মেয়েদের আবদারে অনেকদিন পর কলেজে ঘুরাঘুরি।
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।আমি শারমিন আপনাদের মাঝে চলে আসলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।তাহলে চলেন শুরু করি।
আমার মেয়েরা ছোট থেকে আমার কলেজ যাওয়া দেখে আসছে।হয়ত সেখান থেকে তাদের ইচ্ছা হয় তাদের মায়ের কলেজ এ ঘুরতে যাবে।আমার একাডেমিক শিক্ষা চলাকালীন তাদের নিয়ে আমার কলেজে যাওয়ার মত সময় হয় নাই।কিন্তু তাদের তো তার মায়ের কলেজ এ যেতেই হবে।আজ যাই কাল যাই বলতে বলতে অনেক দিন চলে যায়।হঠাৎ একটা দরকারী কাজে কলেজে যাব তখন মেয়েরা বলল আমরাও যাব।
তখন অগত্যা তাদের নিয়েই যেতে হলো কলেজ এ। আমার কলেজ যাওয়ার পথে একটা নদী আছে। নদীটার নাম গড়াই। এই নদী তখন আমাদের নৌকা করে পার হওয়া লাগতো। বিশাল একটা নদীর চর পেড়িয়ে প্রচন্ড রোদের তাপ সয়ে অবশেষে আমরা আমাদের কলেজ এ চলে আসি।
ছবিঃ আমাদের গড়াই নদী।
কলেজে আসার পর আমার মেয়েরা আনন্দে আত্মহারা। সেখানে তাদের নিয়ে ঘন্টা তিনেক ছিলাম আমি।তারা আমার কলেজের চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখলো। তাদের খুশি দেখে আমার ও একটা আলাদা অনুভুতি কাজ করছিল।কলেজ এ ঘোরাঘুরি শেষে তাদের নিয়ে আমাদের কলেজ গেট থেকে কিছু খাওয়া দাওয়া করে।অবশেষে তাদের ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা বাড়ি ফিরে আসি।
সময় ও স্রোত কখনও থেমে থাকে না।তারাও একসময় কলেজে পড়বে তখন হয়ত গল্প করবে যে আমরা মায়ের সাথে মায়ের কলেজ এ গিয়েছিলাম।
অবশেষে বলি সবাই আমার দুই মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। তারা যেন ভালো মানুষ হয়ে তাদের জীবন গড়ে তুলতে পারে।
এটা সত্য যে সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না, নিঃসন্দেহে আপনার মেয়ে একদিন বড় হবে এবং স্কুল জীবন শেষ করে কলেজ জীবনে পদার্পণ করবে। মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে এরকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে বেড়ানোটা নিঃসন্দেহে ভালো একটা দিক। এতে সন্তানেরা যেমন খুশি হয় ঠিক তেমনি তাদের লেখাপড়ার প্রতি আরো বেশি আকর্ষণ হয়।
আপনার মেয়েদের জন্য আশির্বাদ করছি।ওরা একদিন মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে।মেয়েদের আপনার কলেজে যাওয়ার আগ্রহ দেখে বেশ ভালো লাগলো।অনেকটা সময় কাটিয়েছেন মেয়েদের কে নিয়ে যা খুব ভালো আনন্দের সময় অতিবাহিত করেছেন কলেজে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।