গল্প আত্মচিৎকার 😥
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো চাপাআত্নচিৎকার নামক একি গল্প নিয়ে আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন দেখা যাক গল্পটি কেমন।
মধ্যবিত্ত পরিবার। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে সন্তান। সাত বোনের এক ভাই।সবার ছোট। অনেক আদরের। মূলত পুত্র সন্তানের আশায় এতো গুলো মেয়ে সন্তান। বাবা মায়ের আদরের ও বোনেদের চোখের মনি ভাই।মাথাশ রাখলে উকুনে খাবে মাটিতে রাখলে পিপড়ায় খাবে এরকম অবস্থা। খুবই ভালোবাসে সবাই।
একে একে সব বোনেদের বিয়ে হয়ে যায়। টাকাপয়সার কারণে খুব বড়োলোক পরিবারে বিয়ে দিতে পারেনি।আজকাল মেয়ের বাবার যতো টাকা তত মেয়ের ভালো ঘরে সমন্ধ। যাই হোক বোনের বিয়ে হয় ভাইও আস্তে আস্তে বড়ো হতে থাকে।পাঁচ পাঁচটি বোনের বিয়ে দেয়ার কারণে আর্থিক ভাবে দূর্বল হয়ে যায়।
ছেলেটি এসএসসি পাস করার পর চাকুরীতে জয়েন করে।বাবার আরো একটি জমি বিক্রি করে ছেলের চাকুরির পিছনে ব্যায় হয়।তবুও ছেলে ভালো থাকুন বাবা এটাই চায়। তাদের একমাত্র অবলম্বন শেষ বয়সের ভরসা।
বেশ ভালোই চলছিলো দিনকাল। ভাই চাকুরি করে বোনেদের জন্য মাঝে মাঝে কেনাকাটা করে দেয় মা প্রসারে রুগি প্রতিমাসে বেশ অনেক টাকার ঔষধ খেতে হয়। প্রতিমাসে বেতন পেয়েই মায়ের জন্য ঔষধ কিনতে ভোলে না।এভাবে বেশ চলছিলো তাদের সংসার।এর মাঝে দূর সম্পর্কের আত্নীয়ের মাধ্যমে বিয়ের সমন্ধ আসে এবং বিয়ে হয়।
বিয়ের বছর ঘুরতেই ছেলেটির বউয়ের কোল আলো করে একটি কন্যা সন্তান জন্মনেয়। ছেলেটি খুবই খুশি মেয়ে হওয়াতে।বোনেদের এতো ভালোবাসা পেয়েছে যে মেয়েদের প্রতি আলাদা সন্মান ও ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে। বাচ্চা টি ছেলেটির চোখের মনি তাই খুব তারাতারি বাসায় নিয়ে যায়।সন্তানকে ছারা থাকা অসম্ভব। মেয়েও বাবাকে ছারা কিচ্ছু বোঝে না।অফিস যাওয়ার আগে বাচ্চার কপালে চুমু খেয়ে কোলে নিয়ে আদর করে তারপর বের হয়।
বাচ্চা টিও বাবা বলতে পাগল বাবাকে ছারা এক মূহুর্ত থাকতে পারে না।শুধু ডিউটি সময় খুব কষ্টে পার করে ছেলেটি।মেয়ের জন্য মন কাদে খুবই। ডিউটিকালীন সময়ও মেয়ের সাথে ভিডিও ফোনে কথা বলে। মেয়ে আর বাবার এতো গভীর ভালোবাসা যা না দেখলে বোঝানো সম্ভব নয়।
হঠাৎ দেশের খুব খারাপ সময় চলে আসে আর সেখানে দায়িত্বপালনে যেতে হয়। কঠিন থেকে কঠিন সময় পার করতে হয়।বাসায় গিয়ে না খেয়েও ডিউটিতে আসতে হয়।এমন অবস্থা চলতে চলতে একদিন ডিউটি টিম আক্রমণের শ্বিকার হয় এবং হত্যা করা হয় ছেলেটিকে সহ পুরা টিমের বেশিভাগকেই।কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না সবাই উল্লাস করতে করতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে।
বাচ্চা টি বাবার অপেক্ষায় থাকে। বাবাকে খোজে।বাবা বাবা বলে আধো আধো মুখে চিৎকার করে।বাবা আসে না দিন যায় রাত যায় বাবা আসে না।মা বাচ্চা টিকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে যায়।একদিকে অকালে স্বামী হারাবোর কষ্ট অন্যদিকে বাচ্চার বাবার জন্য কান্না।বাচ্চা টির মা পাগক প্রায়।কাউকে কিছু বলতে পারে না।মা আজ কয়েক মাস ঔষধ ছারা। মৃত্যুর প্রহর গুণছে।পুরো পরিবার আজ দিশেহারা। কেউ শোক প্রকাশ করতে পারছে না চাপা আত্ম চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে গেছে। মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না।শান্তনা দেয়ার মানুষ নেই শান্তনা চাওয়ার অধিকার নেই।শুধুই চাপা আত্নচিৎকার। কে দেখবো সেই আত্নচিৎকার।চার দেয়ালের বাইরে এই আত্নচিৎকার বের করতে মানা।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।