ঈদের ঘোরাঘুরি -১ম পর্ব।
বাঙালি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুইটি,ঈদুল ফিতর আর ঈদুল আযহা। গত একমাস সিয়াম সাধনার পরে গত পড়শু ছিল ঈদুল ফিতর। যদি রমজান মাসের প্রথম থেকেই চারদিকে উৎসবের আমেজ ছিল,তবে ঈদের আনন্দের সাথে কি আর কিছুর তুলনা হয়?
যদিও ঈদ আমার ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়,তবে অনুষ্ঠান যে ধর্মেরই হোক। পাশাপাশি থাকলে আপনার মনে সেই আনন্দের ছোয়া লাগবেই। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। সকাল থেকেই বেশ খুশি খুশি লাগছিল।কারন সারাদিন এর ব্যস্ত রুটিন। তবে ব্যস্ততা বলতেই ঘোরাঘুরি।
আগের দিন রাতেই সবার সাথে প্ল্যান করা কমপ্লিট। এখন খালি প্ল্যান বাস্তবায়ন করা। আমার ফ্রেন্ডদের আবার দুইটি গ্রুপ একদলে বন্ধুরা একদলে বান্ধবীরা। দুই দল কে আলাদা আলাদা সময় দিতে হবে। কারন দুই দলের সময় হবে আলাদা আলাদা সময়ে। সকাল বেলা বান্ধবীরা ফ্রি,আর বন্ধুরা বিকেল বেলায়।
তাই বান্ধবীদের সাথে ঘোরার প্ল্যান ছিল সকালেই।ওরা সকালে ফ্রি হবার পর আমাকে ফোন দিবে তারপর সবাই একসাথে বের হব। আমার বান্ধবী বর্তমানে সর্বসাকুল্যে দুজন।তাসনিয়া আর সুমাইয়া। তাই এই দুজনের সাথেই ঘোরাঘুরির প্ল্যান। সকালে প্রথমে তাসনিয়ার সাথে কথা বলে নিলাম। ও বলল ১১টায় বের হবে,আমি যেন ওর বাড়িতে যাই।তারপর দুজন মিলে যাব সুমাইয়ার ওখানে।
সেই অনু্যায়ী আমি ১১টায় তাসনিয়ার বাড়িতে গেলাম। সেখানে গিয়ে সেমাই খাবার পর দুজন মিলে গেলাম সুমাইয়ার বাসায়। কিন্তু সুমাইয়া হল লেট লতিফ। প্রায় এক ঘন্টা লাগল ওর রেডি হতে৷ এবার ঘুরতে বের হবার পালা। কোথায় যাওয়া হবে তা আগেই ঠিক ছিল। জায়গাটি কাছেই।আমাদের এলাকায় নতুন একটি পার্ক এন্ড রেস্টুরেন্ট উদ্ভোধন হয়েছে।সেটাই হল আমাদের গন্তব্য।
একঘন্টা অপেক্ষার পর সুমাইকে সাথে নিয়ে তিনজনে বের হলাম। পার্কটি বেশি দূরে না হওয়ায় অল্প সময়েই পৌছে গেলাম। পার্কটি মূলত একটি সূর্যমুখী ফুলের বাগান, বাগান হবার পর প্রচুর লোক সমাগম হতে থাকে। কারন বিষয়টি আমাদের এলাকায় নতুন।তাই বাগানের মালিকের মাথায় আইডিয়া আসে এটিকে পার্ক বানালে বেশ দুপয়সা ইনকাম হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ,উনি বাগানটিকে ঘিরে দিয়ে দুইটি রাইড সংযুক্ত করেন। এবং টিকিটের ব্যবস্থা করেন। তারপরেও লোকসমাগম ভালই হয়,অনেক ক্ষণ ঘোরাফেরা করার ফলে লোকজনের ক্ষুধা লাগে এই ভেবে বাগানের মালিক রেস্টুরেন্ট এর ও ব্যবস্থা করেন। তবে আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন রাইডগুলো চালু থাকলেও রেস্টুরেন্ট চালু ছিল না।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার ঈদের ঘুরাঘুরির ফটোগ্রাফি এবং মুহুর্ত দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমরা যখন এখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন এত রাইড ছিল না এখন দেখছি অনেক কিছুই হয়ে গেছে এই পার্কে। অবশ্যই বাবুকে নিয়ে একবার ঘুরতে যেতে হবে। বেশ ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে। ধন্যবাদ ভাইয়া ঈদের ঘুরাঘুরির প্রথম পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাহ ঈদের দিন উপলক্ষে বান্ধবীদের সাথে বেশ সুন্দর ঘোরাঘুরির মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের এই আনন্দ উপভোগ করার মুহূর্তে জেনে।
ভালোই তো তাহলে ঈদের প্রথম দিনের ঘোরাঘুরির পর্বে দারুন একটা বিষয় জানতে পেলাম । বন্ধুদের মধ্যে দুই গ্রুপ সেই দুই গ্রুপের মধ্যে আপনি উভয়ের মধ্যেই রয়েছেন। যাইহোক, বান্ধবীদের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনাদের একসঙ্গে দেখে খুবই ভালো লাগলো। বন্ধু-বান্ধবের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দর হয়। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কথায় আছে না, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আপনারাও আপনাদের মত করে আমাদের ধর্মের ঈদটাকে সুন্দরভাবে পালন করার চেষ্টা করেছেন, আর ঘুরাঘুরি করার চেষ্টা করেছেন ওই সময়টাতে দেখে খুব ভালো লাগলো। দুই বান্ধবীকে নিয়ে দেখছি ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিলেন সূর্যমুখী বাগানে। সূর্যমুখী বাগানকে ঘিরে পার্কের মতো করে কিছুটা আয়োজন করা হয়েছিল দেখে খুব ভালো লাগলো। এমনিতেই সূর্যমুখী বাগানে অনেক মানুষ ঘুরতে আসে। আর পার্কের মতো করে করলে তো আরো বেশি ভালো হয় বাচ্চাদের জন্য। তবে রেস্টুরেন্ট খুলেছিল কথাটা শুনে ভালো লেগেছে। কিন্তু সেদিন রেস্টুরেন্ট খোলা ছিল না শুনে খারাপ লাগলো। বাগানের মালিকের আইডিয়া কিন্তু ভালো ছিল।
ঈদ উপলক্ষে বান্ধবীর সাথে তাহলে ভালই ঘুরাঘুরি করেছেন। ঈদ আপনাদের ধর্মের অনুষ্ঠান না তারপরও ঈদের খুশি ভাগাভাগি করলেন। আসলে খুশি সবাই একসাথে করলে ওটাই ভালো। তবে দুই বান্ধবী তাসনিয়া আর সুমাইয়া এদের সাথে ঈদের খুশির উপলক্ষে ঘুরতে গেলেন।। দেখি বান্ধবীর সাথে পার্কে গিয়ে আরো ভালো সময় কাটিয়েছেন তা আশা করি পরের পর্বে জানতে পারবো। খুব সুন্দর করে প্রথম পর্বটি শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ঈদের দিনে এত ভালো ঘুরাঘুরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। ঘুরাঘুরি করলে এমনিতে ভালো লাগে। আর ঈদের সময় ঘোরাঘুরি করলে তো অন্যরকম আনন্দ উপভোগ করা যায়। আমরা তো ঈদের সময় অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করে থাকি যেটা আমার অনেক ভালো লাগে। ফ্রেন্ডদের সাথে ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন আপনি। এটা সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। অন্য ধর্মের হলে ও উৎসবগুলোকে নিজের মতো করে পালন করাও ভালো।
আপনি দেখছি অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি! ঈদের দিন বন্ধুদের জন্য আলাদা সময় এবং বান্ধবীদের জন্য আলাদা সময় বের করতে হয়েছে আপনাকে। হা হা হা...🤭🤭 তবে এখানে তো শুধু বান্ধবীদের নিয়ে ঘোরাঘুরির কথা লিখেছেন, বন্ধুরা কোথায় ভাই...? হা হা হা🤔😂😂
বন্ধুদের পর্বও দিয়েছি দাদা।
হ্যাঁ ভাই, সেই পর্বটি পড়ে আমি আমার মন্তব্যও জানিয়েছে সেখানে।