রবিবারের আড্ডা -৯২ | উন্মুক্ত আড্ডা - ১০ পর্ব
ব্যানার ক্রেডিটঃ @hafizullah
আমার বাংলা ব্লগের আয়োজন রবিবারের আড্ডার নতুন সংযোজন হচ্ছে এবিবি উন্মুক্ত আড্ডা । মূলত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে তাদের সামনে একটা বিষয় তুলে ধরা হয়। যে সকল সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী হয়, তাদের নিয়েই মূলত এই অনুষ্ঠানটা পরিচালিত করা হয়।
তাছাড়া এই অনুষ্ঠানটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেহেতু চার-পাঁচজন অতিথি থাকে প্রথমত দুইবারে সকল অতিথির মতামত শোনা হয়, দ্বিতীয়তঃ কিছুটা বিরতি দিয়ে উপস্থিত দর্শকদের মতামত গ্রহণ করা হয় এবং নিজেদের পছন্দের গান শোনা হয়। সর্বশেষে উপস্থিত সকল দর্শক ও শ্রোতাদের জন্য থাকে শুভেচ্ছা পুরস্কার ।
স্মৃতিচারণ - শৈশবের শীতের আমেজ।
প্রথম অতিথিঃ @kausikchak123
ভেরিফাইড সদস্য,আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ আমার কাছে শীত অনেকটা প্রতীক্ষার মতো। মূলত সে সময় ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে ঘুরতে যেতাম। তাছাড়া বড়দিনের ছুটি থাকতো, সেসময় খুব মজা করতাম। আমি মূলত ছোটবেলায় চিড়িয়াখানায় যেতাম দাদুর সঙ্গে। খুব কাছ থেকে চিড়িয়াখানার জীবজন্তুদের দেখতাম। এছাড়া প্রায়ই মাঝে মাঝে খরগোশদের গাজর খাওয়াতাম। এ স্মৃতিগুলো আমাকে বেশ ভালই নাড়া দেয়। তাছাড়া আমি ছোটবেলা থেকে এমন জায়গায় বড় হয়ে উঠেছি, সেখানে সকল ধর্মের মানুষের বসবাস ছিল। তাই সকল ধর্মের প্রতি আমার আলাদা সম্প্রীতি কাজ করে। এছাড়া মাঝে মাঝে শীতের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে দার্জিলিং কিংবা গ্যাংটক চলে যেতাম, দারুণ সব সময় কাটিয়েছি শৈশব জীবনে। যা এখন শুধুই স্মৃতি। সব মিলিয়ে বলতে গেলে এখন তো আর কলকাতাতে শীত নেই, তবে আমি শীত প্রেমিক মানুষ, যেখানেই শীত থাকে সেখানেই ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করি।
দ্বিতীয় অতিথিঃ @ah-agim
ভেরিফাইড সদস্য,আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ ছোটবেলার দিনগুলো এখন আর চাইলেও ফেরত পাওয়া যাবে না, তবে যখন ছোট ছিলাম সেই সময় শীতের দিনে আমাদের এখানে খেজুরের রস পাওয়া যেত। বিশেষ করে রাস্তার দুই পাশে খেজুরের গাছ ছিল, গাছগুলোতে হাঁড়ি লাগানো থাকতো রস সংগ্রহের জন্য। তাছাড়া আমাদের এদিকে শীতের সময়ে ইসলামী মাহফিল হতো, সেই সময় রাত্রে বেলা করে আমরা বন্ধুরা মিলে মাহফিল দেখতে যেতাম। মাহফিল থেকে ফেরার সময় প্রায় দিনই রস চুরি করে খেতাম। তবে একবার রস চুরি করে খেতে গিয়ে রসের ভিতরে যে বোলতা ছিল তা আর খেয়াল করিনি। সেই সময় রস খেতে গিয়ে ঠোঁটে বোলতা কামড় দিয়েছিল, তারপরে চোখমুখ এমন অস্বাভাবিকভাবে ফুলে গিয়েছিল যা চিন্তার বাহিরে। তারপর থেকে আর কখনো চুরি করে রস খাইনি, ছোটবেলার এই ঘটনা মনে পড়লে মাঝে মাঝে প্রচুর হাসি পায়।
তৃতীয় অতিথিঃ@monira999
ভেরিফাইড সদস্য,আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ যদিও ছোটবেলায় খুব কম সময়ের জন্য গ্রামে থেকে ছিলাম, তবে তারপরেও অনেক কিছুর সাক্ষী আমি আছি। বিশেষ করে আমাদের এদিকে সেসময় ধান কাটার পরে যে খড় থাকতো জমিতে সেগুলো তুলে এলাকার বয়স্ক লোকেরা একত্রিত করে আগুন জ্বলাতো। আমরা সেই আগুনের মাঝে কখনো কখনো মুড়ির ধনা ছিঁটে দিতাম। সেগুলো আবার কুড়িয়ে খেতাম। তাছাড়া আমার একবার এক বান্ধবী আগুনের ভিতরে বেল পোড়া দিয়েছিল পরে সেটা ফুটে তার গলায় লেগেছিল। তাছাড়া শীত বেশি হলে আমরা তখন জলপাই আর কাঁচা মরিচ পুড়িয়ে খেতাম সেটাও বেশ মজা লাগতো। সব মিলিয়ে শৈশবের স্মৃতি এখন শুধুমাত্রই স্মৃতি, যা আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না।
চতুর্থ অতিথিঃ@bristychaki
ভেরিফাইড সদস্য,আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃআমার কাছে ছোটবেলা থেকেই শীতকালটা বেশ কষ্টের ছিল। কেননা আমার ঠান্ডা জনিত সমস্যার কারণে প্রতিনিয়ত সর্দি লেগেই থাকতো, যার কারণে ঠিকঠাক মতো বাহিরে যেতে পারতাম না। এমন অবস্থা হতো নাক মুছতে মুছতে, কাপড় নষ্ট হয়ে যেত। তাছাড়া যেহেতু আমরা জয়েন পরিবারে ছিলাম আর বাড়িটাও বেশ বড় ছিল, তাই মাঝে মাঝেই পিকনিক করা হতো। মূলত পিকনিক হলে সবাই সবার বাড়ি থেকে ডিম চাল অন্যান্য জিনিস নিয়ে আসতো। আমাদের বাড়ির সবাই আমরা ঠাম্মাকে দেখে ভয় পেতাম, একবার চাল চুরি করে নিয়ে আসার সময় একদম হাতে নাতে ঠাম্মার কাছে ধরা পড়ি। যদিও কিছু বলেননি, তবে এমন কথাগুলো বারবার মনে পড়ে।
তাৎক্ষণিক অতিথি ও শ্রোতার মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কারের স্পন্সর কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদা
মূলত এভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল এবিবি উন্মুক্ত আড্ডা। আমাদের চিন্তাধারা প্রতিনিয়তই ব্যতিক্রম, তাই সব ব্যতিক্রম চিন্তা-ভাবনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই প্রতিনিয়ত সামনের দিকে। আশাকরি আমাদের সঙ্গে সকলেই থাকবেন, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংকঃ
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শৈশবের প্রত্যেকটা স্মৃতি অনেক বেশি মধুর। বিশেষ করে শৈশবের শীতকালের স্মৃতি গুলো অনেক বেশি মধু ছিল। চেষ্টা করেছি নিজের অনুভূতি তুলে ধরার। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া আমাকে আমার অনুভূতি শেয়ার করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/sharifShuvo11/status/1855934425017782426?s=19
ট্রেনে থাকার কারণে টাওয়ার ভালো ছিল না তাই আড্ডায় জয়েন করতে পারিনি। আর কারোর কথা শুনতেও পারিনি। তবে আড্ডায় জয়েন করলে আমিও আমার স্মৃতির কথা বলতাম। কারণ কালকের টপিকটাই ছিল কথা বলার মত টপিক। শীতকাল মানেই তো আনন্দের মরসুম। যাইহোক আপনার লিখিত রূপটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম কারণ সবার কথা এভাবেই পড়ে নিলাম। ধন্যবাদ দাদা।
এবার আড্ডার বিষয়টি অসাধারণ ছিল। অতিথিদের শৈশবের কথাগুলো শুনে অনেক ভালো লাগছিল। শীতকাল প্রত্যেকেরই পছন্দের একটি সময়। খুব সুন্দর করে অতিথিরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। ধন্যবাদ দারুন একটি রিপোর্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
বেশ উপভোগ্য একটা আড্ডা হয়েছে মনে হচ্ছে এবং অনেক পার্টিসিপ্যান্ট ছিল। শীত নিয়ে কয়েকজন তাদের সৃতিচারণ করেছেন যেগুলো আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই মিলে যায়। কিন্তু আমার কাছে শীত মৌসুম টা ফেভারিট না।
ভাল থাকুন।
দারুন ভাবে সম্পূর্ণ আড্ডাটা তুলে আনলেন ভাই। আবার যেন সেই দিনের কথাগুলো মনে পড়ে গেল। তবে সেদিন বিষয়টা খুব ভালো ছিল। এই প্রিয় ঋতু নিয়ে যা বলি তা যেন শেষ হয় না। খুব সুন্দর করে সমগ্র পরবর্তী ব্যাখ্যা করলেন পোস্টে। এটি পড়লেই সবার জানা হয়ে যাবে।
আশা করি ভাইয়া, ভালো আছেন? রবিবারের আড্ডা মুহূর্ত গুলো বেশ দারুন ছিলো । আসলে সত্যি আমাদের প্রত্যেকের শৈশবের শীতের আমেজের অনুভূতি খুবই অসাধারণ। সবাই শৈশবের শীতের অনুভূতি শুনে ভালো লাগলো। এবং নিজে কিছু অনুভূতি শেয়ার করতে পারলাম সত্যি বেশ ভালো লাগছে। আড্ডার মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে পুনরায় উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
খুব সুন্দর একটি টপিকস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল গতকালকের আড্ডায়। বিশেষ করে শীতের আগমনে আমাদের সেই আগের স্মৃতিগুলো অনেক বেশি মনে পড়ে।গতকালকের আড্ডায় চারজনের থেকে বেশ সুন্দর সুন্দর স্মৃতি জানতে পেরেছিলাম। সবার জীবনে অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি রয়েছে সেই সুন্দর অতীত শীতকাল কে নিয়ে। সবাইকে মিলে এতো সুন্দর একটি মুহূর্ত অনেক ভালো লাগছিল শুনতে।
আমার বাংলা ব্লিগের নতুন সংযোজন রবিবারের আড্ডা যেখানে আমরা সবাই উপস্থিত থেকে দারুন একটি সময় উপভোগ করি।আমার বাংলা ব্লগ একমাত্র কমিউনিটি যারা এটা করে থাকে।খুব দারুন ইঞ্জয় করেছিলাম।সবাইকে শুভ কামনা।