||"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা৬৫||ইলিশ চিতই রেসিপি||
হ্যালো
বাঙ্গালির শীত মানেই পিঠাপুলির আমেজে ভরপুর। শীতকালে বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে পিঠা উৎসব চলে।কনটেস্টের পোস্টে আমরা অনেক গুলো ঐতিহ্যবাহী পিঠার নাম দেখলাম যা আমাদের সকলের প্রিয়।দেশের গন্ডি পেরিয়ে ৮০ টি দেশে আমাদের পিঠা মন জয় করে নিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
আমি আজকে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ভিন্ন স্বাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা চিতই পিঠা রেসিপি।আমি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবহন করে আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ দিয়ে আজকে আকর্ষণীয় ও মজাদার ইলিশ চিতই আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।চিতই পিঠা নানা ভাবে এবং কয়েক প্রকারের হয়।
চিতই কখনো আমরা নানা প্রকারের ভর্তা দিয়ে খেয়ে থাকি আবার কখনো না দুধে ভিজিয়ে দুধ চিতই খেয়ে থাকি। কালের পরিবর্তনে কতো মজাদার করে পিঠা বানানো হয়ে থাকে।
সেরকমই মজাদার পিঠা হলো ইলিশ চিতই।খেতে কিন্তুু সত্যি সুস্বাদু হয়েছে। না খেলে এর স্বাদ বোঝানো সম্ভব নয়।যারাই খেয়েছে শুধু তারাই বুঝতে পারবে এই ইলিশ চিতই কতোটা সুস্বাদু।
ইলিশ মাছ আমরা অনেক সময় ভাপা খেয়ে থাকি।ইলিশ ভাপার স্বাদের মতোই এই ইলিশ চিতইয়ের ইলিশের স্বাদ।
তো কথা না বাড়িয়ে চালুন দেখা যাক রেসিপিটি।
ইলিশ মাছের | ৬ পিস |
---|---|
চালের গুড়ি | ৭০০ গ্রাম |
পোস্ত | ২৫গ্রাম |
লবন | এক চামুচ |
কাঁচা মরিচ | দুটো |
প্রথম ধাপ
প্রথমে ইলিশ মাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন পোস্ত ও কাৃচা মরিচ বেটে তুলে নিয়েছি বাটিতে। পোস্ত দশ মিনিট ভিজিয়ে রেখেছিলাম।ভিজিয়ে রেখে বাটলে খুব মিহিও সহজ হয় পোস্তবাটা।
তৃতীয় ধাপ
এখন আগে থেকে কেটে রাখা ইলিশ মাছে লবন ও পোস্ত বাটা দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিয়েছি ১৫ মিনিটের জন্য। হলুদ ব্যাবহার করিনি কারণ চিতই পিঠা সাদা হয় মাছে হলুদ ব্যাবহার করলে দেখতে খারাপ লাগবে।
চতুর্থ ধাপ
এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি ও আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখা ইলিশ মাছ গুলো দিয়েছি। ম্যারিনেট করে রাখা প্লটটি ধুয়ে জল টুকু মাছে দিয়ে ঢাকা দিয়ে ভাপিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
খুব সুন্দর ভাবে পোস্ত ইলিশ ভাপা হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি একটি পাত্রে।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন একটি পাত্রে চালের গুড়ি নিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো লবন ও জল দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিয়েছি।
সপ্তম
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো চালের গুঁড়ির মিশ্রণ দিয়ে চিতই পিঠার আঁকারে দিয়েছি।
অষ্টম
এখন আগে থেকে পোস্ত দিয়ে ভাপিয়ে রাখা ইলিশ মাছের পিস চিতই পিঠার মাঝে বসিয়ে দিয়েছি ও ঢাকা দিয়েছি।
নবম ধাপ
খুব সুন্দর ভাবে ইলিশ চিতই হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশের জন্য।
দশম ধাপ
ইলিশ চিতই গুলো এতো সুন্দর ভাবে হয়েছে যে পিঠা ওলট-পালট করলেও পিঠা থেকে মাছ পড়ে যাচ্ছে না। পিঠার সাথে আটকে আছে খুব সুন্দর ভাবে।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার ইলিশ চিতই রেসিপি।
আশা করছি সুস্বাদু ইলিশ চিতই রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।এই শীতে পরিবারে শিশুও বয়স্কদের বিশেষ যত্নে রাখুন।
টাটা
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আমার আংশ গ্রহণ)://steemit.com/hive-129948/@shapladatta/3rwkhd-or-or-or-or-or-or
আমার বাংলা ব্লগ কর্তৃক আয়োজিত সুন্দর একটি কনটেস্ট যেখানে দারুণভাবে অংশগ্রহণ করেছে অনেকেই। ঠিক তেমনি আপনিও অংশগ্রহণ করেছেন সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে। খুবই ভালো লাগলো আপনার তৈরি হয়ে রেসিপি দেখে।
শুরুতেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।চিতই পিঠা আমার খুবই পছন্দের একটা পিঠা।আগে শীতকালে খুবই চিতই পিঠা খাওয়া হতো যা এখন আর হয়না।আমি একবার ডিম দিয়ে চিতই পিঠা খেয়েছিলাম।তবে কখনো এরকম ইলিশ মাছ দিয়ে খাওয়া হয়নি বা ভেবেও দেখিনি যে ইলিশ মাছ দিয়ে পিঠা বানানো যায়!অনেক সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে রেসিপি টি যা দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট হয়েছে।শুভকামনা রইলো।❤️
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি দেখতেছি খুব মজার রেসিপি বানিয়েছেন পিঠার।ইলিশ চিতই পিঠার রেসিপি দেখে তো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আর শীতকালে যে কোন পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। এবং পিঠার রেসিপি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।