🥰 " প্রথমবারের মতো ফুপাতো ভাইয়ের বাসায় ঘুরতে যাওয়া "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
প্রথমবারের মতো ফুপাতো ভাইয়ের বাসায় ঘুরতে যাওয়াঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজকের পোস্ট টি মূলত ভ্রমন পোস্ট।আজকের পোস্টের টাইটেল পড়ে আপনারা এতক্ষনে জেনে গিয়েছেন আমি আসলে কোথায় গিয়েছিলাম।হে বন্ধুরা,আমি কিছুদিন আগে আমার ছোট চাচার ছোট মেয়ের বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার জন্য ওয়ারী আমার বাবার বাসায় গিয়েছিলাম।সেখানে থেকে ই মূলত বিয়েতে অংশগ্রহন করেছিলাম।আমার ফুপু একটি ই এটা হয়তো যারা আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন তারা জানেন।
আমার ফুপুর তিন ছেলে।বড় ছেলের বাসায় গেন্ডারিয়া সেদিন গিয়েছিলাম।বাবার বাসায় ওয়ারী যাওয়া হলেও বাসা থেকে আর অন্য কোথাও আসলে যাওয়া হয় না আমাদের।দুই থেকে তিন দিনের জন্য বাবার বাসায় যাই দুই বোন একসাথে।সবাই মিলে ই দুই তিন দিন কেটে যায়। ফুপু আর ফুপাতো ভাই এমন কি ভাইয়ের বউ সব সময় বলে আমরা এতো কাছে গিয়েও কেন ওদের বাসায় যাই না।যাই হোক এবার বিয়েতে গিয়ে তিনদিন ছোট চাচার বাসায় যাওয়া হয়েছিল গেন্ডারিয়াতে।তাই বোন আর দুই ভাইয়ার বউ অর্থাৎ ভাবীদের নিয়ে ফুপাতো ভাইয়ের বাসায় এবার গিয়েছিলাম।বাসাটা ১৩ তলাতে।কিন্তু ওর বাসার গেট দিয়ে ঢুকেই আমার মনে হলো যেনো আমি সবুজের মধ্যে চলে এসেছি।এতো এতো গাছ ওর বাসার সব জায়গাতে দেখে একটু অবাক ই হয়ে গেলাম।কারন ওর মেয়ে এখনো ছোট।এতো এতো গাছ ওর বউ বারান্দা,রুমে রেখেছে যে ওর মেয়ের তা ধরার কথা।এমন কি ছিঁড়ে নষ্ট করার কথা।
আমার ফুপাতো ভাইয়ের মেয়ে আমার ছেলের ও ছোট।অথচ ওই মেয়ে ভুল করেও নাকি গাছে হাত দেয় না।এমন কি কোন গেস্ট বাসায় এলে সেই বাচ্চারা ও নাকি গাছ ধরে না।আমি ভাবলাম আমি আমার ছেলের জন্য গাছ লাগাতে পারিনা।ও গাছের পাতা ছিঁড়ে এমন কি গাছ ও তুলে ফেলে।তাই ভেবেছি ছেলে বড় হয়ে গেলে বাগান করবো।দুষ্ট বাচ্চা হলে আসলে শখের কাজ গুলো তুলে রাখতে হয়।
ভাইয়ের বাসা ১৩ তলাতে হওয়াতে ওর বারান্দা দিয়ে বুড়িগঙ্গা ব্রিজ সহ নদীটা দেখা যায়। আমি সন্ধ্যার দিকে ওর বাসায় যাওয়াতে বারান্দা দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদী দেখতে পেলেও অন্ধকারের জন্য ফটোগ্রাফি করে আপনাদের দেখাতে পারলাম না।তবে বারান্দাতে ও যে অনেক অনেক গাছ আছে তার সামান্য কিছু দেখালাম আপনাদেরকে ফটোগ্রাফির মধ্যে দিয়ে।
সেদিনের সময় বেশ ভালো ই কেটেছে।আমাদের জন্য নানা রকমের খাবার দাবারের আয়োজন করা হয়েছিল।সবুজের ফটোগ্রাফি করতে করতে খাবারের ফটোগ্রাফি করার কথা একদম ভুলেই গিয়েছিলাম,হিহিহি।যাই হোক খাবারের ফটোগ্রাফি দিয়ে কি হবে।ভাইয়ের বউ যে এতো এতো গাছের এতো যত্ন করে সুন্দর বাগান করেছে এতেই আমি ভীষণ খুশী হলাম।এতো এতো জায়গায় গাছ খুব কম মানুষ কেই রাখতে দেখেছি আমি।আর হে,ভাইয়ের বউয়ের বাসার বেসিনটা ওদের অনেক বড় সেখানে ও অনেক গাছ রেখেছে দেখলাম।এমনটা আসলে দেখা যায় না সচরাচর।সবুজ,প্রকৃতি আমার ভীষণ পছন্দ। তাই ওর বাসায় গিয়ে মনে হয়েছে আমি কোথাও বাইরে সবুজের মাঝে ঘুরতে এসেছি।খুব ভালো কেটেছে সময়।পরিবারের সবার সাথে সুন্দর সময় কাটিয়ে আমরা আমাদের ছোট চাচার বাসায় সবাই মিলে গিয়েছিলাম।এই ছিল আমার আজকের শেয়ার করা কিছু অনুভূতি। আশাকরি আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে।
আমার মনের অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে নিজের মতো করে শেয়ার করে নিলাম।আশাকরি আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুভূতি গুলো ভালো লেগেছে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।আজ এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | ভ্রমন |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | গেন্ডারিয়া, ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
ফুপাতো ভাইয়ের বাসায় ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনার ভাইয়ের বাসাটা খুবই সুন্দর। পুরোটা সবুজ গাছ দিয়ে ভরপুর। বাসাটা খুবই সুন্দর এবং এটা সাজানো গোছানো। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর ভাবে গোছানো আপনার ফুফাতো ভাইয়ের বাসা। ১৩ তালার উপরে হাওয়ায় বুড়িগঙ্গা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় সেখান থেকে। বেশ ভালো লাগলো অনেক কিছু জানতে পেরে এবং আপনার ভাইয়ার গোছানো সুন্দর ভাষা দেখে।
ধন্যবাদ জানাই।
আসলে আপু ব্যস্ততার জন্য তেমন কোথাও যাওয়া হয় না। তবে আপনজনের কাছে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর বাসায় দেখছি সবুজের সমারহ। বাচ্চাটি সত্যি অনেক ভালো কোন কিছু নষ্ট করে না। ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
খাবারের ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গেছেন তাতে কি হয়েছে। কত সুন্দর করে এগুলো তো ফটো ধারণ করে দেখিয়েছেন। অনেক ভালো লেগেছে এত সুন্দর ভাবে গোছানো পরিবেশ দেখে। আর বিস্তারিত জানতে পারলাম ১৩ তলা বিল্ডিং এ থাকে, সেখান থেকে নদী দেখতে পাওয়া যায়।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
জাষ্ট অসাধারণ লাগলো আপনার ফুফাতো ভাইয়ের বাসার গাছপালা। আমি সবগুলো গাছ বেশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম আর বেশকিছু আইডিয়া নিলাম। আমার বাসাতেও বেশ কিছু গাছ রয়েছে তবে ওনার ডেকোরেশন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। আপনার এই পোস্ট আমার কাছে মূল্যবান আপু।
আপনি ও তো বাগান করেন,বুঝলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাঝেমধ্যে গেস্টের বাসায় ঘুরতে যাওয়া ভালো। নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। নিজেদের ব্যস্ততার মাঝে সময় করে গেস্টের বাসায় গেলে নিজের মনটা ভালো রাখা যায়। আমরা বেশ কয়েকদিন আমাদের এলাকায় এসেছি এবং ঘুরাঘুরি করছি। সবচেয়ে ভালো লাগার ছিল সবুজ ফসলের মাঠগুলো। যাইহোক আপনাদের সুন্দর এই গেস্ট এর বাসা দেখে ভালো লাগলো।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
মাঝেমধ্যে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাওয়া খুবই ভালো এতে করে সম্পর্ক ভালো থাকে এবং ভালোবাসা বজায় থাকে। আপনার পোস্ট পড়ে এবং দেখি যে কথাটা একেবারেই না বললে নয় তাহলে আপনার ফুফাতো ভাইয়ার বাসার ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন অসাধারণ। সকলে গাছ প্রেমী হওয়ার কারণে বাড়ির ভেতরে এত গাছ। তার প্রতিটি যাচ্ছি বেশ উপকারী গাছ। এমন গাছ ভর্তি ঘর দেখলে খুব ভালো লাগে।
জি দিদি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।