🤗 " আধো আলোতে চায়নিজ রেস্টুরেন্টে "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
আধো আলোতে চায়নিজ রেস্টুরেন্টেঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আমার আজকের ব্লগের টাইটেল পড়ে আপনারা হয়তো বুঝে গিয়েছেন আমি আজ কি বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করছি।ঠিক তাই বন্ধুরা আজ শেয়ার করবো আধো আলোতে চায়নিজ রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কিছু অনুভূতি।আজকের ব্লগ ভ্রমন বিষয়ক।আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমি এখন আমার শ্বশুরবাড়ি ঝালকাঠিতে আছি।এখানে এসেছি আজ প্রায় ১৩/১৪ দিন হলো।আগেই বলেছিলাম ইটালি থেকে দেবর একাই দেশে এসেছে।এবার পরিবার নিয়ে আসেনি।এ কারনেই আসলে বাড়িতে আমার আসা।
আমার বড় ননদ বরিশালে থাকেন।তার বরিশালে বিয়ে হয়েছে।তিনি দেশেই আছেন।আর বাকি ননদরা সবাই দেশের বাইরে আছেন তাদের হাসবেন্ডের সাথে।দেবর সেদিন বলছিলো সবাই মিলে বাইরে খাওয়ার জন্য। একেকজন একেকটা বলছিলো যাওয়ার জন্য।তবে আমার আবার বাইরের খাবার খেতে গেলে চায়নিজ খাবার ভীষণ পছন্দ। যেহেতু আমি বাইরে খুব একটা খেতে পছন্দ করি না,এটা সবাই জানে।তাই দেবর আমার পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে চায়নিজ খাবার খেতে মন স্থির করলো।আমরা সন্ধ্যা নাগাদ বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
ঝালকাঠি থেকে বরিশাল যেতে আধা ঘণ্টার মতো সময় লাগে।যদিও এখানে জ্যাম নেই বললেই চলে।এজন্য খুব তাড়াতাড়ি নিদিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পেরেছি।আমরা নতুন চায়নিজ রেস্টুরেন্ট BFG তে গেলাম।এরপর এক এক করে সবার পছন্দ মতো ভিন্ন ভিন্ন ডিশ অর্ডার করলাম।সব খাবারের মধ্যে স্যুপ আর অন্থন তো থাকবেই চায়নিজ খেতে গেলে।তাই আমরা প্রথম এই দুটো আইটেম নিয়েছিলাম।
আধো আলোতে গল্প করতে করতে স্যুপ খেতে খুবই ভালো লাগছিলো।সত্যি কথা বলতে সবাই মিলে একসাথে যেকোনো জায়গায় গেলে ই খুব ভালো লাগে।আমরা সবাই খুব আনন্দ করছিলাম খেতে খেতে।এরপর মেইন ডিশ এলো আমাদের। আমরা ফ্রাইড রাইস,ভেজিটেবল,স্পাইসি চিকেন ফ্রাই ও সিজলিং নিয়েছিলাম।যদিও খাবারের মেন্যু চার্টে পুডিং ছিল।কিন্তু অর্ডার করতে ই ওয়েটার ভাইটি বলল পুডিং নেই।আমার ছেলে লাচ্ছি ও চেয়েছিল খাওয়ার জন্য। কিন্তু সেটা ও নাকি নেই।কি আর করা আমার খাওয়া শেষ করে নীচে নেমে যার যার পছন্দ মতো আইসক্রিম নিয়েছিলাম।এরপর গাড়িতে বসে খেতে খেতে বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।সেদিিন খুব ইনজয় করেছিলাম সবাই মিলে।সুন্দর কিছু অনুভূতি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।সুন্দর ভ্রমন ও মজার খাওয়া-দাওয়ার অনুভুতি গুলো নিজের মতো করে শেয়ার করে নিলাম।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লগবে।
আজ আর নয়।এখানেই আজ শেষ করছি আজকের ব্লগ।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | ভ্রমন |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | BFG রেস্টুরেন্ট,বরিশাল |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
0.00 SBD,
1.31 STEEM,
1.31 SP
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
X-promotion
সবাই মিলে কোন কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। আসলে আপু পরিবারের সবার সাথে এভাবে বাইরে খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনার খাবার গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আগে জানলে আমি ও চলে যেতাম হা হা হা।বেশ ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু মতামত প্রকাশ করার জন্য।
ভ্রমণের মাঝে বিরতিতে আপনারা খাওয়া-দাওয়া করেছেন। হোটেলে গিয়ে চাইনিজ খাবারগুলো খেয়েছেন এবং গল্প করেছেন। খাবার গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। অনেক কিছুই খেয়েছেন দেখছি। শেষে সবাই মিলে আইসক্রিম খেয়েছেন। ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।