খেসারি ডালের পিয়াজু রেসিপি❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো খেসারি ডালের মজাদার পিয়াজু রেসিপি ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
পিয়াজু খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি।গরম গরম পিয়াজু বিকেলের নাস্তায় কিন্তুু দারুণ জমে যায়।পিয়াজু পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া মুসকিল। আমার তো ভীষণ ভালো লাগে পিয়াজু খেতে তবে বাড়িতে কম বানিয়ে খাওয়া হয়।বাজার থেকে নানান রকমের পিয়াজু ও চপ কিনে খাই আমি বেশি। বাইরের কোন খাবারের প্রতি লোভ না থাকলেও পিয়াজুর লোভ সামলাতে পারি না।তাই আজকে ভাবলাম বাড়িতেই খেসারি ডালের পিয়াজু ভেজে খাই মজা করে আর রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
১.খেসারি ডাল |
---|
২.পেঁয়াজ কুচি |
৩.কাঁচা মরিচ কুচি |
৪.লবন |
৫.হলুদ |
৬.ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে খেসারির ডাল গুলো জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে কিছু সময়ের জন্য। ডাল গুলো ভিজিয়ে রাখার একমাত্র উদ্দেশ্য ডাল গুলো নরম হবে এবং বাটা দ্রুত হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ
ডাল গুলো ভেজানোর কারণে নরম হয়েছে এবং বাটতে সুবিধা হয়েছে। ডাল গুলো খুব সুন্দর করে শিল,নোড়ার সাহায্যে বেটে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
ডাল গুলো বাটা হয়ে গেলে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচি করে কেটে নিতে হবে এবং খুব সুন্দর করে মেখে নিতে হবে বাটা ডালের সাথে পেঁয়াজ কুচি,মরিচ কুচি,লবন হলুদ দিয়ে।
চতুর্থ ধাপ
এবার চুলায় একটি কড়াই বসাতে হবে এবং পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেল গরম করে নিতে হবে।তেল ভালো ভাবে গরম হয়ে গেলে তাতে আগে থেকে মেখে রাখা খেসারির ডাল গুলো বড়া আকারে গরম তেলে দিয়ে দিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
এখন বড়া গুলো এপিঠ ওপিঠ ওলট পালট করে করে সুন্দর করে ভেজে নিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে বড়া গুলো তুলে নিতে হবে।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার রেসিপি খেসারি ডাল দিয়ে পিয়াজু।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজ এপর্যন্তই। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
পিঁয়াজু তো আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার।বিশেষ করে খেঁসারির ডালের পিঁয়াজু খেতে বেশি টেস্টি লাগে।অনেক দিন হলো একরকম মজাদার পেঁয়াজু খাওয়া হয় না।তোমার পেঁয়াজু রেসিপি দেখে জিভেজল চলে আসলো।অসম্ভব লোভনীয় হয়েছে।লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
খেঁসারির ডালের পেঁয়াজু সত্যি ভীষণ সুস্বাদু হয়ে থাকে।আমিও অনেকদিন পর এই পিঁয়াজু ভেজেছি।
খেসারি ডালের পিঁয়াজু যে আমার কি পছন্দের বলে বুঝাতে পারবো না।মনে হচ্ছে খেতে শুরু করি।অন্যান্য ডালের থেকে খেসারি ডালের পিঁয়াজু বা বড়া খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শীতকালে তেলে ভাজা খাবার গুলো খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। পিয়াজু কম বেশি সবাই খেতে পছন্দ করেন। আপনার রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। অনেক সুন্দর করে রেসিপি সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। যে কেউ দেখে দেখে তৈরি করতে পারবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ঠিক বলেছেন শীতকালে তেলে ভাজা খেতে দারুণ লাগে।
আপনি আজকে খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। খেসাড়ি ডালের পিঁয়াজু খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। গরম গরম মচমচা করে ভেজে খেতে দারুন লাগে। প্রায় সময়ই আমরা বাসায় তৈরি করে খায়। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খেসারি ডালের পিঁয়াজু সত্যি ভীষণ ভালো লাগে খেতে এবং খুব মচমচে হয়।
খেসারির ডালের পিয়াজু তৈরি করার দারুণ পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের তেলে ভাজা গুলো খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা এই জিনিসটা দেখে আমার লোভ লেগে গেল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
পেঁয়াজু খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনি খেসারির ডাল দিয়ে এবং অল্প কিছু উপকরণের মাধ্যমে খুব চমৎকারভাবে পেঁয়াজু তৈরি করেছেন। যা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। এভাবে অল্প উপকরণে পেঁয়াজু বানালে আমার কাছে খেতে আরও বেশি টেস্টি মনে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু অল্প উপকরণে পিয়াজু ভেজে খেতে সত্যি ভীষণ চমৎকার লাগে।
চারদিকে এত এত রেসিপি দেখে তো মাথা ঘুরে গেল। আপনারা কি সুন্দর সুন্দর রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আর আমি তো সময়ের জন্য তেমন কিছুই করতে পারি না। যাই হোক দারুন একটি রেসিপি আজ শেয়ার করলেন। আশা করি মাঝে মাঝে আমাদের সাথে আরও লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করবেন।
আপনার রেসিপিও খুব সুন্দর হয় আপু।অবশ্যই শেয়ার করবো লোভনীয় রেসিপি।
খেসারি ডালের পিয়াজু রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। এই খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আর আপনি এত সুন্দর করে এই লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু।
মজাদার মুখরোচর লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে সত্যি দেখে খুব লোভ হচ্ছে।
খেসারির ডাউলের পাকোড়া খেয়েছি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো খুব লোভ হচ্ছে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
হ্যাঁ সত্যি অনেক মজাদার হয়েছিলো বড়া গুলো।
এই শীতের মধ্যে খেসারি মুসরি যে কোন ডালের পিয়াজু খেতেই ভালো লাগে। আর নিজের ঘরে বানালো তো কোন জামেলা নেই। এগুলো খেতে ভীষন স্বাদ লাগে। কিছুদিন আগে বাহির থেকে কিনে খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ।
আমি বাইরে থেকে কিনেই বেশি খাই।সখের বশে বানিয়েছিলাম এবং খেয়ে ভীষণ তৃপ্তি পেলাম।