ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠার জন্য পাত্র কেনার অনুভুতি ❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠা তৈরি করার জন্য মাটির পাত্র।
বাজারে গিয়েছিলাম মেয়ের ঔষধ কেনার জন্য কিন্তুু সব ঔষধ না থাকায় চলে গিয়েছিলাম উপজেলায় কারণ ওখানে সব ঔষধ পাওয়া সম্ভব। তো সব গুলো ঔষধ কেনার পর গেলাম একটু মাছ বাজারে ও কাঁচা বাজারে উদ্দেশ্য ভালো টেংরা মাছ পেলে নেব।তো টেংরা মাছ নিতে গিয়ে পাশের একটি মাটির দোকানে হঠাৎ দেখতে পেলাম সুন্দর সুন্দর চিতই পিঠার জন্য তৈরি মাটির সব সামগ্রী।
বেশ ভালো লাগলো ভাবলাম কিনে নিয়েই যাই।যে কথা সেই কাজ।একটি চিতই পিঠার জন্য মাটির পাত্র কিনলাম আর একটি ভাপা পিঠার জন্য।
দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে চিতই পিঠার পাত্রটিও ভাপা পিঠার পাত্র টি।এই দুটো কিনে এনেছি সবার বেশ ভালো লেগেছে জানি না কেমন পিঠা হবে। অসুস্থতা ও ব্যাস্তার জন্য বানাতে পারনি এখনো তবে অবশ্যই বানাবো এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চিতই পিঠার পাত্রে চিতই পিঠা বানালে মনে হয় ভীষণ সুন্দর হবে। ভাপা পিঠার হাড়িটিও দারুণ একদম ফুটো করাই আছে শুরু জল দিয়ে নিলেই আর কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না।
এরপর গেলাম একটু কাঁচাবাজারে কেনার প্লান নয় দাম শোনার জন্য। যেহেতু পাইকারি বাজার তাই দাম দর শুনতে বেশ ভালোই লাগে।তাছারাও একবারেই কেনা হয় আমার আলু,রসুন, পেঁয়াজ। পেঁয়াজের দাম শুনলাম আশি টাকা দর কেজিতে।
রসুন ২৬০টাকা,আদা২৫০ অল্প অল্প পরিমানে রসুন ও আদা কিনলাম।এরপর বারিতে চলে আসলাম।আজ আবার পাইকারি বাজার থেকে আমার বর দশ কেজি পেঁয়াজ কিনেছে ১২০টাকা কেজি দরে।শুনে তো আমার আপসোসের শেষ নেই মনে মনে ভাবছি ইস যদি ৮০টাকা দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ ও কিনতাম সেদিন কতোই না সাশ্রয় হতো।আসলে দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এতোটাই বেরে যাচ্ছে যে আজ এক দর তো কাল এক দর।কখনো কখনো কেনার পর অনেক দাম বেড়ে যায় আবার কখনো কখনো কেনার আগে।কেনার পর দাম বাড়লে খুশি খুশি লাগে কিন্তুু কেনার আগে দাম বেড়ে গেলে ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়।কি আর করার তবুও নিত্যি প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র মানুষকে কিনতেই হবে।জীবনও জীবীকার তাগিদে।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট ভাপা পিঠার,চিতই পিঠার সামগ্রিক কিনতে যাওয়া ও অনুভুতি মূলক একটি পোস্ট।
আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আবারও দেখা হবে অন্যকোন দিন অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

সত্যি বলেছেন আপু দিন দিন দ্রব্যমূল্যের দাম এত বাড়ছে যে সবকিছু হাতের নাগালে চলে যাচ্ছে। ভাপা পিঠা ও চিতই পিটার জন্য পাত্র কেনার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর এই মাটির জিনিসপত্র গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি মাটির ডিনার সেট কিনেছি যদিও ব্যবহার করতে খুবই ভয় পায়। হাত থেকে পড়ে গিয়ে যদি ভেঙে যায় সেই ভয়ে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভেঙ্গে যাওয়ার খুব ভয় থাকে মাটির জিনিসপত্র তবে খুব ভালো লাগে দেখতে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠার জন্য পাত্র কেনার অনুভুতি । আপনার লেখা পোস্টি পড়ে সত্যি বেশ দারুন লেগেছে এবং শীতের সময় ভাপা পিঠা এবং চিতায় পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে। আসলে আপু বর্তমান বাজারে রসুন এবং আদার দাম অনেক। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
আমার চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠার পাত্র কেনার অনুভুতি ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
পিঠা তৈরীর মাটির পাত্র যেহেতু কিনে নিয়েছেন তাহলে এবার শুধু দাওয়াত পাওয়া বাকি দ্রুত দাওয়াত দিন অবশ্যই উপস্থিত হব হি হি। ঔষধ কেনার পাশাপাশি মাছের বাজারে গিয়ে মাছ কেন হল সেই সাথে মাটির পাত্র কিনেছেন আবার রসুন আদা সহ কিছু সবজির দামও জেনেছেন।
দাওয়াত অগ্রিম দিয়ে রাখলাম চলে আসুন সব রেডি বানিয়ে খাওয়াবো পিঠা।
এটা ঠিকই বলেছেন আপনি। কোন জিনিস কিনার পর যদি দাম বেড়ে যায় তাহলে বেশ ভালো লাগে কিন্তু কেনার আগে দাম বেড়ে গেলে মন খারাপ হবারই কথা। যাইহোক শীতের সময় ভাপা পিঠা এবং চিতই পিঠে খাবার মজাই আলাদা। আপনি ভাপা পিঠা এবং চিতই পিঠার পাত্র কিনেছেন দেখে ভালো লাগলো। পাত্র গুলো আসলে খুব সুন্দর লাগছে। আশা করি পিঠা তৈরি রেসিপি দেখতে পাবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
একমাত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।সত্যি পাত্র গুলো সুন্দর।
আসলে আস্তে আস্তে সব কিছুর দাম অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি হচ্ছে। চিতই পিঠা তৈরি করার জন্য যে পাত্র বিক্রি করা হয়, সেগুলো দিয়ে পিঠা তৈরি করলে অনেক সুন্দর হয়। চিতই পিঠা তৈরি করার পাত্র যদিও আমার কেনা হয় নি। তবে কয়েকদিন আগে ভাপা পিঠা তৈরি করার পাত্র আমি কিনেছিলাম। সব মিলিয়ে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা আজকের এই পোস্টটা।
আমিও প্রথম চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠার পাত্র কিনেছি।আপনিও কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো।
ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠার জন্য অনেক সুন্দর পাত্র কিনেছেন আপনি। আসলে এরকম জিনিসপত্র গুলো দেখলে ইচ্ছে করে নিয়ে আসতে। এগুলো দেখলে না কিনেও থাকা যায় না। ভাপা পিঠা এবং চিতই পিঠার সামগ্রিক কিনতে যাওয়ার মুহূর্ত আরো অনুভূতি, বেশ ভালোই উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে। জিনিসপত্র গুলো কেনার মুহূর্তটা খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন সবার মাঝে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন এসব মাটির পাত্র দেখলে না কিনে থাকা যায় না।
ঔষুধ কিনতে গিয়ে অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছেন ৷ আসলে ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠা মাটির পাত্রে তৈরি করলে অনেক সুন্দর হয় ৷ আর এই পিঠা গুলো খেতেও কিন্তু ভীষণ মজাদার ৷ আপনি পিঠার তৈরির জন্যে এসব উপকরণ কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো ৷ তবে দ্রব্যমূল্যের দাম আসলেই ভীষণ বেড়েছে ৷ যাই হোক , ধন্যবাদ আপনাকে দিদি , আপনার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ৷
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
রসুন মাত্র ২৬০ টাকা করে কেজি দিদি! আমাদের এখানে তো বর্তমানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম কম আমাদের এখানে, পেঁয়াজ ৩০ টাকা করে কেজি। আসলে এই কথাটা সত্যি যে, কেনার আগে যদি কোন জিনিসের দাম বেড়ে যায় তখন একটু কষ্ট লাগে। আমার ক্ষেত্রেও এরকম অনেকবার হয়েছে। যাই হোক, দিদি আপনি ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠার জন্য যে পাত্র কিনেছেন সেটা অবশ্যই ভালো হবে। সাধারণত মাটির পাত্র খারাপ হয় না , আমাদের এখানে তো বেশির ভাগ লোহার এজন্য খুব বেশি একটা ভরসা পাওয়া যায় না।
বাবারে ৪০০,৫০০টাকা কেজি তো অনেক বেশি। তবে পেঁয়াজের দাম তো অনেক কম।
রসুনের এই দাম দেখে আমার মা তো রসুন কিনা ছেড়ে দিয়েছে দিদি। আর আমাদেরও বলে দিয়েছে, রসুন ছাড়া তরকারি খাওয়ার অভ্যাস করতে। হিহি😃🤣😁😁