ঝটিকা সফর নানী শাশুড়ির বাড়িতে

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

এ মুহূর্তটি গত দুদিন আগের, এই শীতের মধ্যে দাওয়াত দিয়েছিল আমার নানী শাশুড়ি। মূলত সেখানে পিঠা খাওয়ার জন্য সব নাতি-নাতনি তাদের জামাই ও তার মেয়ে জামাইদের দাওয়াত দিয়েছিল। যদিও কমিউনিটির কার্যক্রমের জন্য সেখানে গিয়ে রাত্রি যাপন করতে পারিনি, তবে পার্শ্ববর্তী এলাকা হওয়ার কারণে দুপুরবেলা গিয়েছিলাম এবং হীরা ও বাবুকে রেখে এসেছিলাম।

20241213_133703-01.jpeg

20241213_133708-01.jpeg

20241213_132251-01.jpeg

20241213_134448-01.jpeg

20241213_134908-01.jpeg

20241213_134927-01.jpeg

20241213_135001-01.jpeg

20241213_135727-01.jpeg

20241213_134625-01.jpeg

মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেদিন বহুদিন বাদে আকাশে সূর্য উঠেছিল। আজকাল তো অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা পাওয়াই যায় না। দুপুরবেলা যখন যাচ্ছিলাম, তখন আশেপাশে এলাকার গ্রামীণ চিত্র দারুণ ভাবে উপভোগ করে ছিলাম।

সবাই ব্যস্ত যে যার মত করে, কেউ হয়তো ধান শুকাতে দিয়েছে রাস্তায় কেউবা ফসলের জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত। সব মিলিয়ে গ্রামীণ মানুষের এই সময় ব্যস্ততার শেষ নেই। আমি আগে থেকে বলে রেখেছিলাম, আমি গিয়ে সেখানে রাত্রি যাপন করতে পারবোনা, কেননা সেখানে নেটওয়ার্কের অবস্থা একদম শোচনীয়।

তাই তারা দুপুরবেলা আমার জন্য বেশ ভালই খাবারের আয়োজন করেছিল। হরেক রকমের শীতের পিঠা ও মাছ মাংসের তরকারি, বিরিয়ানি এসব তো ছিলই। যদিও সেসব খাবারের ছবি তুলতে পারিনি,কেননা দীর্ঘদিন পরে যেহেতু গিয়েছিলাম তাই একটু অতিরিক্ত আদর যত্নে ছিলাম।

হীরার ছোটবেলা কেটেছিল এই বাড়িতে, ও সবাইকে পেয়ে বেশ ভালোই খুশি হয়েছিল। আমি গিয়েই দ্রুত বসে গিয়েছিলাম খেতে। যদিও ঘরের ভিতরে খাবার দিতে চেয়েছিল, তবে আমি ইচ্ছে করেই বাড়ির উঠোনে শীতের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে খাওয়ার পর্ব শেষ করেছিলাম।

প্রতিবছরই এই দাওয়াতটা পেয়ে থাকি, তবে বিগত তিন বছর থেকে এখানে কখনোই রাত্রি যাপন করা হয়নি, হয়তো ভালো নেটওয়ার্ক থাকলে তখন ব্যাপারটা অন্যভাবে ভাবা যেত।

তবে এই যে স্বল্প সময়ের জন্য এখানে আসা কিংবা সকলের সঙ্গে দেখা হওয়া, এর মাঝেই যেন আলাদা ভালোলাগা কাজ করে। এ যাত্রায় বেশ ভালই সময় কেটেছিল সেদিন।

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAr2C8nYkd2N.png

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW787kzcgWYkwvNtA2hFHjZmHJF7T9cU9fuNnktTXyjPQrbBYfZq5mcrxbtVXjuouLjrPEViYtkZQyE2bNmeVzsXTft.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 7 days ago 

শীতের দিনের দাওয়াত খেয়ে বেশ ভালোই আছেন ভাই। নানী শাশুড়ির বাড়িতে গিয়ে একদিন জমিয়ে আনন্দ করে এসেছেন। সঙ্গে ভালো মন্দ খাওয়া দাওয়া তো আছেই। বেশ লাগে কিন্তু এমন একটা দিন কাটাতে। হীরা ভাবী এখানে ছেলেবেলা থেকে মানুষ হয়েছে বলে কথা। সে জায়গায় আপনাকে তো যেতেই হবে।। আর সেটা একবার নয় বারবার যান।

 6 days ago 

সময় সুযোগ হলেই যেতে ইচ্ছে করে, তবে সময় তো সেভাবে পাইনা।

 7 days ago 

শীতকালে সূর্য না উঠলে একেবারেই ভালো লাগে না। আর সূর্য উঠলে মনটা একেবারে ভালো হয়ে যায়। যাইহোক নানী শ্বাশুড়ির বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন ভাই। গ্রামটা আসলেই খুব সুন্দর। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 days ago 

ভাই এদিকে আবার সূর্য ওঠা বন্ধ হয়েছে, বেশ ভালোই ঠান্ডা পড়েছে আজ থেকে আবারও।

 7 days ago 

শীতকাল মানে আলাদা রকমের অনুভূতি। এই সময়ে নানা রকমের পিঠা খেতে সত্যি ই ভীষণ ভালো লাগে। আপনি ঝটিকা সফর নানী শাশুড়ির বাড়িতে করলেন।আর চমৎকার কিছু সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। গ্রামীণ পরিবেশ সত্যিই চমৎকার। সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

 6 days ago 

এটা সত্য হঠাৎই সেখানে গিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.25
JST 0.038
BTC 96483.87
ETH 3356.14
USDT 1.00
SBD 3.20