এলোমেলো সকাল
এইতো কয়েকদিন আগেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ছিল, সেই রেশ কাটতে না কাটতেই হঠাৎই আবার আবহাওয়ার পরিবর্তন, তন্দ্রা অবস্থাতেই সকালবেলা বুঝতে পারছিলাম বাইরে ভীষণ ঝড় বাতাস শুরু হয়ে গিয়েছে, কোন রকমে যখন জানালা খুলে একটু উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলাম তখন সেটার যেন সত্যতা পেলাম।
এখনো যে শীত পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে, ব্যাপারটা তেমন না। উত্তরবঙ্গের এদিকে এখনো ভালোই শীত। এই হালকা শীতের মাঝেও যখন আবহাওয়ার এই অবস্থা, তখন বুঝে নিয়েন জনজীবন কেমন কঠিন হয়ে গিয়েছে এদিকটায়।
কেউ হয়তো যখন এমন আবহাওয়া দারুণভাবে উপভোগ করছে তখন অপরপক্ষে কারো হয়তো এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক জীবনকে বড্ড বাধাগ্রস্থ করেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষজন কে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখতে হচ্ছে, এমন ঝড় বৃষ্টির পরিস্থিতিতে । এই চিত্র শুধু এখানেই না, বলতে গেলে সবদিকেই একই অবস্থা।
যেহেতু ঘুম ভেঙেছে, তাই নিজেকে আর বিছানায় আটকিয়ে না রেখে বাড়ির ভিতরেই এদিক সেদিক পায়চারি করার চেষ্টা করলাম , সদ্য বই মেলা থেকে কেনা বইটাও খানিকটা নেড়েচেড়ে দেখলাম, তারপর রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গিয়ে ফিসফিসিয়ে গিন্নিকে বলে ফেললাম, যদি আজ খাবার মেনুতে খিচুড়ি আর মাছ ভাজি থাকতো তাহলে হয়তো মন্দ হতো না।
আবারো সেই জানালার পাশে এসে বসে বেশ ভালোভাবে প্রকৃতির দিকে অপলক দৃষ্টিতে অনেকটা সময় চেয়েছিলাম, ক্রমেই যেন সবুজাভ বারবার চোখে এসে ধরা দিচ্ছিল, মুহূর্তেই প্রকৃতির ঝলমলে পরিবর্তন তৈরি হয়ে গিয়েছে। নবরুপে যেন প্রকৃতির সেজে উঠেছে এই আকস্মিক বৃষ্টির শীতল ছোঁয়ায়।
অনেকটা দিন পরে যেন কিছুটা বিমোহিত হলাম এই সকালবেলা। নিজের না হয় টুকটাক আবদার আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পূর্ণ হলো, তবে যারা এই আবহাওয়াতে মুদ্রার উল্টাপিঠ দেখছে, তাদের কথা ভেবে কিছুটা হলেও মন ভারী হয়ে গিয়েছে ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মুদ্রার উলটোপিঠ দেখার মানুষ সদাই সর্বত্র থাকবে।
এই সময়টা আবার নতুন করে শরীর অসুস্থ হওয়ার সময়। তাই খুব সাবধানে থাকাই কাম্য। তবে মাঝেমধ্যে সকালটা একটু অন্যরকম হলে মন্দ লাগে না। আপনি তো বেশ বইমেলায় কিনা বই নেড়েচেড়ে দেখছেন আমার এখনো সুযোগই হলো না।
নেড়েচেড়ে দেখলাম তবে পড়ার সুযোগ হলো কই, অনেকগুলো বই পড়ার আছে এখনো। তবে সময় বড্ড স্বল্প।
আপনার বর্ণনায় প্রকৃতির রূপ, আবহাওয়ার আকস্মিক পরিবর্তন, আর মানুষের জীবনের দুই রকম চিত্র দারুণভাবে ফুটে উঠেছে! প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের মাঝেও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের কথা ভেবে আপনার সংবেদনশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই দ্বৈত বাস্তবতা আমাদের চারপাশের জীবনের প্রকৃত রূপই প্রকাশ করে। আপনার লেখা গুলো পড়ে মন ছুঁয়ে গেল! ধন্যবাদ ভাইয়া।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপনার মন্তব্যের জন্য।
সকালবেলা উঠে আজকে ভিন্ন রকম আবহাওয়া দেখলেন বিষয়টা শুনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে শীতের শেষের দিকের এই সময়টা একটু বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। আমাদের এদিকেও হালকা বাতাস হয়েছিল তবে বৃষ্টি হয়নি। এই সময় খিচুড়ি আর মাছ ভাজা হলে মন্দ হয় না। কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য বড়ই কষ্ট হয়। তারা নিজেদের দিনগুলো খুব কষ্টে কাটায় এই সময়গুলোতে।
এটা সত্য খিচুড়ি আর মাছ ভাজি দিয়ে আজ সকালবেলা বেশ ভালই খাওয়া দাওয়া হয়েছে।
আমাদের এদিকে ভালোই গরম পরেছে। প্রকৃতির পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। আর কয়দিন পরে প্রচন্ড গরম শুরু হয়ে যাবে। আপনাদের দিকে এখনও ঠান্ডা আছে তাহলে। এ অবস্থায় আসলে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর অনেক কষ্ট করতে হয়।
হঠাৎ বৃষ্টিতে আসলে জনজীবন কিছুটা কঠিন হয়ে গিয়েছে।
এই শীতের দিনে বৃষ্টি হওয়া মানে বেশ বাজে অবস্থা। যেহেতু ভালোমতো রোদ থাকে না চারদিকে সেঁতসেঁতে অবস্থায় কিছু ভালো লাগেনা। তবে আমাদের এখানে গরম শুরু হয়ে গেছে। আমাদের এখানে ফ্যানের বাতাস চলতেছে। আর আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হচ্ছে। এই যেন সৃষ্টিকর্তার লীলা খেলা। ব্লগটি পড়ছ ভালো লাগলো
আবহাওয়ার পরিবর্তন কখন কিভাবে হবে তা বলা মুশকিল।
প্রকৃতির অনিশ্চিত পরিবর্তন কতটা সৌন্দর্য এনে দিতে পারে, আবার কতটা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারে,সেটা আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন ভাইয়া।। হালকা শীতে ঝড়-বৃষ্টি উপভোগ্য হলেও নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য এটি কষ্টের।কিন্তু দুঃখের বিষয় এসব কথা আমরা কজনই বা ভাবি!!
ব্যাপারটা অনেকটা জটিলতা সম্পন্ন ভাই, জীবন যেখানে যেমন, তবে সবার জন্যই আমাদের কম বেশি ভাবা উচিত।
আসলে দিনমজুরদের কষ্টের শেষ নেই। তারা তীব্র শীতে যেমন কষ্ট করে, তেমনি মেঘ বৃষ্টির সময়ও অনেক কষ্ট করে থাকে। যাইহোক মাঝেমধ্যে সকালটা ভিন্ন ভাবে কাটাতে বেশ ভালোই লাগে। আমাদের এখানে বিগত দুই দিন থেমে থেমে বেশ কিছুক্ষণ প্রচুর বাতাস হয়েছিল। তবে বৃষ্টি তেমন হয়নি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এখানে বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে ভাই, দিনশেষে সাধারণ মানুষের জীবন আসলেই বেশ কঠিন হয়ে যায় এমন অবস্থায় ।