কাকা ভেজা হয়ে পরীক্ষা দেওয়া

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব বিরক্তির কিছু মুহুর্ত

"ছাত্র জীবন সুখের জীবন যদি না থাকত এক্সামিনেশন।" কথাটার সাথে আমি ২০০% একমত। পরীক্ষা নেওয়ার পেছনে স্যারদের উদ্দেশ্যই হল ছাত্রদের সুখ টা নষ্ট করা। অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত পোষন করবে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই,"আপনারা নিজেরাও সুখে থাকতে চান না,অন্যকেও সুখে দেখতে পছন্দ করেন না।নিতান্তই হিংসুক আপনারা।

যাই হোক আসলে আমি নিজের সুখ নিজেই দেখতে পারি না।আপনাদের আর কি দোষ দেব। থার্ড ইয়ারের পরীক্ষা সব ভালই ছিল। রেজাল্ট ও ভাল আসল। কিন্তু তারপরেও মনে হল দেই না মানউন্নয়ন পরীক্ষা। যদি আরো ভাল আসে। সুখে থাকতে ভূতে কিলায় যাকে বলে।

গত ১২তারিখ ছিল পরীক্ষা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমেস্ট্রি। সেদিন আবার ছাত্রছাত্রীদের ও রেজাল্ট। ওদের রেজাল্ট এর টেনশনে আমার পড়াশোনা তো দূর ঘুম খাওয়া পর্যন্ত হারাম হয়ে গিয়েছিল।ওদের রেজাল্ট এর চিন্তা মাথায় নিয়েই গেলাম পরীক্ষা দিতে। আমার কোন কালেই ছাতা নেওয়া অভ্যাস নাই। আর ছাতা কেউ জোর করে হাতে দিলেও সে ছাতা বাড়িতে ঘুরে আসার রেকোর্ড ও নেই।আর তাছাড়া আবহাওয়া ভাল ছিল জন্য ছাতা নেওয়ার কথা মাথা তেও আসে নি।

যতই বগুড়ার দিকে গাড়ি এগোতে লাগল ততই আকাশ এর মুখ যেন কালো হয়ে আসতে লাগল।আমার তখনো কিছু মনে হয়নি। আকাশ তো প্রতিদিনই এমন করে,কিন্তু একটু পর আবার কাঠফাটা রোদ ওঠে।কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছিলাম আজ বৃষ্টি হলেই আমার সমস্যা।তাই আজ বৃষ্টি হবেই। আর হলো ও তাই। তবে ঐ যে বলে কপাল,যতক্ষণ বাসে ছিলাম ততক্ষণ মোটেই কিন্তু বৃষ্টি নেই।

যে গাড়ি থেকে নেমে দুই পা গেছি এর মাঝে ঝুম বৃষ্টি। একটু দুরেই একটা দোকানের ছাউনি ছিল। কিন্তু সেখানে পৌছাতে পৌছাতে আমি কাকভেজা হয়ে গেছি। তারপর দোকানে কিছুক্ষণ দেরি করতেই দেখি বৃষ্টি থেমে গেছে। আমি ভাল মানুষ রিক্সা নিয়ে কলেজের দিকে রওনা দিলাম। ওমা আবার বৃষ্টি৷ রিক্সার হুড তুলে দিয়ে পলিথিন ছড়িয়ে নিতে নিতে কাক ভেজা থেকে পুরোপুরি ভেজা হয়ে গেলাম।

তারপরেও সুখে দু:খে পৌছালাম পরীক্ষা কেন্দ্রে।গিয়ে দেখি আরেক সমস্যা। সবাই ভিজতেছে,হলের গেটের দারোয়ান সাহেব এর বক্তব্য হল স্যার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাকি ভেতরে ঢোকা যাবে না। বেচারা কোন ভাবেই বুঝতে নারাজ এভাবে ভিজতে থাকলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে।পরে অবশ্য স্যার এসে উনাকে বকা দেয়,এভাবে আমাদের দাড় করিয়ে রাখার জন্য।কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি। আমরা সবাই একদম চিনির রসে ভেজা পান্তোয়ার মর ভিজে টুপটুপে। সেই অবস্থা তেই অস্বস্তি নিয়ে পরীক্ষা দিলাম।

আজকের পর্ব এপর্যন্তই। ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

আহারে! তোমার সাথে যে বৃষ্টির এমন গুরুতর বিরোধ সেয়া তো জানতাম না! বেশ ভালোই ভোগান্তি হয়েছে তবে পরীক্ষার দিনে! এখন পরবর্তীতে অসুস্থ না হলেই হয়।

 6 months ago 

ভয়ে ছিলাম মাসি, কিন্তু ভগবানের ইচ্ছায় কিছু হয়নি।

 6 months ago 

একবার আমারও তো এমন হয়েছিল। হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। অথচ হলের গেট তখনো বন্ধ ছিল। কাউকে ভিতরে যেতে দিচ্ছিল না। এরকম সিচুয়েশনে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। কি আর করার সবকিছু মেনে নিতেই হয়। যাই হোক ভাইয়া আপনার অনুভূতি জেনে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ হলো।

 6 months ago 

"ছাত্র জীবন সুখের জীবন, যদি না থাকত এক্সামিনেশন"- এই কথাটার সাথে আমি ২০০০% একমত। হা হা হা....🤭🤭 তবে আপনার মত আমারও ওই রোগটা আছে ভাই, কোথাও ছাতা নিয়ে যেতে ইচ্ছা করে না আর একবার নিয়ে গেলে সেটা আর বাড়ি পর্যন্ত ফিরে আসে না। তবে দারোয়ানের আপনাদের ওইভাবে আটকে রাখা উচিত হয়নি বৃষ্টির ভিতরে। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত যে পরীক্ষা দিতে পেরেছেন, এটাই অনেক।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.033
BTC 93256.79
ETH 3124.97
USDT 1.00
SBD 3.05