প্রিয়তমা তোমাকে জানালাম সরিষা ফুলের শুভেচ্ছা
সেদিনের সেই পড়ন্ত বেলার কথা আজ মুহূর্তেই মনে পড়ছে, এখন যখন লেখাটি লিখছি তখন আমি অনেকটা চারদেয়ালে বন্দি। এই যান্ত্রিক নগরীতে অনেকটা যেন অস্থির জীবনযাপন করছি।
মুঠোফোনের গ্যালারিতে যখন ছবিগুলো দেখছিলাম তখন সেদিনের সেই পড়ন্ত বেলার কথা মুহূর্তেই যেন মনে পড়ছিল। এমন সময় শহুরে জীবনে কাটানো একদম অসম্ভব। এই ইট পাথরের নগরীতে আর যাইহোক শীতকে বেশ ভালোভাবে আলিঙ্গন করা যায় না।
একটা বার চিন্তা করে দেখুন যতদূর চোখ যাবে ততোদূর শুধু খোলা প্রান্তর, শীতের এই সময়টাতে প্রায় সব দিকের জমি ফসল শূন্য। কেননা সব কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। তাছাড়া অনেক জমিতেই আবার সদ্য কিছু শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে, তাছাড়া রয়েছে সরিষা ফুলের ক্ষেতের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য।
জমির আইলের উপর দিয়ে দুটো ভাতিজা কে সঙ্গে করে নিয়ে হেঁটে গিয়েছিলাম রানাদের বাড়ির পিছনে। রানা ওখানটাতেই মাঠের কাজ করছিল। স্বপ্নবাজ তরুণ রানা, কদিন আগেই লিখেছিলাম তাকে নিয়ে, বেশ চেষ্টা করছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াতে কাজ করার জন্য, সে মূলত চেষ্টা করে তার দৈনন্দিন কাজগুলোই শেয়ার করার জন্য। তাছাড়াও মিষ্টি পেয়ারার চাষ হয় ওর আত্মীয়ের বাগানে। তবে পেয়ারা কিনতে ব্যর্থ হয়েছি, কেননা বাগান মালিক ছিল না।
যেহেতু, সময়টা পেয়েই গিয়েছিলাম তাই চেষ্টা করছিলাম সেটার সঠিক ব্যবহার করার জন্য। খোলা প্রান্তরে প্রচুর ঠান্ডা তার মাঝেও যেন হয় একটু শৈশব কালের দিকে ফিরে গিয়েছিলাম, যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামে গিয়ে যে এরকম খোলা প্রান্তরে কত খেলেছি, কত হৈ-হুল্লোড় করেছি তার যেন কোন শেষ ছিল না।
এমন পরিবেশে থাকলে নিজের অজান্তেই নিজের ভিতরে শিশুসুলভ আচরণ জাগ্রত হয়। কেননা এটা ভীষণ স্বাভাবিক, নিজের মতো করে হারিয়ে গিয়েছিলাম এই প্রকৃতির মাঝে। এক গুচ্ছ সরিষা ফুল হাতে নিয়ে, প্রিয়তমাকে শুভেচ্ছা জানানোর মতো করে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছিলাম। সত্যিই যদি বলতে যাই, তাহলে বলবো সেদিনের সেই পড়ন্ত বেলার মুহূর্ত ছিল আমার কাছে বেশ মনে রাখার মত। তাই হয়তো আজ শহুরে জীবনে বন্দি হয়ে অকপটে কিছু কথা লিখে ফেললাম।
শীঘ্রই হয়তো আবারো যাবো ঐ পরিবেশে, এই বন্দি জীবন ছেড়ে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
মাঝে মাঝে মোবাইল ঘাটলে এমন ছবিগুলো দেখলে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে যায়। শীতের সময় আমার শহরেই ভালো লাগে। গ্রামে খুব বেশি ঠান্ডা। তাছাড়া এই সময় সরিষা ফুলের ক্ষেত দেখতে বেশ ভালো লাগে। এই ছবিটা ভাবীকে দেয়ার দরকার ছিলো। খুশি হয়ে যেত।
জীবন যেখানে যেমন আপু, কারো হয়তো গ্রাম নতুবা কারো শহর। জীবন তো এমনই। ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমন তোলার পর খালি মাঠ আর শর্ষে ক্ষেত অসাধারণ দৃশ্য। গ্রাম বাংলার মনমাতানো রুপ। এজন্যই কবি লিখেছিলেন, এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি! অসাধারণ হয়েছে ছবি গুলো ভাইয়া। বিশেষ করে ফুল হাতে প্রিয়তমার জন্য আপনার ছবিটি। সুন্দর এই ছবি গুলো এবং লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কবি কিন্তু এক্ষেত্রে ঠিক কথাই বলেছে আপু, বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি।
আপনি দেখছি ফুল দিয়ে ছবি তুলেছেন। আমি ভেবেছিলাম হীরা আপুকে হয়তোবা এভাবেই ফুল দিচ্ছেন। তবে এটা ঠিক বলেছেন শহরের চার দেয়ালের মধ্যে থাকতে অনেকটা বন্দি মনে হয়। গ্রামের এই দৃশ্যগুলো আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। বিশেষ করে সরিষা ফুলের অনেক বড় বড় ক্ষেতগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। তবে দেখছি সব ফসলগুলো ঘরে তোলা হয়েছে। আবার দেখছি নতুন করে সবজি লাগানো হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর লেগেছে ভাইয়া।
আমি আসলে ফুলের শুভেচ্ছা সবাইকে জানিয়েছি, আপু।
বেশ রোমান্টিক একটা ফিল পেলাম ভাইয়া! আপু আপনার পাশে থাকলে তো জমে যেত পুরো! গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ আসলেই সুন্দর! শহরের বন্দি জীবন আমার কাছে একদমই ভালো লাগে না। দুই ভাতিজাকে নিয়ে পড়ন্ত বেলায় ক্ষেতের আইল বেয়ে দারুণ সময়ই কাটিয়েছিলেন আপনি 🌼
এটা সত্য যে সময়টা আমার কাছে বেশ ভালই কেটেছিল।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1748637546090037649?t=60J-dIolfU70qF-gjePheQ&s=19
ভাই আমি তো ভেবেছিলাম সত্যি সত্যি আপুকে ফুল দিচ্ছেন। কিন্তু এ তো দেখছি ছবি তুললেন। সত্যিই শহরে চার দেওয়ালের মাঝে দিন কাটানো একদমই ভালো লাগেনা। তবে বেশ ভালো দিন কাটিয়েছিলেন দেখছি গ্রামে। সরিষা ফুলের ক্ষেত আমার খুবই পছন্দের। বিশেষ করে ফটোগ্রাফি করলে দারুন লাগে। সত্যিই এমন পরিবেশে আমরা নিজেদের শিশুকালে যেন ফিরে যায়। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
একদম ঠিক মোবাইল ঘেঁটে পুরোনো দিনের ছবিগুলো হাতে পেলে তখন দেখতেও ভালো লাগে আর তখন পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায় । আর গ্রামের শীতটা আসলেই অনেক সুন্দর উপভোগ করা যায় । মাঠগুলো এখন সবজিতে ভরে থাকে দেখতে আসলেই ভালো লাগে । আমি তো মনে করেছিলাম আপনি সরিষা ফুল নিয়ে প্রিয়তমাকে উপহার দিয়েছিলেন এখন তো দেখলাম শুধু ছবি তোলার জন্য ফুলগুলো প্রিয়তমাকে দেওয়ার ভান করেছেন ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, মাঝে মাঝে মোবাইল ঘাঁটলে পুরনো ছবিগুলো দেখলে অনেক কিছুই মনে পড়ে যায়।
বাহ প্রথমে মনে করেছিলাম আপনি কাউকে আবার উইশ করলেন সরিষা ফুল দিয়ে হা হা হা। কিন্তু ক্যামেরার পিছনে কে ছিল কি জানি হি হি হি। যাক যাকে উইশ করেছেন সে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন সরিষা খেতে গিয়ে। আর ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর একটি জায়গা।
আসলে মোবাইলের গ্যালারিতে থাকা ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে,আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। যাইহোক শীতকাল উপভোগ করার জন্য গ্রাম একেবারে পারফেক্ট। কারণ শহরে শীতকালটা একেবারেই উপভোগ করা যায় না। এমন খোলামেলা পরিবেশ দেখলে আসলেই খুব ভালো লাগে। সরিষা ফুলের সৌন্দর্য বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে। হীরা আপু মনে হয় বেশ খুশি হয়েছে পোস্টটি পড়ে। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। সব মিলিয়ে এই পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।