অবিরাম বৃষ্টি | ভোগান্তি
কদিন আগেও বেশ ভ্যাপসা গরম ছিল, অতিরিক্ত গরমে যেন জনজীবন একদম নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। গ্রাম গিয়ে দেখেছিলাম বৃষ্টির পানির অভাবে ফসলের জমির পানি শূন্য দৃশ্য। কৃষকের মুখের হতাশার ছাপ। হয়তো এখন কৃষকের মুখের সেই দুশ্চিন্তার ছাপ নেই। তবে নতুন করে আবারো দুশ্চিন্তা আরো বাড়তে পারে। কারণ এইভাবে ক্রমাগত ভারী বর্ষণ হলে, সেই পানিতে নব্য রোপণ করা ফসলের চারা পুরোপুরি ডুবে গিয়ে পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
এখন যখন লিখছি, তার কমপক্ষে চারদিন আগে শহরে ফিরেছি। শহরে ফিরেই প্রকৃতির যেন ভিন্ন রূপ দেখতে পাচ্ছি। আমার মতো মানুষের জন্য, অবিরাম বৃষ্টি কোন ভাবেই উপভোগ্যকর বা বিলাসিতা হতে পারে না। এখানে বৃষ্টি যেন তীব্র ভোগান্তির নাম এবং একপ্রকার অভিশাপ। যে অভিশাপের শিকার আমি নিজেই হয়ে গিয়েছি।
যেহেতু শহর কেন্দ্রিক সকলের জীবন-জীবিকা এবং প্রয়োজনের তাগিদেই সবাই শহরে এসে অবস্থান করেছে, তাই প্রাকৃতিক এই পরিবর্তনের কারণে বিশেষ করে অবিরাম বৃষ্টিতে সবকিছুই যেন এলোমেল হয়ে গিয়েছে। কেমন পরিবর্তন হয়েছে এটা আসলে আশেপাশে তাকালেই বেশ ভালোভাবে বোঝা যায়। সেই উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে একদম খেটে খাওয়া মানুষ, বলতে গেলে সবার জীবনেই কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
রাস্তাঘাট যেন অতিরিক্ত পানিতে তলিয়ে গিয়েছে, অতিরিক্ত বর্ষণে খেটে খাওয়া মানুষজন জীবিকার জন্য বাহিরে বের হতে পারছে না। এদিকে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা যে প্রতিনিয়ত তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য কর্মস্থলে যাবে তেমনটা অবস্থা নেই। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষজন যদি এতসবের মাঝে জীবিকার তাগিদে কষ্ট করে হলেও বাহিরে বের হয়, তাহলে অনেকেই তো আবার এই সময় কাজই খুঁজে পায় না।
মানলাম উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তরা হয়তো নিজের কর্মকে প্রাকৃতিক পরিবর্তনের অবস্থার দোহাই দিয়ে কিছুটা সময় ইস্তফা দিয়ে বাড়িতে অবস্থান করে, পরিবার নিয়ে অবিরাম বৃষ্টি উপভোগ করছেন বা ধোঁয়া ওঠা গরম খিচুড়ি খেয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন, তবে পক্ষান্তরে অনেকের কিন্তু আরো দুর্বিষহ জীবন যাচ্ছে।
রাস্তার পাশে বাসা নিয়েছি সাম্প্রতিক সময়ে। হয়তো বিপত্তিটার সূত্রপাত হয়েছে আমার এখান থেকেই । কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে গতকাল থেকেই লক্ষ্য করছিলাম আমার ঘরের ভিতরে রাস্তার পানি চুঁইয়ে চুঁইয়ে প্রবেশ করছে। একটা বার চিন্তা করে দেখুন, যে জায়গাটাতে বসবাস করি সেখানে যদি বাহিরের নোংরা পানি প্রবেশ করে, তাহলে কি পরিমান মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
যদিও আমার কষ্ট, বাহিরের অন্যান্য খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকা বা বাসস্থানের যে অবস্থা দেখেছি, সেই তুলনায় কিছুই না। কারণ সেগুলো তো আরো ভয়াবহ। কয়েকদিনের টানা বর্ষণের পানিতে নিম্ন অঞ্চলের সবকিছু প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। শহরের ভিতরেই মোটামুটি অলিতে গলিতে পানি জমে গিয়েছে, অনেকের বাসস্থানে পানি প্রবেশ করেছে। এক কথায় জনজীবনে ভোগান্তির যেন শেষ নেই ।
এখনো যে বৃষ্টি থেমেছে তা কিন্তু বলবো না, বৃষ্টি যেন পড়তেই আছে তার আপন গতিতে। কবে কখন কিভাবে থামবে, তার কোন লক্ষণ বোঝাই যাচ্ছে না। এইভাবে চলতে থাকলে হয়তো ভোগান্তি আরও বাড়বে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1688838280324988928?t=FbmD5clVVbeMN8xb_2RWbg&s=19
সত্যিই ভাইয়া কয়টা দিন আগেও গরম ছিল।আর আজ কিছুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তির যেনো শেষ নেই।যারা খেটে খাওয়া মানুষ তাদের অবস্থা বেশ নাজুক।যারা ধনী তারাই বৃষ্টিকে উপভোগ করতে পারে।সাধারন জনগনের জন্য দুর্ভোগই বটে।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আর বলেন না ভাই একটা কাজে শহরে গিয়েছিলাম কাল যখন গেলাম তখন সব ঠিকঠাকই ছিল কিন্তু দুইটার পর থেকে এত পরিমান বৃষ্টি রাত দশটার দিকে বাসায় ফিরেছি একদম ভিজতে ভিজতে। আর ঠিক বলেছেন যারা খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষ তাদেরই বেশি সমস্যা হবে এই বৃষ্টির কারণে।
গ্রাম থেকে শহরের অবস্থা খুব খারাপ। কারণ গ্রামের পানিগুলো জমিজমা বা খাল দিয়ে নেমে যায়, পানি জমে থাকে খুব কম।কিন্তু শহরের অবস্থা দেখলে খুব খারাপ লাগে।বাজে অবস্থা হয়ে গিয়েছে চারিদিকে,ড্রেন ডুবে পানি একাকার হয়ে গিয়েছে।পরিক্ষা দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম এসেছি আর চট্টগ্রামের অনেক জায়গা পানিতে ডুবন্ত রয়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এখন অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।
কয়েকদিন আগেও আমরা সবাই বৃষ্টির প্রত্যাশা করেছি। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর বুঝতে পারছি আসলে বৃষ্টি সব সময় আনন্দের হয় না। রাস্তাঘাট একেবারে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। অসহায় মানুষগুলো আরও বেশি কষ্টে দিন পার করছে। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি সব সময় দারুন লিখেন।
মাত্রা অতিরিক্ত আসলেই কোন কিছু ভালো না, আপু।
কয়েকদিন আগেও অনাবৃষ্টির কারণে সবাই দোয়া করেছে যে ঝুম বৃষ্টি হোক। তবে ৫/৬ দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিভিন্ন জায়গার রাস্তা ঘাট তলিয়ে গিয়েছে। এমনকি নিচু এলাকার বাড়িঘর গুলোও তলিয়ে যাচ্ছে। টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাসা থেকেও বের হতে পারছি না। খেটে খাওয়া লোকজনও কাজ করতে পারছে না। সবমিলিয়ে খুবই বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আরো কিছুদিন এভাবে চলতে থাকলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এই অবিরাম বৃষ্টিতে আসলেই বাজে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ভাই, ধন্যবাদ আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।
আপনার কথা গুলো অনেক ভালো লেগেছে করে কারণ বৃষ্টির কারণে আসলে যারা কেটে খাওয়া মানুষ তারাই বেশি ভোগান্তিতে পড়ে যায়। বিশেষ করে যারা রাস্তার পাশে কেনাবেচা করে এবং দিনমজুর তাদেরকেই না খেয়ে থাকতে হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হয়। একটানা বৃষ্টির কারণে অনেক নিচু জায়গায় পানি জমে গেছে আমাদের এখানেও। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে একটু লেখার জন্য।
সত্যি বলতে ভাই আমাদের এলাকাতে এখনো কোনো বৃষ্টি নেই গরমে আমরা বেশ ভুগতেছি। কয়েকটা দিন আগে ঢাকা শহর এলাকাতে অনেক গরম ছিল কিন্তু আজ কয়েকদিন হলো খুবই বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে ভাই বৃষ্টির কারণে খেটে খাওয়া মানুষের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে বৃষ্টির কারণে অসহায় মানুষগুলো বেশ কষ্টে দিন পার করছে ভাই। সময় উপযোগী এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার এলাকায় গরমের তীব্রতা কমুক, সুস্থতা ফিরে আসুক।
ভাইয়া আমাদের এখানেও বেশ কয়েকদিন থেকে অনবরত বৃষ্টি ঝরছে। যার কারনে নদীর পানি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আর এই বৃষ্টির কারণে আমার অর্ধাঙ্গীনির স্কুলে যাতায়াতের খুবই অসুবিধা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন সকালে বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে স্কুলে যায় আবার কাক ভেজা হয়ে বাড়িতে ফিরে আসছে। যার কারনে কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড মাথাব্যথায় ভুগতে হচ্ছে তাকে। তাই অনবরত বৃষ্টি আর কোনভাবেই ভালো লাগছে না। এই বৃষ্টির কারণে বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের খুবই অসুবিধে হয়ে গিয়েছে। আর আপনার তো রাস্তার পাশে বাড়ি হওয়ার কারণে নোংরা পানি গুলো বাড়িতে প্রবেশ করার মত অবস্থা হয়ে গিয়েছে। আর এরকম পরিস্থিতি সত্যিই খুব অস্বস্তিকর হয়। বৃষ্টি যেমন মানুষের জনজীবনে স্বস্থির ফিরে নিয়ে আসে ঠিক তেমনি কিছু কিছু সময় অস্বস্তিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাইহোক ভাইয়া, অবিরাম বৃষ্টি মানুষের জনজীবনকে যেন আর ভোগান্তির চরম পর্যায়ে নিয়ে না যায় এই প্রত্যাশা করছি।
আপনার অর্ধাঙ্গিনীর ব্যাপারটা জেনে বেশি ব্যথিত হলাম ভাই। আশাকরি আমাদের এই ভোগান্তি খুব দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।