হাঁসের মাংস কষা রেসিপি🥰
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আমার এক প্রতিবেশী হাঁস বিক্রি করবেন এবং তিনি সকালে একটি হাঁস বাড়িতে দিয়ে গেছে।যদিও না কয়েকদিন আগেই বাড়িতে গিয়ে হাঁসের মাংস খেয়েছি তাই এখন তেমন খাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও নিয়ে নিলাম কারণ বাড়িতে সকালে নিয়ে এসেছে ফেরত দেয়াটা খারাপ দেখাবে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে সেই হাঁসের মাংস রেসিপি ভাগ করে নেবো দেশি হাঁসের মাংস রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।হাঁসের মাংস আমার ভীষণ পছন্দের। হাঁসের মাংস সব সময় খেতো ভালো লাগে তবে শীতের দিনে বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। হাঁসের মাংস অনেক সুস্বাদু এবং একেক হাঁসের মাংস একেক রকমের সুস্বাদু। একেক রকম হাঁস বলতে রাজ হাঁস,চিল হাঁস,পাতি হাঁস।
আজকে আমি পাতি হাসের মাংস রেসিপি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
১.দেশী হাঁসের মাংস |
---|
২.আলু |
৩.পেঁয়াজ কুচি |
৪.পেঁয়াজ বাটা |
৫.রসুন বাটা |
৬.আদা বাটা |
৭.কাঁচা মরিচ |
৮.মরিচের গুড়া |
৯.হলুদ |
১০.লবন |
১১.গরম মসলা |
১২.গোটা জিরা |
১৩.তেঁজপাতা |
১৪.ভোজ্যতেল |
১৫.গরম মসলা গুড়া |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি পরিস্কার করা আস্ত হাঁসটিকে একটু হলুদ মাখিয়ে হালকা করে পুড়িয়ে নিয়েছি ও তা কেটে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি। হলুদ মাখিয়ে পুড়ানোর কারণে কালারটা দারুণ এসেছে।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন হাঁসের মাংসে লবন হলুদ দিয়েছি ও ভালো করে মেখে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন করাইয়ে তেল দিয়েছিও তা গরম করে নিয়েছি ও লবন হলুদ মেখে নেয়া হাঁসের মাংস গুলো ভালো করে লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন হাঁস ভাজা তেলেই জিরা, তেজপাত ও পেঁয়াজ কুচি ফোঁড়ন দিয়েছি ও একটু সময় ভেজে নিয়েছি মানে পেঁয়াজ কুচি গুলো নরম হওয়া অবদি ভেঁজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন নরম করে ভেজে নেয়া পেঁয়াজে বাটা উপরকার গুলো যেমন প্রথমে পেঁয়াজ বাটা,এরপর, আদা,জিরা বাটা,রসুন বাটা একে একে দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন লবন, হলুদও মরিচের গুড়া দিয়েছি এবং নারাচারা করে কষিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন ধনে গুড়া দিয়েছি ও মিশিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন কষানো মসলায় আগে থেকে ভেজে রাখা হাঁসের মাংস গুলো দিয়ে নারাচারা করে মসলার সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
নবম ধাপ
এখন আলুও রসুন, কাঁচা মরিচ দিয়েছি ও আবারও নারাচারা করপ মিশিয়ে নিয়েছি অল্প পরিমাণ জল দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি মাংস গুলো।এই হাঁসের মাংস অর্ধেক সিদ্ধ কষিয়ে করতে হবে তাহলে সুস্বাদু হবে বেশি।
দশম ধাপ
এখন খুব ভালো ভাবে কষানো হয়ে গেছে তাই কষানো মাংস গুলো প্রেসার কুকারে দিয়েছি ও পাঁচটি সিটি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
একাদশ ধাপ
প্রেসার কুকারে ভাব খেয়ে গেছে তাই মুখ খুলে নিয়েছি ও গরম মসলার গুড়া দিয়ে নারাচারা করে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের সুস্বাদু হাঁসের মাংস কষা। খুবই সুস্বাদু রেসিপিটি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
# টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আসলে হাঁসের মাংস রেসিপি তৈরি করা কিছু টা কষ্টকর এবং কঠিন। আপনার তৈরি করা হাঁসের মাংস কষা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আসলে হাঁসের মাংস রেসিপি সুন্দর ভাবে তৈরি করতে না পারলে তেমন একটা ভালো লাগে না। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপি টি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে।
দিদি আপনি অনেক সুন্দর করে হাঁসের মাংসের কষা তৈরি করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। হাঁসের মাংসের রেসিপি আমি অনেক বেশি করি। চাউলের রুটির সাথে হাঁসের মাংস ভীষণ ভালো লাগে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চালের রুটির সাথে কখনো হাঁসের মাংস খাওয়া হয়নি তবে একদিন খেয়ে দেখবো কেমন লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শীতের সময় সবার কাছে খুবই প্রিয় একটা খাবার হলো হাঁসের মাংস। যেটা এই বছর অনেক বার খাওয়া হয়েছে আপনি দেখছি খুব সুন্দর করে হাঁসের মাংসের কষা রেসিপি তৈরি করেছেন ।দেখেই তো খাওয়ার লোভ জাগলো। অনেক ভালো লেগেছে আপনার রেসিপি তৈরি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতের সময়ে আমারও খুবই প্রিয় হাঁসের মাংস।
হাঁসের মাংস কষা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দেখতে যেমন খেতে তার চাইতে বেশি সুস্বাদু হয়েছে।
তুমি নিজেই হাঁসটা কাটলে? সকাল সকাল ঘর বয়ে এসে এভাবে হাঁস দিয়ে গেছে দেখে মনে হচ্ছে সেই পুরনো দিনের বিনিময় প্রথায় ফিরে গেছি যেখানে মানুষ একটা কিছু দিয়ে আরেকটা কিছু নিতো। তুমি ভালোই করেছো ওনার থেকে হাঁসটা নিয়ে কারণ উনি হয়তো কিছু আশা নিয়ে এসেছিলে এবং তুমি না নিলে আসাটা পূরণ হতো না। রান্নাটা তো বেশ জমিয়ে করেছ দেখছি রংটা কি সুন্দর হয়েছে।
আমি কাটিনি গো কেটে নিয়েছি তবে আমিও সাথে ছিলাম। হ্যাঁ আমার কাছে দেশি মুরগি,হাঁস,দেশি মুরগির ডিম নিয়ে আসে এবং আমি তা ফেরত দেই না কিনে নেই।
হাঁসের মাংসের প্রতি আমার একটু বেশিই টান। কারণ হাঁসের মাংসটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল।
হাঁসের মাংসে কষা রেসিপি দেখেই জিভে জল এসে গেল😋।হাঁসের মাংস আমার অনেক পছন্দের। আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা হচ্ছে।যাই হোক অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপি টি উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ দিদি আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হাঁসের মাংস আপনার প্রিয় জেনে ভালো লাগলো।
ওয়াও আপনি আজকে দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন আপু।শীতের সময় হাঁসের মাংস খেতে সবার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।আমার হাঁসের মাংস অনেক পছন্দের।আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পুরো পোস্টটি শেয়ার করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
হাঁসের মাংসের এত মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে জিভে জল চলে আসলো। হাঁসের মাংস আমার অনেক বেশি পছন্দের। এই শীতের সময় কিন্তু দারুন লাগে হাঁসের মাংস খেতে। আমাকে দাওয়াত দিতে পারতেন এত মজাদার হাঁসের মাংস তৈরি করেছেন। ইচ্ছে করছে এখনই হাঁসের মাংস নিয়ে খেয়ে ফেলতে।