সেদিন সন্ধ্যায়
এই মুহূর্তটা ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা বেলার, মূলত সেদিন আমরা গিয়েছিলাম বাহিরে। কেননা পুরো এলাকাটা যেন সেদিন ভীষণ ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল, যে জায়গাটাতে প্রতিনিয়ত লোকজনের সমাগম থাকতো হঠাৎ করেই এলাকাটা যেন মুহূর্তেই নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিল।
সবাই যে যার মত করে গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিল, শুধু এই পাড়াতে আমরাই কয়েকটা পরিবার থেকে গিয়েছিলাম। যেহেতু ভীষণ একাকী লাগছিল, তাই পরিবার নিয়ে সন্ধ্যাবেলার দিকে বাহিরে গিয়েছিলাম ঘুরতে।
শহরের এমন নিশ্চুপ চিত্র সেদিন দেখে বেশ ভালোভাবে কিছু বিষয় অনুমান করতে পেরেছিলাম, যান্ত্রিক শহরটাতে যখন ক্রমেই নীরবতা নেমে এসেছিল, তখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলাম জীবিকার তাগিদেই সবাই এই কংক্রিটের শহরে থাকে আর হুটহাট এমন উৎসবের ছুটি গুলো যখন সামনে এসে যায়, তখন যেন সবাই আপন নীড়ে ফিরতে পারলেই বাঁচে।
আমাদেরও গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল, তবে সেসময় যেতে পারিনি। অবশেষে সেদিন সন্ধ্যায় এই শহরের ছোট্ট রেস্তোরাঁতে বসে পাক্কা দু ঘন্টা সময় পরিবার নিয়ে দারুণভাবে অতিবাহিত করেছিলাম। খাবার খাওয়া মুখ্য বিষয় ছিল না, নিশ্চুপ শহরের একাকীত্ব দূর করার জন্যই আমাদের এই আয়োজন ছিল।
অতঃপর সেখান থেকে বেরিয়ে আবারও পুনরায় রিকশায় চেপে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। অনেকটা দিন বাদে সেদিন এই শহরের বুকে, প্রাণভরে যেন কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম। অন্যান্য সময় তো আর এমনটা হয় না, ভাগ্যিস এবার উৎসবের সময় শহরে থেকে গিয়েছিলাম। তাই হয়তো এমন বিচিত্র রূপ গুলো সহজেই দেখে ফেলেছিলাম।
সরাসরি শিকড়ের কাছে যেতে পারেনি এটা যেমন ঠিক, তবে তারপরেও উৎসবের সময় এমন নিশ্চুপ শহরের পরিবেশ পরিস্থিতি বেশ ভালই উপভোগ করেছি। তবে যে চিন্তা-ভাবনা গুলো হচ্ছিল তা অনেকটাই নাটকীয়।
জীবন জীবিকা বড্ড গুলিয়ে ফেলেছে যান্ত্রিক মানুষগুলোকে, এরা আবারও আসবে শহরে আবারো শহরটা যান্ত্রিকতায় ভরে যাবে, তবে এই যে সাময়িক নীরবতা তা যেন মাঝে মাঝে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়, তোমরা ছাড়া এ শহরটা বড্ড শূন্য।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ঈদের সময় যখন শহরের রাস্তা ঘাট থেকে সব কিছু ফাঁকা হয়ে যায় আমার কাছে দেখতে ভালো লাগে তবে আবার বেশিদিন ভালো লাগে না।শহরে থাকতে থাকতে শহরের আশেপাশের মানুষগুলোর উপর মায়া হয়ে যায়। যাই হোক পরিবার নিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু, সেদিন বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম ফাঁকা শহরে।
আমার কিন্তু এমন নিস্তব্দ শহর বেশ ভালো লাগে। তাও যদি আবার এমন সময় রিক্সায় ঘুরে বেড়ানো যায়। শহর ছেড়ে যাওয়া এই মানুষগুলো আবার যখন জীবিকার তাগিদে শহরে ফিরবে তখন কিন্তু আবার আগের শহর হয়ে যাবে। তবে শহরের এমন নিস্তব্দতায় বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনি সেটা বুঝাই যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।
ঈদের সময় শহর একদম ফাঁকা হয়ে যায়। আর গ্রামগুলো ভরে ওঠে। শহরের এই ভিন্ন রূপ দেখার সুযোগ খুব একটা হয় না। তবে মনে হচ্ছে এই নিশ্চুপ শহরে ঘোরাঘুরি করতে ভালোই লাগবে। ঈদের আগের দিন রাতে পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
এটা সত্য, বেশ ভালোই লেগেছিল। বলতে গেলে অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
আসলেই ভাই ইট পাথরের শহরে মানুষ এক প্রকার বাধ্য হয়েই বসবাস করে। তাইতো সবাই লম্বা ছুটি পেলেই নিজের পরিবারের কাছে ছুটে চলে যায়। যাইহোক সেদিন সন্ধ্যায় বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। ঈদের সময় রাস্তা ঘাট ফাঁকা থাকে বলে রিকশা দিয়ে ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। সত্যিই ভাই শহরের একেবারে ভিন্ন রকমের চিত্র উপভোগ করেছেন সেদিন। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সেদিন সন্ধ্যায় দারুণ রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে ভাই, বহুদিন বাদে এরকম ফাঁকা শহর দেখেছিলাম।
একটা বিষয় ভাবেন তো। ধরেন হঠাৎ করে শহর গুলো জনশূণ্য নিরব হয়ে গেল তখন কেমন হবে। কর্মের কারণে মানুষ সব ভুলে গিয়ে অন্য কোন শহরে পড়ে থাকে। আপনারা সময় টা বেশ দারুণ উপভোগ করার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ঈদের সময় শহর ফাঁকা হয়ে যায় একদিক দিয়ে ভালো লাগলেও অদ্ভুত একটা মায়া কাজ করে শহরের মানুষগুলোর জন্য।আপনারা ঈদের ওই সময়টাতে ফাঁকা শহরে রেস্টুরেন্ট টিতে গিয়ে দারুন একটি সময় পার করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।