রবিবারের আড্ডা - পর্ব ৯৪ | জীবনের গল্প - পর্ব ১১
ব্যানার ক্রেডিট @hafizullah
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের নতুন আয়োজন জীবনের গল্পের শো-তে । মূলত আমরা যেহেতু প্রথম থেকেই বলেছিলাম, রবিবারের আড্ডার কিছুটা ভিন্নতা হবে, ঠিক সেই ভিন্নতার জায়গা থেকেই, এই সংযোজন। মানুষের জীবনে কত গল্পই তো থাকে, কত সুখস্মৃতি থাকে, থাকে পাওয়া না পাওয়ার অভিজ্ঞতা কিংবা হারিয়ে ফেলার তিক্ততা কিংবা থাকে সফলতার হাজারো গল্প, যা হয়তো অনায়াসেই, অন্য কাউকে অনুপ্রাণিত করে ফেলে মুহূর্তেই। এই গল্পগুলো হয়তো অজানাই থেকে যায়, আমরা আসলে কান পেতে থাকি, এই গল্পগুলো শোনার জন্য। এইজন্য বাংলা ব্লগ আয়োজন করেছে, জীবনের গল্প। যেখানে অতিথি তার নিজের জীবনের গল্প অন্যদের সামনে অনায়াসেই বলে ফেলবে এবং অতিথি নিজের থেকেও বেশ হালকা হবে, সেটা হয়তো মনের দিক থেকে।
আজকের অতিথিঃ @haideremtiaz
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
ফেলে আসা জীবন থেকে যদি কিছু কথা স্মৃতিচারণ করতেন।
আমরা ছোটবেলা থেকে পাঁচ ভাই বোন ছিলাম, আমার বড় আপু সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করতো, সেই সময় তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তবে দুঃখের বিষয় একটা সময়ের পরে ডাক্তাররা অপারগতা প্রকাশ করে তারপরে আমার আপু পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যায়। সেদিন আমার সমাপনী পরীক্ষা চলছিল, ইংরেজি পরীক্ষা ছিল আমি পরীক্ষা দিতে যাব না এমন একটা অবস্থা। তবে তারপরেও পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম, আমার চোখ মুখ লাল দেখে ক্লাসের ম্যাডাম বলেছিল, তোমার এই অবস্থা কেন। তখন আমি বলেছিলাম আমার বড় আপু মারা গিয়েছে। মূলত তারপরেই শুরু হয় আমার স্ট্রাগলিং। অবশেষে সমাপনী পরীক্ষা ভালো হয়, তারপরে মাধ্যমিকে ভর্তি হই। মাধ্যমিক পাস করার সময় আমার রেজাল্ট ৪.৫ পয়েন্ট এর নিচে আসে। তখন আমার মামার বাড়ির লোকজন অনেক কথা শুনায়। অবশেষে আমি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হই, তবে সেখানে বেশি দিন থাকতে পারি নি। তারপরে ভর্তি হয়ে যাই পলিটেকনিকেলে। সেখান থেকে ডিপ্লোমা করে বের হই। তারপর ডুয়েটের জন্য আবারো পুনরায় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। তবে আমি প্রথমবার সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাইনি। সেসময় আমার আত্মীয়-স্বজন এমনকি যে মেয়েটার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের একটা সম্পর্ক ছিল সেও আমার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিল। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, পরের বছর যখন আমি ডুয়েটে চান্স পেয়ে যাই, তখন আবার সবাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দেয়। এমন কি সেই মেয়েটাও। যদিও মেয়েটার সঙ্গে আমার দীর্ঘ পাঁচ বছরের সম্পর্ক, তবে তারপরেও আমি এখনো তার মন বুঝতে পারি না। থাক সেসব কথা, মোটামুটি এগুলো আমার অতীত জীবনের টুকটাক কিছু কথা। আমার আসলে মুঠোফোন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবং দেশের অবস্থা এলোমেলো হয়ে যাওয়া কারণে এই বিগত পাঁচ মাস আমি এখানে নিয়মিত হতে পারি নি। তবে এখন থেকে পুনরায় আবারো আগের মত সক্রিয় থাকব। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অতিথি ও উপস্থিত দর্শকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।
পুরস্কার বিতরণের সম্পূর্ণ অবদান @rme দাদার
উপস্থিত দর্শক শ্রোতারা বেশ ভালই উপভোগ করেছিল অতিথির জীবনের গল্প। তারা বেশ ভালই প্রশ্ন রেখেছিল এবং উত্তরগুলো খুঁজেও পেয়েছিল, অতিথির গল্পের মাঝে।
সব মিলিয়ে জীবনের গল্প চলছে, একদম দুর্বার গতিতে । পরবর্তীতে আমরা আসছি কিন্তু আপনার দরজায়, আপনি প্রস্তুত তো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংকঃ
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রবিবারের আড্ডায় জীবনের গল্প থেকে আমরা অনেক কিছু আমাদের জীবনে শিক্ষা লাভ করতে পারি।আড্ডার অতিথি হায়দার ইমতিয়াজ ভাইয়া বেশ দারুন কিছু কথা বলেছেন।রবিবারের আড্ডা মানেই অন্যরকম বিনোদনের আয়োজন।আড্ডা দুর্বার গতিতে চলছে সেই সাথে আপনার সুন্দর উপস্থাপনা আড্ডাকে আরো প্রাণবন্ত করছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই রিপোর্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
গতকালকে জীবনের গল্প এপিসোড দারুণ উপভোগ করেছি। হায়দার ইমতিয়াজ ভাই উনার জীবনের অনেক কিছুই শেয়ার করেছেন। আসলে আত্মীয় স্বজনদের কাজ ই হচ্ছে খারাপ সময়ে খোঁচা মারা। যাইহোক এই রিপোর্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গতকালের রবিবারের আড্ডাটি বেশ দারুন ভাবে উপভোগ করেছি সকলে একত্রিত হয়ে। কালকের রবিবারের আড্ডা থেকে একটি জিনিস ভালো ভাবে শিখতে পেরেছি, সেটি হচ্ছে জীবনে পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা পাওয়া সম্ভব। আমরা ইমতিয়াজ ভাইয়ের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। এছাড়াও পুরো আড্ডা টি একদম জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবারের আড্ডার মুহূর্তটি আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। হায়দার ইমতিয়াজ ভাইয়ার জীবনের গল্প শুনে খুব ভালো লেগেছে। পুরো মুহূর্তটা অনেক ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম। এত সুন্দর করে মুহূর্তটা সবার মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।
রবিবারের আড্ডার সুন্দর একটা মুহূর্ত আজকে আমাদের মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটালাম গতকালকে। ইমতিয়াজ ভাইয়ের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছিলাম। আর অনেক কিছু শিখতেও পেরেছি। ধন্যবাদ এটা শেয়ার করার জন্য।
রবিবারের আড্ডা জীবনের গল্পের এবারের পর্বে অতিথি অনেক সুন্দর করে নিজের কথাগুলো উপস্থাপন করেছেন। আর আমরাও কথাগুলো অনেক বেশি উপভোগ করেছি। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন বিষয়গুলো।
অসাধারণ স্মৃতিচারন হাইদার ভাই এর। তার জীবনে স্ট্রাগল গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে তাকে ধন্যবাদ। উনার জীবনকাহিনীর মাধ্যমে একটা বাস্তবতা উঠে এসেছে। সুসময় এ অনেকেই বন্ধু হয় কিন্তু খারাপ সময় এ সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়।
জীবনের গল্প অনুষ্ঠানে হায়দার ইমতিয়াজ ভাইয়ের জীবনের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটা শুনেছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল। জীবনটা কতটা কঠিন সেটা হায়দার ইমতিয়াজ ভাই প্রতিটা মুহূর্তে বুঝতে পেরেছে যাই হোক সে এখন ভালো একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে আশা করি জীবন পাল্টে যাবে তার জন্য শুভকামনা রইল।