শৈশব স্মৃতি-শীতের ছুটিতে পিকনিক||
আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।
বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। শৈশব স্মৃতি নিয়ে লিখতে খুবই ভালো লাগে। যখনই কোন স্মৃতি মনে পড়ে তখনই লিখতে বসে যাই। আর আজকে শীতের ছুটিতে পিকনিক করার স্মৃতিগুলো সবার মাঝে শেয়ার করব। তো বন্ধুরা চলুন আমার আজকের পোস্ট দেখে নেয়া যাক।
শীতের ছুটিতে পিকনিক:

source
এর আগেও পিকনিকের একটি মজার স্মৃতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আর যেহেতু মাঝে মাঝে পিকনিক করা হতো তাই স্মৃতির পাতায় অনেক স্মৃতি জমা পরে আছে। শীতকাল এলেই পিকনিক করার ধুম পড়ে যেত। আমরা যেহেতু যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি তাই সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। আর কাজিনদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। শীতের সময় যখন ধান কাটা শেষ হয়ে যেত তখন ফসলের মাঠ একদম ফাঁকা হয়ে যেত। সেই ফাঁকা মাঠগুলোতেই চলতো বিভিন্ন রকমের আয়োজন।
একদিকে যেমন ফুটবল খেলা শুরু হয়ে যেত অন্যদিকে অন্যান্য খেলা তো আছেই। সেই খেলার ফাঁকে ফাঁকে প্লান করে ফেলতাম বিকেল বেলায় পিকনিক করার। সারাদিন খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ততা আর বিকেল হলেই পিকনিকের আয়োজন শুরু হতো। বিশেষ করে শুক্রবারে পিকনিক করা হতো। শুক্রবার এলেই সারাদিন আমরা সবাই মাঠে কাটাতাম। খেলাধুলা শেষ করে আবার প্লান শুরু করতাম কিভাবে পিকনিকের আয়োজন করা যায়।
সবার বাড়ি থেকে চাল সংগ্রহ করা হতো। আর সাথে একটি করে ডিম। এটা দিয়েই দারুন পিকনিক হয়ে যেত। আর ভাগ ভাগ করে বাড়ি থেকে মসলা আনা হতো। কেউ তো আবার বাড়ি থেকে শুকনো বাঁশ, কাঠ এগুলো আনা হতো রান্না করার জন্য। সবাই মিলে একত্রে ছোট্ট পরিসরে পিকনিকের আয়োজন করতে খুবই ভালো লাগতো। সেই দিনগুলো এখন আর নেই। এখন চাইলেও আর সেই সময় কাটানোর সুযোগ নেই।
এখন বছরের পর বছর কেটে যায় অনেক শীত কেটে যায়। ছুটির দিন আসে আবারও ফুরিয়ে যায়। কিন্তু সেই আগের মত আর আনন্দ করা হয় না। আগের মত আর সবাই মিলে পিকনিক করা হয় না। সেই আনন্দটা এখনো খুঁজে বেড়াই। এখনো মনে হয় আবার যদি সেই সময়টা ফিরে পেতাম তাহলে হয়তো আরো বেশি আনন্দ করতাম। শৈশবের সময়টা হারিয়ে গেছে জীবন থেকে। আর আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের আনন্দের দিনগুলো।
শীতের ছুটিতে পিকনিক করার সেই আনন্দের দিনগুলো এখন অনেক মিস করি। আমার মনে হয় আমাদের প্রত্যেকের শৈশবের এই আনন্দ গুলো আমরা সবাই অনেক মিস করি। আমার এই পোস্ট আপনাদের কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না বন্ধুরা।
🥀ধন্যবাদ সকলকে।🌹
আমি মো: স্বপন । আমি একজন বাংলাদেশী। বাংলা আমার মাতৃভাষা। তাই আমি বাংলায় লেখালেখি করতে ভালোবাসি। ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং এবং ক্রাফটিং করা হচ্ছে আমার অন্যতম শখ। অবসর সময়ে গান শুনতেও অনেক ভালোবাসি। এছাড়া বাগান করতে আমার অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে রান্না করতেও অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডি নাম @shopon700। আমি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্টিমিট ব্লগিং শুরু করি। আমি গর্বিত, কারণ আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড ব্লগার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কত শীত কত গরম আসে যায় কত ছুটি কাটিয়ে উঠি কিন্তু আগের মত আনন্দ সত্যিই খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা তো আগে গরমের মধ্যেও ছুটি দিত সেই দিন গুলোতেও অনেক মজা করতাম আর পিকনিক করতাম। বেশিরভাগ সময় পুকুরে গোসল করতে যেতাম গরমের সময়। আপনার শৈশবের স্মৃতি শীতের ছুটির পিকনিক পরে ভীষণ ভালো লাগলো। এরকম সুন্দর শৈশবের স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আগে শীতকালে একটি দীর্ঘ দিনের ছুটি পাওয়া যেত।আর এই ছুটিতে অনেকে অনেকভাবে সময় করতো। আর শীতকালে পিকনিক করতে একটু বেশি ভালো লাগে। ছোট বেলায় পিকনিক করার সময় সব কিছু জিনিস পত্র বাসা থেকে দেয়া হতো।এটা আসলেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।আর আপনার পিকনিকের আয়োজন টি অসাধারণ ছিল ভাইয়া।
অনেক অনেক ভালো লাগলো শরীর স্মৃতি স্মরণ করতে দেখে। আসলে এই দিনগুলো কিন্তু মধুর। মনে করলেই ভালো লাগে। আমরা সব সময় বিভিন্ন খেলায় মেতে থাকতাম। আবার পিকনিক করার বিষয়টা হুট করে মাথায় আসতো হয়ে যেত। যাহোক ভালো লাগলো কিন্তু শৈশব মনে করে।
কতইনা মধুর ছিলো সেই দিনগুলো। চাইলেও আর কখনো ফিরে যেতে পারবো না সেই দিনগুলোতে। সারা জীবন স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে শৈশবের সুন্দর দিনগুলো। আগে শীতের সময় এবং গরমের সময়ও অনেক ছুটি পেতাম ।আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ইস যদি ফিরে পেতাম ওই সুন্দর দিনগুলো।
আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল। আসলে ছোটবেলায় এমন কিছু স্মৃতি রয়েছে যেগুলো এখনো ভোলার মতো না।আজকে আবারো সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।