বিজয় দিবস উদযাপন||পর্ব দুই
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।সবাইকে জানাই লেপের ওমের মত উষ্ণ ভালবাসা।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি শীতকাতুরে মানুষ হিসেবে বেশ খানিকটা বিপদে আছি।
চলছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে আমরা অর্জন করি চূড়ান্ত বিজয়।বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা পায় বাংলাদেশ নামে একটি দেশ।তবে এই বিজয় এসেছে চরম ত্যাগের বিনিময়ে।তাই বিজয়ের এই মাস আমাদের জন্য আনন্দের।প্রতিটি জায়গা সে শহর হোক বা গ্রাম, সব খানেই মহাসমারোহে বিজয়দিবস পালন করা হয়।
আমাদের গোবিন্দগঞ্জ ও এর ব্যতিক্রম নয়।প্রতিবছরই মহাসমারোহে বিজয় দিবস পালন করা হয়।আমাদের শহরের একদম প্রাণ কেন্দ্র গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয় প্যারেড ও বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগীতার,আর উপজেলা মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
খুব সকাল থেকে বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও সংগঠনের ছাত্রছাত্রী ও কর্মীরা বিজয়র্যালী করে একত্রিত হয় গোবিন্দগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্যারেড দেখার জন্য মাঠের চারপাশে দর্শকদের জন্য চেয়ার দেয়া ছিল এবং মাঠের ভেতরে যাতে দর্শক ঢুকে না পড়ে সেজন্য দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া ছিল।দর্শকরা সেই দড়ির ঘেরের বাইরে বসে সব উপভোগ করছিল।
প্রথমেই মাননীয় সংসদ সদস্য আসন গ্রহণ করার সাথে সাথে সভাপতি মহোদয় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেন। কার্যক্রমের শুরুতেই শহীদ দের স্মরণে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়,তারপর জাতীয় সংগীত এর সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।এখানে একটা ঘটনা ঘটে।
আমার পাশে কিছু জুনিয়র ছেলে ছিল ওরা জাতীয় সংগীত এর সময় যে দাড়াতে হয় সেটা জানে না। আমি বলার পরের তারা দাঁড়ায় না। এটাতে প্রচন্ড রেগে যাই আমি।তখন তারা দাঁড়ায়।আসলে জাতীয় সংগীত জাতীয় পতাকার অসম্মান কোন ভাবেই মানতে পারিনা।পরে অবশ্য তাদের শহীদ দের ত্যাগের বিষয় বুঝিয়ে বলার পর তারা ক্ষমা চায়,আর ভবিষ্যতে এমন বেয়াদবি করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করে।
এরপর কোরান তেলোয়াত ও গীতাপাঠ হয়।তারপর শান্তির প্রতীক পায়ারা ও ব্যানার উড়িয়ে দেওয়া হয়।তারপর সভাপতি মহোদয়,প্রধান অতিথি মহোদয় ও বিশেষ অতিথি মহোদয় একে একে বক্তৃতা দেন।তারা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কথা বলেন।সবাইকে নিজের জায়গায় সৎ থেকে সোনার বাংলা গড়ার উপদেশ দেন।
এরপর প্যারেড কমান্ডারের সশস্ত্র সালামের পর মার্চপাস্টের নির্দেশ দেন।কিন্তু এই মুহুর্তে একটি জরুরি কাজ চলে আসায় মাঠ ত্যাগ করতে হয় আমাকে।তারপর যখন ফিরে আসি তখন সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেছে।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
আসলে ভাইয়া আপনার আজকের পোস্টটি দেখে আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। আমার এখনো মনে আছে আমাদের স্কুল থেকেও বিজয় দিবসের এই প্রোগ্রাম গুলোতে অংশগ্রহণ করা হতো। তখন শুধু বিজয়ের আনন্দ ছিল না। প্রোগ্রাম উপলক্ষে নতুন পোশাকেরও আনন্দ ছিল। কিছুক্ষণের জন্য সেই স্মৃতিতে চলে গিয়েছিলাম। তবে একটি কথা -এখনো অনেক জায়গায় জাতীয় সংগীত এর সময় অনেকেই দাঁড়ায় না। আমি জানি না বিষয়টি কেমন যেন।
প্রথমেই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি ভীষণ সুন্দর হয়েছে মনে হচ্ছে। আমি যেখানে বড় হয়েছি সেখানেও এরকম চমৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। বিশেষ করে পিটি- প্যারেট এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল মূল আকর্ষণ। যাক আপনাদের অনুষ্ঠানের আয়োজন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো ভাই।
শীত কাতুরে মানুষের একটু সমস্যা হয়ে যায় শীতের দিনে বাইরে যাওয়া।গোবিন্দগঞ্জ এ অনেক ভালো ভালো অনুষ্ঠান হয় সবসময়। আমার মেয়েরাও হাইস্কুলে গান গাওয়ার জন্য গিয়েছিল। জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় দাড়াতে হয় এটা অনেকেই বোঝে না নাকি বুঝেও দাঁড়ায় না সেটা আমি বুঝতে পারিনা। অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছো তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে বিজয় দিবস যে আমাদের জন্য কতটা আনন্দের তা ভাষা বলে প্রকাশ করা যায় না। বিজয় দিবসে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। বিজয় দিবসের প্যারেড মুহূর্তগুলো খুবই অসাধারণ হয়। হৃদয় উজার করে সশস্ত্র সালাম দেয়া হয় বীর শহীদদের প্রতি। আর সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র তুলে ধরা হয়। আমি একজন স্কাউটের সদস্য ছিলাম। আমার অনেক সৌভাগ্য হয়েছে এই অনুষ্ঠানগুলো করার। হৃদয় দিবসে এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
দাদা আপনাকেও লেপের নরম তুলার শুভেচ্ছা ৷ সত্যি বিজয় দিবসের দিন আমি বাড়ি হতে কোথাও যেতে পারি নি ৷ হয়তো বা আপানাকে এ বিষয়ে বলেছিলাম ৷ যে বাবা অসুস্থ ছিল ৷
তবে মনে পড়ে যখন স্কুলে ছিলাম এই দিবস গুলো অতি আনন্দের সহিদ পালন করতাম ৷
যা হোক গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান৷ সেই সাথে আপনার করা ফটোগ্রাফি ও উপস্থাপনা সত্যি অনেক মনোমুগ্ধকর ছিল ৷
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ৷
বিজয় দিবসে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভাল লাগলো। বিজয় দিবসে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান, মেলা হয়ে থাকে। আপনাদের সরকারী বিদ্যালয়ে প্যারেড,বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে দেখে খুব ভাল লাগলো।জাতীয় সংগীত চলাকালীন সোজা হয়ে দাঁড়াতে হয়, এটা অনেকেই করে না। ইচ্ছে করে করে না,নাকি জানে না আমি এই বিষয়ে অবাক হয়ে যাই। আপনার কাজ ছিল তাই হয়ত আপনি সম্পুর্ন অনুষ্ঠান দেখতে পাননি।পুরো অনুষ্ঠান দেখতে পেলে ভালোই লাগতো আপনার।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যা ভাইয়া বেশ বড় আমাদের মাঠ।আমিও প্রতিবছর স্কুল লাইফে ফিরে যায় এই দিন গুলোতে।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ছোটবেলায় আমরা এরকম বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম ১৬ই ডিসেম্বরএ। প্রত্যেক স্কুলেই বিজয় দিবসের একটা অনুষ্ঠান হয় যেখানে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে। যখন ছেলে মেয়েরা সুন্দর সুন্দর অভিনয় গান নাচ করে থাকে তখন খুবই ভালো লাগে দেখতে তাই না। বিজয় দিবসে খুবই ভালো সময় কাটে। সবাই মিলে অনেক জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হয়। আপনি তো দেখছি খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন। যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সত্যি এরকম বিভিন্ন রকম বিষয় পড়তে খুবই ভালো লাগে যেমন আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।