বাণিজ্য মেলা দ্বিতীয় পর্ব❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
এখন আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো বাণিজ্য মেলায়র অনুভুতি দ্বিতীয় পর্ব।
এরপর হঠাৎ মেলা ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়লো সন্দেশের সাচ।দোকানী আটা দিয়ে নানান ডিজাইনের সন্দেহ বানিয়ে রেখেছে কাষ্টমারকে আকৃষ্ট করার জন্য। আমিও সুন্দর সুন্দর সন্দেহ বানানো দেখেই আকৃষ্ট হলাম এবং থমকে গিয়ে দাম জানতে চাইলাম সাচের।ভিন্ন ভিন্ন সাচের ভিন্ন ভিন্ন দাম।আমি যে সাচ সেটের দাম করলাম তা প্রথমে ৬০ টাকা চাইলো আমি ৫০ টাকা দিতে চাইলে রাজি হয়ে গেলো এবং দিয়ে দিলো।আমিও নিয়ে নিলাম। ছয় পিসের সন্দেস সাচটি সত্যি দারুণ। এই সাচ দিয়ে সন্দেস বানিয়ে একদিন আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
এখন মেয়ের পছন্দের খাবার ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে গেলাম। এক প্লেট ফুচকা অর্ডার দিয়ে বসে বসে চারদিকে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিলাম। ফুচকার দোকানটি বিশাল বড়ো এবং মেলার মাঝে সেজন্য ফুচকা খেতে খেতে মেলা উপো ভোগ করা যায়।আমি চারদিকে দেখছিলাম এরে মাঝে ফুচকা চলে এসেছে। ফুচকা খাওয়াটা বেশি তৃপ্তি ছিলো না বুঝতে পারছি কারণ কয়েক টা ফুচকা খেয়ে আর খাবে না বলছিলো।ফুচকা আমার মেয়ে খুবই পছন্দ করে তবে আজ খেলো না তৃপ্তি করে।আমি আমার জন্য অর্ডার করিনি ফুচকা কারণ আমি বাইরের খাবার একদমই খেতে পছন্দ করি না।একটা কফি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ আমার খাবার বা একটা আইসক্রিম।
ফুচকা খাওয়া শেষ আবারও সব গুলো স্টলে ঘুরে ঘরে দেখতে লাগলাম। ঘুরতে ঘুরতে বেশ সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র দেখলাম কোথাও বা হরেক রকমের চামুচ,গ্লাস,জল ইত্যাদি।
আবার কোথাও বা নানান রকমের কসমেটিকস। হেয়ার ব্যান্ট গুলো বেশ চমৎকার সুন্দর।
এরপর মেয়ে বায়না ধরলো সে স্মোক বিস্কুট খাবে।আমি কখনো খাইনি।স্মোক বিস্কুট খেলেই মুখ দিয়ে বের হয় ধোঁয়া।অনেকেই আমরা ফায়ার পান বা স্মোক পান খেয়েছি বা দেখেছি,নাম শুনেছি কিন্তুু এসব ফায়ার , স্মোক পান এখন শুধুই স্মৃতি।এখন জনপ্রিয় হচ্ছে স্মোক বিস্কুট । বাজারে এখন এসে গেছে অভিনব বিস্কুট যা মুখে দিলেই বের হচ্ছে ধোঁয়া।
মেয়ের জন্য অর্ডার করলাম এবং নিমিষেই তৈরি করে দিলো মেয়ে খাচ্ছে আর সিগারেটের মতো ধুোয়া বের করছে আমি হাসতে হাসতে শেষ। আমিও এক টকুরো মুখে তুলে নিলাম এবং নাক মুখ দিয়ে ধোয়া বের করলাম। মেয়ের স্মোক বিস্কুট খাওয়ার কয়খানা ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
এই ফটোগ্রাফি করেছি কিন্তুু এসব বাড়িতে এসে দেখার পর মনে পড়লো একটা নেয়া উচিত ছিলো।এগুলো কাঠের হামানদিস্তা।হামানদিস্তা দিয়ে খুব সহজেই কিছু পিসে ফেলা যায়।পূজার ঘরে রাখলে ধুপ গুড়া করা কিংবা ভোগের জন্য মসলা পিসতে খুব সুন্দর ও সহজ হয়।যেহেতু একমাত্র থাকবে এই মেলা তাই আবারও গিয়ে কিনবো মনস্থির করেছি।
এই ছিলো আমার বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় পর্ব আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
এই সাচ গুলো আমার অনেক দিনের কেনার ইচ্ছা ছিল আপু। অনেক খুঁজেও কোথাও পাইনি। এই ধরনের জিনিসগুলো বাণিজ্য মেলায় বেশ ভালো পাওয়া যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরি সুন্দর মুহূর্তের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার জন্য।
এই সাচ আপনার কেনার ইচ্ছে জেনে ভালো লাগলো।খুঁজে পারবে মেলায়।
যদিও আপনার বাণিজ্য মেলার প্রথম পর্ব পড়া হয়নি দ্বিতীয় পর্ব পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আমার কাছে বাণিজ্য মেলায় যেতে অনেক ভালো লাগে। আমাদের ঢাকায় আগারগাঁও থাকতে দুই একবার গিয়েছিলাম কিন্তু এখন অনেক দূরে নিয়ে যাওয়াতে তেমন একটা যাওয়া হয় না। তবে আশা আছে এবার বাণিজ্য মেলা ঘুরতে যাব।
অবশ্যই ঘুরতে যাওয়া উচিত বাণিজ্য মেলায়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিস্কুট মুখে দিলেই ধোঁয়া বের হয়, এমন বিস্কুিট আমাদের বাসার পাশের মেলাতেও দেখলাম। এটা বাচ্চাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দেখতেও দারুণ লাগে। ধন্যবাদ।
একদমই ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের কাছে এই বিস্কুট খুবই জনপ্রিয়।