ফারজি||পার্ট ৩(স্পয়লার অ্যালার্ট)
[সোর্স](স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার)
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
সিরিজের নাম | ফারজি |
---|---|
জনরা | ক্রাইম,থ্রিলার |
ইন্ডাস্ট্রি | বলিউড |
ott | অ্যামাজন প্রাইম |
ভাষা | হিন্দি |
অভিনয়ে | শাহেদ কাপুর,বিজয় সেতুপতি,কে কে মেনন |
রিলিজ ডেট | ১০-২-২০২৩ |
রেটিং | ৯/১০ |
[সোর্স](স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার)
গতপর্বে
গতপর্বে আমরা দেখেছি সানি টাকা বানানোর কাগজের জন্য একটি কাগজের কারখানায় চুরি করে।আর অন্যদিকে মেঘা সানির বানানো কিছু জাল টাকার স্যাম্পল খুজে পায়।আর মাইকেল তার একটি নিজস্ব টিমের জন্য মন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে এবং মন্ত্রী তার থেকে কথা আদায় করে যে ভোটের আগেই সে এসব জাল টাকা বাজারে আসা আটকাবে যার ফলে মন্ত্রী ভোটের আগে তার একটি ভাল ইমেজ তৈরি হয়।
মন্ত্রী মাইকেল কে একটি টিম দিয়ে দেয়।যে টিমের নাম দেওয়া হয় CCFAR।টিম পাওয়ার পর পরই মাইকেল মনসুর এর পিছে লেগে যায়।এজন্যই প্রথমে সে তার টিম কে মনসুর আর তার দলের সদস্যদের সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করে।
[সোর্স](স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার)
এদিকে মেঘা সানির বানানো সেই নোট গুলো তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানায়।কিন্তু সেই কর্মকর্তা জানায় তারা শুধু অ্যানালাইজ করে।এগুলো কাজ পুলিশের মেঘা যেন পুলিশ কে জানায়। কিন্তু মেঘা এতে রাগ হয়ে কিছু কটু কথা তার উর্ধতন কর্মকর্তা কে।ফলে সেই কর্মকর্তা রাগ হয়ে মেঘাকে বের করে দেয়।
[সোর্স](স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার)
তারপর সেখান থেকে বের হবার সময় সে মাইকেল এর নতুন টিমে জয়েন করার সার্কুলার পায়।তখন সে সরাসরি মাইকেল এর কাছে যায় এবং বলে আমি আপনাদের টিমে জয়েন হতে চাই। তখন মাইকেল মেঘা কে জিজ্ঞেস করে তার যে কোয়ালিফিকেশন তাতে সে কর্পোরেটে জগতে অনায়াসে বেশি বেতনে চাকুরি করতে পারবে।কিন্তু সে তার টিমে কেন জয়েন করতে চায়।তখন মেঘা যে উত্তর দেয় তাতে মাইকেল খুশি হয় এবং তার চাকুরি হয়ে যায়।
[সোর্স](স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার)
এরপর দেখি সানির এক বন্ধুর থেকে সে একজন লোকের খোজ পায় যে তাকে বড় একটা অর্ডার দেয়।কিন্তু গতবার তারা যে কাগজ চুরি করেছিল তা দিয়ে সেই অর্ডার পূরণ করা সম্ভব না।তাই সে এবার বৈধ ভাবে কাগজ কেনার জন্য এক বয়স্ক মানুষের সাহায্যে একটি কোম্পনী খোলে।আর সে কোম্পানী এর জন্য একজন রিসেপসনিস্ট নিয়োগ দেয়।এই নিয়োগের দৃশ্যটুকু অনেক মজার।
[সোর্স](স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার)
যারা ভাইভা দিতে আসছে তারাও জানেনা তাদের কাজ কি,আর যারা ভাইভা নিচ্ছে তারাও জানে না।যাই হোক তারা বৈধ ভাবেই কাগজ কিনেই ছাপানো শুরু করে।এবার অর্ডার বিশাল,কিন্তু সময় মাত্র ৭দিন।তাই তারা দিনরাত ছাপানো শুরু করে।
[সোর্স](স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার)
মেঘা টিমে জয়েন করার পর থেকেই চুপচাপ বসে।তাদের কোন কাজ নেই। তখন তার সেই সানির বানানো টাকার কথা মনে পড়ে।সে টাকা গুলো মাইকেল কে দেখায়।কিন্তু মাইকেল ও সেই উর্ধতন কর্মকর্তার মত বলে,সে শুধু মনসুর দালালের পিছেই এখন মনযোগ দেবে।কারন মনসুর কোটি কোটি টাকা বানায় আর এরা ছোট খাটো জালিয়াত এরা বেশি কিছু করতে পারবেনা।এই বলে সে একটি মিটিংয়ে চলে যায়।
[সোর্স](স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার)
কিন্তু মেঘা হতাশ হলেও হাল ছাড়ে নি। সে একটি কাগজে সার্চ অর্ডার নিয়ে সেখানে মাইকেল এর ভুয়া স্বাক্ষর করে পাশের থানায় যায়। সেখানে সে একজন পুলিশ কর্মকর্তা কে কনভিন্স করে সার্চ এর জন্য। এবং তারা সার্চ করা শুরু করে।একপর্যায়ে তারা সানিদের প্রেসে পৌছে যায়।তখনো সানিরা প্রেসে টাকা ছাপাচ্ছিল।এই অবস্থায় যদি তারা ধরা পড়ে তবে তারা জেলে যাবে।
[সোর্স](স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার)
তখন সানি তার চাচাকে বাইরে পাঠায় মেঘাদের যতটা সম্ভব দেরি করানোর জন্য।কিন্তু তার চাচা এত ভয় পায় যে উল্টাপাল্টা বলা শুরু করে ফলে পুলিশের সন্দেহ আরো বেড়ে যায়।ফলে তারা প্রেস খোলে কিন্তু এর মাঝেই সানিরা টাকা গুলো সরিয়ে ফেলে।কিন্তু এই গোলামালের ভেতর তারা ডাস্টবিন সরাতে ভুলে যায়। যেখানে নষ্ট টাকা গুলো রাখা আছে।আর মেঘাও সরাসরি সেই ডাস্টবিনের দিকেই যেতে থাকে।
[সোর্স](স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার)
তবে কি আজকেই সানিদের সব জারিজুরি শেষ? তারা কি ধরা পড়ে যাবে? জানতে হলে দেখে ফেলুন ওয়েব সিরিজটি।
ব্যক্তিগত মতামত
থ্রিলার এর মানে হচ্ছে ইমশোনাল রোলার কোস্টার রাইডের মত।যেখানে টানটান উত্তেজনা থাকে,এই বুঝি কিছু হবে এমন অনুভূতি থাকে।আর তৃতীয় পর্ব সেই কাজ খুব ভালভাবে করে। আপনাকে প্রতিটি সেকেন্ড পর্দায় আটকে রাখবে এক সেকেন্ডের জন্যেও বোরিং ফিল করবেন না।আর অভিনয়৷ প্রত্যেকের অভিনয় এত অসাধারণ যে বোঝায় যায়না অভিনয় দেখছি। সময় হলে দেখে ফেলুন দুর্দান্ত ওয়েবসিরিজ টি।
ট্রেইলার
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
ভাইয়া দারুন একটি ওয়েবসিরিজ আমাদের সাথে শেয়ার করতেছেন।আমি যদিও আগের পর্বগুলো করতে পারি নাই তবে তৃতীয় পর্বটি পড়ে একটি দৃশ্য আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আর সেটি হল যারা ইন্টারভিউ দিতে আসছে তারাও জানেনা তাদের কাজ কি আর যারা ইন্টারভিউ নিচ্ছে তারাও জানেনা তাদের কে কি কাজে দেয়া হবে,হা হা হা। যাই হোক ওয়েবসিরিজটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।