দেয়াল লিখন
কিছু ছোট ছোট বিষয় জীবনকে হঠাৎই এমন ভাবে অনুপ্রাণিত করে ফেলে, যার জন্য হয়তো আগে থেকে কোন পূর্ব প্রস্তুতি থাকেনা । আমার শহরের বাসায় যে কোম্পানির ইন্টারনেটের সংযোগ আছে, সেই অফিসে আমি কোনদিন যাইনি। বলতে গেলে কখনোই যাওয়ার প্রয়োজন মনে হয়নি, কেননা তাদের সার্ভিস মোটামুটি ভালই।
যেহেতু নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রতিনিয়ত আমি পেয়ে থাকি, তাছাড়া মাসিক বিল পেমেন্ট করি তাদের দেওয়া অফিসিয়াল নগদ নাম্বারে। সেজন্য তাদের অফিসে যাওয়ার সুযোগ হয় না বললেই চলে।
সম্ভবত সেদিন তাদের অফিসে গিয়েছিলাম দীর্ঘ কয়েক বছর পরে, এমনিতেই এ ধরনের সার্ভিস দেওয়ার অফিসগুলো একটু এলোমেলো হয়ে থাকে, তবে সেই অফিসে গিয়ে আমার কিছুটা ধারণা পরিবর্তন হয়েছিল। কেননা অফিসটা অনেকটাই পরিপাটি ও সাজানো গোছানো ছিল।
যেহেতু অফিসে অনেক লোকের সমাগম হয় এবং তাদের অফিসের নিজস্ব জনবল অনেক, তবে তারপরেও আন্তরিকতার দিক থেকে গ্রাহকদের প্রতি তারা যথেষ্ট যত্নশীল। যেহেতু আমি খুবই সাম্প্রতিক সময়ে, শহরের বাসাটা ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করছি, তাই অহেতুক বাসায় ইন্টারনেট সংযোগটা আর রাখতে চাই না। এ জন্যই মূলত অগ্রিম কথা বলতে গিয়েছিলাম।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, অফিসটা যখন আমি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম তখন প্রতিটা দেয়ালেই কিছু উপদেশ মূলক কথা লেখা ছিল। পরে জানতে পেরেছিলাম, সেই লেখাগুলো ছিল মূলত অফিস মালিকের। তিনি আসলে তার কর্মীদের মানসিকভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্যই লেখাগুলো দেয়ালে লিখে দিয়েছে ।
খুবই সংক্ষিপ্ত লেখা, তবে গভীরতা অনেক। অনেকগুলো লেখার মাঝে, আমার কাছে একটা লেখা বেশ ভালো লেগেছিল।
আজকের কাজ এখনই করুন, আগামীকালের কাজ আজকে করার চেষ্টা করুন।
উপরোক্ত এই ছোট্ট লেখাটি আমাকে মানসিকভাবে বেশ অনুপ্রাণিত করেছিল। নিজের অজান্তেই কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম দেয়ালের সামনে। কখন যে লেখাটা মস্তিষ্কে গেঁথে গিয়েছে, তা সঠিক বুঝে উঠতে পারিনি।
মানুষের মনোবল কখন কিভাবে চাঙ্গা হয়ে উঠবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। আমি মনে করি প্রতিটা জায়গাতেই শিক্ষা কিংবা উপদেশ ছড়িয়ে থাকে,তবে তা কে কিভাবে গ্রহণ করে সেটাই হচ্ছে মুখ্য বিষয়।
অফিস মালিকের দেয়াল লিখন, তার কর্মচারীদেরকে কতটুকু কাজের দিকে অনুপ্রাণিত করতে পেরেছে, তা আমার সঠিক জানা নেই। তবে একজন গ্রাহক হিসেবে, আমি নিজেই বেশ ভালোই অনুপ্রাণিত হয়েছি। অফিস মালিকের দেয়াল লিখনের, এই উদ্যোগকে আমি অনেকটাই সাধুবাদ জানাচ্ছি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অফিস মালিক উনার কর্মীদেরকে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই দারুন দারুন সব কথাগুলো লিখার ব্যবস্থা করেছিলেন। আর কথাগুলো বেশ ভালো ছিল। এরকম একজন মানুষের সান্নিধ্যে যারা কাজ করবে তারা অবশ্যই সব সময় ভালো কাজ করার মনোবল পাবে। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
এটা সত্য, সেই অফিসের সব লোকজন অনেক আন্তরিক এবং প্রচুর দক্ষতার সহিত কাজ করার চেষ্টা করছিল, ব্যাপারটা আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল।
দেয়ালে লিখা কথাগুলো সত্যিই দারুণ ছিল। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। মালিকের চিন্তা ধারা যদি এত সুন্দর হয় তাহলে তার আন্ডারে কাজ করা মানুষগুলোর মানসিকতা এমনিতেই পরিবর্তন হবে। আর তারা নতুন উত্তমে কাজ করবে। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।
আমার কাছেও লেখাটা বেশ ভালো লেগেছিল, তাই সেই চিন্তাধারা থেকেই পোস্টটা লিখেছি ভাই।
অফিস মালিকের এমন দেওয়াল লিখন তবে সার্থক হল দাদা৷ মানুষ পড়ে যাতে অনুপ্রাণিত হয় সেই কারণেই হয়তো উনি লিখেছেন৷ আসলে সমস্ত জায়গার আলাদা আলাদা অ্যাম্বিয়েন্স তৈরি করতে হয় যা দেখে সেখানকার মানুষ যে উদ্দেশ্যে এসছেন সেই উদ্দেশ্য সফল হয়৷ এগুলো একধরণের মানসিক পাওয়ার আপ থেরাপি।
আপনার লেখাটা ভালো লাগল। শুভেচ্ছা জানবেন৷
ভালো লাগলো আপনার মতামত, শুভেচ্ছা রইল।
অফিস মালিকের দেয়াল লিখনের আইডিয়াটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। আসলে এসব উপদেশমূলক কথাবার্তা আমাদেরকে অনেক সময় বেশ অনুপ্রাণিত করে। আমাদের সবার উচিত প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন কমপ্লিট করা এবং পরবর্তী দিনের কাজ যতোটা সম্ভব এগিয়ে রাখা। এতে করে কাজের চাপ অনেকটা কমে যায়। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এমনভাবে অনুপ্রাণিত করলে, সবাই আসলে কাজের দিকে মনোযোগী হয়, আমার কাছেও তেমনটাই মনে হয়েছে ভাই।
ভাই অসাধারণ একটা কথা এটা। সত্যি বলতে এই সংলাপ টা আমি অনেক আগে থেকে জানি। এমনকি এসএসসি পরীক্ষার আগে আমি এই নিয়ম অনুসরণ করেই লেখাপড়া করতাম। এভাবে যদি কেউ কাজ করে এগিয়ে যায় তাহলে কারো পিছিয়ে থাকার কথা না। দারুণ লাগল ভাই।
বাহ্ আপনার বিগত অতীত জেনে ভালো লাগলো, এভাবেই নিয়ম মেনে এগিয়ে যান, আরো সফল হবেন।