লাইফ স্টাইল - 💕 " ভাইয়ার ছেলের জন্মদিনে আমরা "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
ভাইয়ার ছেলের জন্মদিনে আমরাঃ
বন্ধুরা,আজ হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজকের বিষয়টি হলো ভাইয়ার ছেলের জন্মদিনের অনুভূতি নিয়ে আপনাদের মাঝে কিছু শেয়ার করা।আপনারা অনেকেই জানেন দেশের অবস্থা খুব খারাপ ছিল।বাসায় আটকে থাকতে থাকতে দম বন্ধ হয়ে আসছিলো আমার।এরপর গত শুক্রবার বাবার বাসায় ওয়ারী আসি।এখনো আছি। আজ চলে যাব বাসায়।শুক্রবার দিন বাবার বাসায় আমি আর আমার ছোট
বোনের পরিবার সবাই মিলে আছি।সময়টা খুব ভালো ই কেটেছে।আজ সবাই চলে যাব যার যার বাসায়।
বাসায় এসে শুনি ভাইয়ার ছেলের জন্মদিন। কিন্তু দেশের অবস্থা তখন ভালো ছিল না বলে ভাবী ছেলের জন্য কেক বাইরে অর্ডার করতে পারেনি।বাসায় নিজেই কেক তৈরি করে নিয়েছিল।এরপর বিকেলে কেক কাটে।নীচের ফটোগ্রাফিতে আপনারা তিরামিসু কেক দেখতে পাচ্ছেন।এটা আমার ছোট বোন বাচ্চাদের জন্য নিজে তৈরি করে নিয়ে এসেছিল।এরপর দুটো কেকই কাটা হয়।দুটো কেকের টেস্ট ই ভালো ছিল।সবাই খুব মজা করে খেয়েছিল।বাচ্চারা কেক ভীষণ পছন্দ করে।জন্মদিন ছাড়া ও কেক তারা খেতে খুব পছন্দ করে।আর এজন্য প্রায় সময় নানা রকমের কেক বাসায়ই আমরা তৈরি করে থাকি।দেশের এই পরিস্থিতিতে ওর জন্মদিনের কথা আমাদের মাথাতেই ছিল না।আর যেহেতু সব মার্কেট বন্ধ। ওর জন্য কিছু গিফট আনবো এমন অবস্থা আসলে ছিল না।তাই আমরা টাকা দিয়েছি অকে যাতে সবকিছু স্বাভাবিক হলে ও ওর পছন্দ মতো কিছু কেনাকাটা করে নেয়।বাচ্চা মানুষ আমাদের সবাইকে একসাথে পেয়েই ও খুব খুশী।
এরপর ভাবী চপ,অন্থন নিজের হাতে তৈরি করেছিল আমাদের জন্য। আমরা বাসার খাবার খেতেই ভীষণ ভালোবাসি।তাইতো সবাই খুব মজা করে প্রতিটি খাবার খেয়ে নিলো।আর এর সাথে আছে একত্রে সবাই মজা করার আনন্দ অনুভূতি। সময় গুলো ভালো ই কেটে গেলো।দেখতে দেখতে চার দিন পার হয়ে গেলো।দেশের এই পরিস্থিতিতে বাইরে বের হওয়া না গেলেও বাসায় বসে সবাই একসাথে দারুন কিছু সময় কাটিয়েছি।সেই অনুভূতি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।একটু পরেই বাসায় চলে যাব।বাসায় গেলে আবার রান্না-বান্না এটা সেটা করতে ব্যস্ত হয়ে যাব।তাই ভাবলাম সকাল সকাল পোস্ট লিখে শেয়ার করে ফেলি।তো,এইতো ছিল আমার আজকের কিছু অনুভূতি।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে যাব।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ওয়ারী,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
ঠিক বলেছেন আপু বেশ কয়েকদিন সবারই বন্ধি দশায় কেটে গেল। এখন সবাই মুক্ত হাওয়ায় ঘুরতে পারবে। আপনি তো এই সময়টা বাবার বাড়িতে বেশ ভালোই কাটিয়েছেন বোনসহ। আপনার ভাবি আপনাদের জন্য তো বেশ মজাদার খাবার আয়োজন করেছিল। দেখে ভালো লাগলো আপু।
ভাইয়ের ছেলের জন্মদিনে দেখছি বেশ ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বাহিরের অবস্থা আসলেই অনেক খারাপ। আপনার ভাবি ঘরে নিজের হাতে কেক তৈরি করে নিয়ে ভালোই করেছে। কেকটা দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজাদার ছিল। আপনার ভাবিতো দেখছি কেকের পাশাপাশি আরো অনেক কিছু তৈরি করেছে। আপনারা সবাই মিলে আনন্দ সহকারে খেয়েছেন, আর সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন, সব মিলিয়ে ভালো লাগলো দেখে। আর তাকে টাকা দিয়ে ভালোই করেছেন, তাহলে সে পছন্দ মতই কিনতে পারবে।
বাহ কত সুন্দর প্রতিভা। বাহিরে সমস্যা থাকার কারনে এত সুন্দর প্রতিভা প্রকাশ পেলো। কেকের ডিজাইনটা অনেক সুন্দর হয়েছে। যায়হোক বাবার বাসায় গিয়ে ভাইপোর জন্মদিনে খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। অনুভূতি পড়ে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ।