বুন্দিয়া রেসিপি ❤️

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

হ্যালো

আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।

IMG_20241111_122626.jpg

আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো মজাদার বুন্দিয়া রেসিপি।
বুন্দিয়া আমার ও আমার মেয়ের খুব পছন্দের। সব সময় বুন্দিয়া কিনে খাওয়া হয়।বিশেষ করে রমজান মাসে বুট বুন্দিয়া প্রতিদিন বিকেলে আমার মেয়ের লাগবেই।
ঘরে বেশন ছিলো তাই ভাবছিলাম বুন্দিয়া বানিয়ে মেয়েকে দেবো।জীবনে প্রথমবার বানালাম।বানানোর পর বেশ ভালোই লাগলো।প্রথম দিন বানানোর কারনে খুব সুন্দর না হলেও দোকানের থেকেও অনেক সুস্বাদু হয়েছে।

আমি কোন ফুড কালার ব্যাবহার করিনি।ফুডকালার আমার সহ্য হয় না গ্যাস হয়ে যায়।আসলে ফুডকালার ব্যাবহার করলে দেখতে সুন্দর হয় কিন্তুু স্বাস্থ্যকর নয়।
আর দেখতে সুন্দর না হোক তবুও স্বাস্থ্যকর হোক সেটাই খেয়াল করি এবং সবার করা দরকার।

তো চলুন দেখা যাক বুন্দিয়া রেসিপিটি কেমন।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7ymzGke8zYLviAEWPDxYkN8tKhrF1aonKrPAXBRNq86TR9ggR4NDyQ2pc2mNp8adLv16Q2233eozG2jSQNbkPnHLiy6gQE.png

বেশন
ভোজ তেল
চিনি
এলাচ
তেজপাতা

PhotoCollage_1731301087767.jpg

প্রথম ধাপ

প্রথমে একটি পাত্রে বেসন নিয়েছি।

IMG_20241111_110043.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এখন বেসনে প্রথমে অল্প পরিমাণে জল দিয়ে মেখে তারপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে একটি গোলা তৈরি করে নিয়েছি বুন্দিয়ার জন্য।

PhotoCollage_1731301387237.jpg

তৃতীয় ধাপ

এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি ও তাতে তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও একটি ঝড়নার উপরে আগে থেকে করে রাখা বেসনের গোলা ঢেলে দিয়েছি।

PhotoCollage_1731301519035.jpg

চতুর্থ ধাপ

বেসনের গোলা ঝারনায় ডালার কারণে ঝারনার গোল গোল ছিদ্র দিয়ে পড়ছিলো তেলে ও বুন্দিয়া ভাজা হচ্ছে। এভাবে সব গুলো বুন্দিয়া ভেজে তুলে নিয়েছি।

PhotoCollage_1731301731062.jpg

পঞ্চম ধাপ

এখন একটি হাড়িতে পরিমাণ মতো চিনি ও জল দিয়েছি।তেজপাতা ও এলাচ দিয়ে হাই হিটে জ্বাল করে বান্দিয়ার জন্য সিরা বানিয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1731301883327.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এখন আগে থেকে ভেজে রাখা সিরা গুলোতে আগে থেকে ভেজে রাখা বুন্দিয়া গুলো দিয়ে নারাচারা করে দু ঘন্টার জন্য রেখে দিয়েছি। দু ঘন্টা বা তার বেশি সময় রাখলে শিরা গুলো বুন্দিয়ার ঢুকবে এবং রসে ভর্তি হয়ে যাবে নরম হবে খেতে মজা লাগবে।

PhotoCollage_1731302009148.jpg

সপ্তম ধাপ

বুন্দিয়া গুলো রসে ভিজে গেছে তাই একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশের জন্য।

IMG_20241111_122550.jpg

পরিবেশন

IMG_20241111_122626.jpg

IMG_20241111_122550.jpg

InShot_20241111_123449757.jpg
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার সুস্বাদু বুন্দিয়া রেসিপিটি। আশা করছি সকলের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।
# টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20241108_234125.jpg

IMG_20241108_234114.png

Sort:  
 3 months ago 

বুন্দিয়া আমার মেয়ের খুব প্রিয় খাবার। মিহিদানাও। তবে আমি কখনো বানাইনি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে একদিন বানালেই হয়। এত সহজ বানানো আমি জানতাম না। আমার শাশুড়ি মা খুব ভালো বানান।

 3 months ago 

আমিও প্রথম বানিয়েনিয়েছি। সত্যি সহজ।মাসিমা বানায় ভালো জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

আপনি তো দেখছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে বুরিন্দা তৈরি করে নিয়েছেন। আপনার তৈরি করা বুরিন্দা দেখতে তো একেবারে বাজারের বুরিন্দার মত লাগছে। দেখেই বুঝতে পারছি এগুলো খেতেও অনেক মজার ছিল। নিশ্চয়ই টেস্টটা অনেক ভালো ছিল। আপনার বুরিন্দা তৈরি করার রেসিপি দেখলে, যে কেউ চাইলে সহজে এই বুরিন্দা ঘরে তৈরি করে নিতে পারবে।

 3 months ago 

অনেক সুস্বাদু হয়েছে আপু।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

বুন্দিয়া দেখে তো আমার মায়ের কথা মনে হয়ে গেল। আমার মায়ের বেশ প্রিয় ছিল বুন্দিয়া। আজ আপনি বেশ সুন্দর করে বুন্দিয়ার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে বেশ খেতে মনে চাইছে। যদিও আমি মিষ্টি খাই না।

 3 months ago 

আন্টি বুন্দিয়া ভালোবাসতো জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে বুন্দিয়া কখনো তৈরি করা হয়নি। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই বুন্দিয়া রেসিপি টা দেখে। আসলেই তাই কোন ফুড কালার ব্যবহার করলে দেখতে সুন্দর লাগলেও সেটা স্বাস্থ্যকর নয়। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

হ্যাঁ আপু সেজন্য ফুড কালার ব্যাবহার করিনি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

ঠিক বলেছেন ফুড কালার ব্যবহার করলে সেগুলো ভালো দেখতে হয় কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। আপনার তৈরি বুন্দিয়া রেসিপিটি লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যকর বুন্দিয়া রেসিপিটির প্রত্যেকটি ধাপ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 3 months ago 

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

বরাবরই আপনি কিন্তু সব ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকেন। এরই মধ্যে আজকে বুন্দিয়া রেসিপি শেয়ার করলেন বাহ বেশ চমৎকার হয়েছে। যদিও বা প্রথমবার করেছেন তবে অসাধারণ হয়েছে। সঠিক বলেছেন ফুড কালার ব্যবহার করলে ভালো দেখালেও সেটা কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয় মোটেও। যাই হোক বুন্দিয়া রেসিপিটি তৈরি করার সব প্রসেস সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 3 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

 3 months ago 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। এমনিতেই আমি মিষ্টি খেতে বেশ পছন্দ করি। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর প্রত্যেকটি স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 3 months ago 

আপনি মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জন্য।

 3 months ago 

বুন্দিয়া রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে পারফেক্ট হয়েছিল। আপনি অনেক সুন্দর করে এই রেসিপি উপস্থাপন করেছেন আপু। এই ধরনের খাবার তৈরি করা সত্যি অনেক কঠিন কাজ। অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।

 3 months ago 

হ্যাঁ খেতে অনেক মজাদার হয়েছিলো।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

আপু প্রথমবার বুন্দিয়া বানালেও আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। বুন্দিয়া খেতে আমার কাছেও খুব ভালো। রমজান মাসে আমিও সবসময়ই খাই। আমি একবার বানিয়েছিলাম তবে ফ্রুট কালার নয় আমি জর্দা রং দিয়েছিলাম। ফ্রুট কালার দিয়ে কিছু তৈরি করতে আমার কাছেও ভালো লাগে না। আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সুন্দর ভাবে বুন্দিয়া তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

ফুড কালার যে কোন খাবার জিনিসপত্র কালার করতে ব্যাবহার হয়ে থাকে।সত্যি খেতে মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

এটা সাধারণত কিনে খাওয়া হয়। বাড়িতে কখনও তৈরি করিনি। এটা আমার খুব পছন্দ না তবে বেশ ভালো খেতে। বুন্দিয়া রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। প্রতিটা ধাপ দারুণ উপস্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

 3 months ago 

আমিও কিনে খাই জীবনে প্রথম বানিয়েছি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 95727.04
ETH 2787.96
SBD 0.67