ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো মজাদার জনপ্রিয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি।
আমার মেয়েদের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খুবই পছন্দের খাবার। খুবই তৃপ্তি নিয়ে খায় সে।একদিন তো একা একা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজতে গিয়ে আগুন ধরে গিয়েছিলো কড়ায়ে।মাঝে মাঝেই বায়না করে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই করে নেয়ার জন্য।বড়ো আলু দেখলে এই বায়না আরো দ্বিগুণ বেড়ো যায়।বর্তমান আলু তোলার সময় চলে এসেছে এবং অনেক কম দামে সুন্দর সুন্দর আলু কিনতে পাওয়া যায়।আমি বাজার থেকে কিছু আলু কিনে এনেছিলাম। আলুর বাজারে গিয়ে তো মনটা ভরে গিয়েছিলো কারণ এক কেজি আলুর দামে পাঁচ কেজি আলু পাওয়া যাচ্ছে এখন বাজারে।যাই হোক আজকে একোবারে সহজ পদ্ধতিতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পদ্ধতি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।তেমন কোন উপকরণ ব্যাবহার না করেই বানিয়ে নিয়েছি মজাদার
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। খেতে দারুণ হয়েছে। মজা করে খেয়েছে নেয়ে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
আলু |
---|
সাদা গোল মরিচের গুড়া |
লবন |
তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে বড়ো সাইজের আলু ছিলে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন লম্বা লম্বা করে কেটে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন রাইস কুকারে জল দিয়ে গরম বসিয়ে নিয়েছি এবং জল গরম হয়ে গেলে তাতে আগে থেকে কেটে রাখা আলু দিয়েছি এবং দু তিন মিনিট ভাপ দিয়ে নিয়েছি।আলু সিদ্ধ করে নেয়া যাবে না।জল ঝাড়িয়ে নেয়ার জন্য একটি ঝাড়নায় রেখেছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন একটি টিস্যুর মাঝে আলু গুলো রেখেছি। টিস্যুর কারণে জল চুষে নিয়েছে এখন টিস্যু থেকে তুলে একটি গামলায় রেখেছি ও তাতে পরিমান মতো লবন ও সাদা লং এর গুড়া দিয়ে মেখে নিয়েছি ও আধা ঘন্টা রেষ্টে রেখেছি নরমাল ফ্রিজে।
পঞ্চম ধাপ
এখন কড়াইয়ে তেল দিয়েছি এবং মেখে রাখা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর আলু গুলো তেলে দিয়ে ভেজে ভেজে তুলে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
হয়ে গেছে তাই পরিবেশের জন্য রেডি করে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকেই চমৎকার সুন্দর জনপ্রিয়
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি।একদমই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই রেসিপিটি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
কিছুদিন আগে আমার বড় ভাই বাসায় ফ্রেন্স ফ্রাই তৈরি করে খাইয়েছিল। আজকে আপনার তৈরি ফ্রেন্স ফ্রাই দেখে সেদিনের কথা মনে পড়লো। আপনার তৈরি ফ্রেন্স ফ্রাই দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।ঘরোয়া পদ্ধতিতে এত সুন্দর ভাবে ফ্রেন্স ফ্রাই তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি তৈরি করার লোভনীয় পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই জিনিসটা খেতে যে আমার কাছে কতটা বেশি ভালো লাগে সেটা আপনাকে আমি বলে বোঝাতে পারবো না। অনেকদিন পরে আপনার পোস্টের মাধ্যমে এই রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
আমাদের বাসায়ও মাঝে মাঝে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করা হয়। এটা আমার বেশ পছন্দের। বিকেলে হালকা খাবার হিসেবে খেতে ভালোই লাগে। আপনি আজকে রেসিপিটা খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। তবে আমরা একটু ভিন্নভাবে এগুলো তৈরি করি। যাইহোক ধন্যবাদ আপু মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর আপনি ঘরোয়া ভাবে এটা তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। দেখেই বুঝতে পারছি এটা খেতে কতটা মজাদার ছিল। ইচ্ছে তো করছে এখনই এগুলো নিয়ে খেয়ে ফেলি। ঘরোয়া ভাবে অনেক সহজেই তৈরি করে ফেললেন আপনি মজাদার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই গুলো।
আপনার ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দেখে তো আর লোভ সামলাতে পারছি না। ঘরোয়া ভাবে এভাবে কোনো কিছু তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। ছোট বাচ্চারা এগুলো একটু বেশি পছন্দ করে খেতে। বিকেলে এরকম কিছু হলে ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ দিদি আমাদের মাঝে এটা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন ১ কেজি আলুর দামে এখন পাঁচ কেজি আলু পাওয়া যায়। তবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমার নিজেরও খুব প্রিয়। আজকে আপনার খুব মজার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি করেছেন। আর ছোট বড় সবাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে খুব পছন্দ করে। নিশ্চয় পরিবারের সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন রেসিপিটি।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। এই ধরনের খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।