পহেলা বৈশাখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিছুসময়
পহেল বৈশাখ বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম বড় উৎসব। এটি কোন ধর্মীয় উৎসব না। সকল জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এই উৎসবে সামিল হয়। প্রতি বছর সম্পূর্ণ দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। যদিও সব থেকে বড় উৎসব হয় ছায়ানটের অধীনে। তারা সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এরপর রমনার বটমুলে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।যেখানে দেশের সেরা সেরা শীল্প গোষ্ঠী অংশগ্রহণ করে।
আমাদের গোবিন্দগঞ্জ রাজধানী থেকে অনেক দূরে,উত্তরবঙ্গের শুরুতেই। তবে দেশের এক প্রান্তে হলেও গোবিন্দগঞ্জ শীল্প সংস্কৃতি তে খুবই সমৃদ্ধ। গোবিন্দগঞ্জে বেশ সুনাম কুড়ানো কয়েকটি সংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আছে।যাদের মাঝে অগ্নিবীণা,তুলি আর্ট,চাকা শিল্পগোষ্ঠী অন্যতম।এর মধ্যে চাকা দেশের সীমানা অতিক্রম করে ইন্ডিয়া এবং নেপালেও সুনাম কুড়িয়েছে।
আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্য ও শীল্পানুরাগী।ফলে পহেলা বৈশাখ,বিজয় দিবস,স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবারই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ই। গত দুইবছর পহেলা বৈশাখ রোজার মাঝে পড়ায় তেমন কোন আয়োজন করা হয়নি। তাই এবার সবাই খুবই আগ্রহী ছিল এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে।
আমিও প্রথমে ভেবেছিলাম সকাল বেলা র্যালিতে যাব।কিন্তু পরে ভাবলাম ঘুম টা গুরুত্বপূর্ণ,তাই সকালে র্যালিতে গেলাম না। কিন্তু এবার যত আয়োজন ছিল,না গিয়ে দেখলাম অনেক মিস করে ফেলেছি। তবে সকালে আবার বৃষ্টি কাকিমার বাড়ি নিমন্ত্রণ ছিল।সেখানেও দুর্দান্ত খাওয়াদাওয়া এবং আড্ডা দেওয়ায় অতটা কষ্ট ছিল না।সেখানে থেকে আসার সময় ঐশীবলল,দাদা বিকেলে আমার গান আছে আপনার নিমন্ত্রণ থাকল।
প্রতিবার রাতে অনুষ্ঠান শুরু হয়,তবে এবার বিকেলেই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। যেহেতু দুইবছর অনুষ্ঠান হয়নি তাই সবাই খুবই আগ্রহী ছিল। সেজন্য বিকেল বেলাই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছিল।আমি পৌছাতে পৌছাতে দুইটি নাচ হয়ে গেছে অলরেডি৷ আমি তো ভয় পেয়েছিলাম যে ঐশীর গান ও হয়ত মিস হয়ে গেল। তবে সেখানে কাকিমা আর ঐশীর সাথে দেখা হল।তখন ওকে জিজ্ঞেস করলাম গান হয়ে গেছে কিনা। ও বলল না হয়নি।তবে আপনি লেট করে মোটেই ভাল করেন নি।
এরপর বসে বসে উপভোগ করতে থাকলাম অসাধারণ গান,নৃত্য কবিতা আবৃত্তি। ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা কত সুন্দর করে নিজের অনুভূতি, আবেগ নাচ গানের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করছে। আমার এই মানুষগুলো কে দেখলে হিংসা হয়। কত সৃজনশীল আর প্রতিভাবান এরা। আর আমার মাঝে কোন প্রতিভাই নাই। কয়কেটি গানের পর আসল ঐশীর পালা।
প্রথমটা ছিল দলবদ্ধ সংগীত। তারপরের টা একক সংগীত। একক সংগীত টি মমতাজের পাঙ্খা হইল মন গানটি। ঐশী দারুন এনার্জির সাথে গানটি গেয়েছিল।দর্শক প্রচুর আনন্দ পেয়েছিল গানটি শুনে। অনেকেই তো সাথে সাথে নাচা শুরু করেছিল। ঐশীর গানের পর আরো কয়েকটা নাচ দেখে বাড়ি চলে আসলাম৷ তবে অনুষ্ঠান বেশ উপভোগ করেছি। বছরের প্রথম দিনের শেষটা বেশ সুন্দর ভাবেই হয়েছে।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক আছে
পহেলা বৈশাখ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনেক কিছু আয়োজন করেছিল ভাইয়া। প্রতিবছর পয়লা বৈশাখে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়। কিন্তু এ বছর ছোট বাচ্চাকে নিয়ে আর হয়নি। তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। পহেলা বৈশাখের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিছু সময় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টুইটার লিংক