা অফিসার এর সাথে খারাপ ব্যবহার করে ফলে অফিসার ও রেগে একটু কথা শুনায়।মেয়ের বাবা মা তাদের পরিচিত পুলিশ কমিশনার এর সাহায্যে সেই অফিসার কে বরখাস্ত করায় আর কেস ট্রান্সফার হয় H.I.T তে।
বিক্রম তখন ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে।এর মাঝে তার কাছে একটি কল আসে। তার এক সহকর্মী জানান বিক্রম এর গার্লফ্রেন্ডকে গত দুইদিন থেকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রম দ্রুত থানায় ফিরে আসে। এসে সে তার গার্লফ্রেন্ড অপহরণ কেসের তদন্তের দায়িত্ব চায়।কিন্তু সিনিয়র অফিসার দায়িত্ব দেয় বিক্রম এর প্রতিযোগী অফিসার কে৷যে ততটা দক্ষ নয়।
তাই বিক্রম সিদ্ধান্ত নেয় সে নিজেই ছায়া তদন্ত শুরু করবে।এভাবেই সে জানতে পারে প্রথম যে মেয়ে অপহরণ হয়েছিল তার কেসে কাজ করতে গিয়েই বিক্রম এর গার্লফ্রেন্ড নিখোজ হয়।তাই বিক্রম বুদ্ধি করে সেই মেয়ের কেস নেয় এবং একসাথে দুটো কেসেই কাজ শুরু করে। তবে কেসটা ভীষণ জটিল।একে বিক্রম এর প্যানিক অ্যাটাক,গার্লফ্রেন্ড এর দুশ্চিন্তা, প্রতিযোগীর বাধা সব মিলিয়ে ভীষণ চাপ।
তারউপর যে ক্লু ই পাওয়া যায় সেটাই শেষ পর্যন্ত কানাগলি তে গিয়ে শেষ হয়,যা বিক্রম কে আরো ডেসপারেট করে তোলে।এভাবে একের পর এক আসতে থাকে কানাগলি।কেস এগোতে থাকে খুব ধীরে।এর মাঝে আবার প্রেস এর চাপ।পারবে কি বিক্রম তার গার্লফ্রেন্ড কে খুজতে?
অনেকদিন পর এমন একটা সাসপেন্স মুভি দেখলাম যেটা প্রেডিক্টেবল নয়। প্রত্যেক সাসপেক্ট কেই মনে হবে অপরাধী। তবে শেষে যে টুইস্ট ছিল তা ৯০% মানুষই ধারণা করতে পারবে না।মুভিতে কোন এডাল্ট সিন নেই।তবে খাওয়ার সময় দেখতে বসবেন না। মুভির শুরু থেকেই অনেক ফাস্ট তাই একপফোটা বিরক্ত হবেন না। হাতে সময় থাকলে পপকর্ণ নিয়ে বসে পড়ুন।হ্যাপি ওয়াচিং।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter link