ফোন কিনতে যাওয়া 🥰
হ্যালো,
মেয়ের পরিক্ষা ছিলো দ্বিতীয় সাময়িকী। আজকেই শেষ পরিক্ষা। এদিকে রাতে ভাই ফোন করে বল্লো যে যাতে করে গাইবান্ধা গিয়ে ফোন কিনি। ভাইয়ের দুদিনের ছুটি তাই হয়তো সময় হয়ে উঠবে না তাই আমি গিয়ে কিনে রাখলে সে এসে নিয়ে যাবে।আমার ভাইয়ের বউয়ের ফোনটি কিছুদিন হলো নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে মেয়ের শেষ পরিক্ষা শরীরচর্চা, সাধারণ জ্ঞান,অংকন এক সাথেই। তাই আর দেরি না করে সকালে উঠে পড়লাম।মজাদার বিষয় হলো ইদানীং আমি মেয়েকে নয় মেয়ে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে এবং বলে মা ওঠো স্কুল যাবা না।মেয়ের এমন পাকনামো দেখলে মনে হয় আমি মেয়ে আর সে আমার মা।
মেয়ের অনেক গুণ।সে নিজের কাজ নিজে করতেই ভালোবাসে। মেয়েকে এখন আর আমার স্কুল ড্রেস পড়িয়ে দিতে হয় না।জুতা, মুজা সব নিজে পড়ে এমনকি মাথায় ঝুটিও করে একা একা।সে কারো কাজ পছন্দ করে না নিজের কাজ নিজে করতেই ভালোবাসে।একদমই বাবার মতো হয়েছে। আমার বরও কারো কাজ পছন্দ করে না নিজের সব কাজ নিজেই করে।
যাই হোক মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে পরিক্ষা শেষ স্কুল ড্রেস চেন্জ করে দিলাম স্কুলেই। এরপর মেয়েকে নিয়ে অটোতে উঠে রওনা দিলাম গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে।যাওয়ার পথে একটি ঘটনা আমাকে অবাক করে দিলো।আমি যে অটোতে উঠেছি সেখানে আরো তিনটি ছেলে উঠেছে। ড্রাইভারের কাছে একজন হাতে একটা আয়না তবে ভাঙ্গা খানিক অটোরিকশার পিছনে আমার সামনে যে ছেলে দুটো বসেছিলো তারা কোন এক রুগিকে রক্ত দেয়ার জন্য যাচ্ছে ক্লিনিকে।যে ছেলেটি রক্ত দেবে সেই ছেলেটি ফোনে কাউকে বলছিলো যে ব্লড দিতে যাচ্ছি। ফোনে কথা বলা শেষে ড্রাইভারের সামনে যে ছেলেটি বসেছিলো তার সাথে ব্লাড দেয়া সম্পর্কে কথা বলছিলো আমি খুব ভালো করে শুনিনি। হঠাৎ ছেলেটি বলে উঠলো রক্ত দেখবেন আমার শরীরের বলেই তার হাতে থাকা ভাঙ্গা আয়না দিয়ে নিজের হাত কাটার জন্য চেষ্টা করে তখন সবাই আরে না না বলে তাকে ঠেকায় এই ঘটনা দেখে চৃার গলা শুখিয়ে যায়।ছেলেটিকে দেখে একদমই মানসি ভারসাম্য মনে হয়নি যদি হতো তাহলে ঐ অটোতে কিছু তেই উঠতাম না।
এরপর ঐ অটোতে সাদুল্যাপুর থানা অবদি গিয়ে অটোওয়ালা কে কাজ আজে বলে নেমেছি। ছেলেটিও সেখানেই নেমে আমাকে বলছিলো আপু কি গাইবান্ধা যাবেন আমি তারাতাড়ি হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়ে একটি অফিস ও অফিসের ভিতরে এটিএম বুথে ঢুকে অপেক্ষা করলাম যাতে করে ছেলেটি চলে যায়।এরপর আমি অন্য অটোতে করে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
আসলে মানুষ কখন কি রুপ ধারন করবে বোঝা বড়ো দায়।প্রথম অবস্থায় ছেলেটিকে ভালো মনে হলেও আচরণের পর বুঝতে পেলাম আসলে ছেলে টি মানসিক রুগি আর সেজন্য তার হাতে ভাঙ্গা আয়না।অটোতে উঠেই ছেলেটি কিন্তুু আমাকে দেখে বলেছিলো মেয়ে মানুষ আছে গাড়িতে নইলে একটা সিগারেট খেতাম।এতো সুন্দর কথা যে বলে তাকে কি করে মানসিক রুগি ভাববো সেজন্য ভালো মনে করেছিলাম।
গাইবান্ধা গিয়ে তিনটা বুথ ঘুরলাম কোথাও টাকা নাই কিংবা অন্য ব্যাংকের কার্ড নিচ্ছে না।অবশেষে সোনালী ব্যাংকে তুলতে সক্ষম হলাম তাও লাইনে দাড়িয়ে।
বুথ থেকে বের হয়ে সোজা ফেন কিনতে গেলাম।ফোন কিনে নিয়ে পরিচিত দাদার জুয়েলার্সে বসে অপেক্ষা করলাম ভাইয়ের জন্য। দু এক মিনিটের মধ্যেই ভাই চলে আসলো ওর বউকে নিয়ে ওখানে বসে কথা বলে চলে গেলাম গাইবান্ধা পৌরপার্কে।
পার্কে যাওয়ার কারণ মেয়ে ফুচকা খাবে।মেয়েকে ওর মামা রেষ্টুরেন্ট নিয়ে যেতে চাইলেও তার এক কথা পার্কে ফুচকা খাবে কি আর করা মেয়েকে অনেক খাবার জিনিস কনফেশনারিতে থেকে কিনে দিয়ে পার্কে যাওয়ার সময় আমড়া মাখা নিয়ে বসে পড়লাম টিবিলে। ফুচকা অর্ডার করা হলো চার প্লেট তবে আমি ইদানীং ফুচকা খাইনা আজকে দই ফুচকা অর্ডার করলাম ডিম ছারা।
দই ফুচকা দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো কারণ ঢাকা ও রংপুরে আমি দই ফুচকা খেয়েছিলাম টক দই দিয়ে আর এখানে মিষ্টি দুই দিয়ে মোটেও ভালো লাগলো না খেতে।টক ও একদমই বাজে।ফুচকার আসল মজা টক আর এই টক তো নয় যেন জল।ফুচকা আমার মেয়ের খুব পছন্দের। গাইবান্ধা গেলে তার আর কিচ্ছু লাগবে না শুধু ফুচকা খাওয়ালেই চলে।
একদম বাজে ফুচকা টি ছিলো। যাই হোক ফুচকা খেয়ে আরো কিছু ছোট ছোট কাজ সেরে বাড়িতে চলে আসলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
💕 Shapladatta, I'm so glad to know you! Your positive vibes and attitude towards life are truly inspiring. It's amazing how much love and light you spread just by being yourself 🌞.
Your enthusiasm for gardening, music, and shopping is contagious! Who wouldn't want to spend time in a beautiful garden or enjoy good music with friends? 😊
I love your philosophy on dealing with challenges and negativity - spreading love and kindness instead of giving into hate. You're a shining example of how we can make the world a better place one smile at a time 🌈.
As someone who appreciates beauty, I'm sure you'll enjoy the stunning image below 📸.
Remember, every interaction we have here on Steemit has the power to inspire and uplift others. Let's keep spreading love and positivity together 🌟.
As a token of appreciation for your wonderful personality, I'd like to invite you to vote for our witness @xpilar.witness by visiting https://steemitwallet.com/~witnesses. Your support means the world to us, and we're committed to making Steem an even better platform for creators and users alike 🙏.
Keep shining, Shapladatta! You're a true gem 💎.
ভাগ্নী মোদের খুব গুণধর! খুব ভালো। মা যখন মেয়ে হয়ে যায়, মেয়ের তখন বাধ্য হয়েই মা হতে হয়। যাক সে কথা, কত কিছুই তো খাওয়ার আছে বাইরে। বুঝিনা কেন মেয়েরা কেবল ফুচকাই খায় কেন?
হাহাহাহা আসলেই ফুচকা মেয়েদেরকে টানে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমার বউও। কেবল ফুচকা না হয় ভেলপুরি।
আসলে প্রথম দেখায় বুঝা যায় না যে, কে ভালো কে মন্দ। সেই মানুষিক রুগি ছেলেটি আপনাদের কোন ক্ষতি করতে পারে নাই, শুনে শান্তি পেলাম। যায়হোক ফোন কেনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
একদমই ঠিক বলেছেন প্রথম দেখে বোঝার উপায় নেই কে ভালো কে মন্দ। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়ের বউয়ের জন্য ফোন কিনতে যাওয়ার সময় রাস্তায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটির কথা জেনে খুবই খারাপ লাগলো আপু। চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটলে মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়।অবশেষে ফোন কেনা শেষ করে দই ফুচকা দোকানে গিয়েছিলেন ।কিন্তু সেই ফুচকা খেতে তেমন ভালো ছিল না। অবশেষে সকল কাজ ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর সেই সকল কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। যা পড়ে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঘটনা টি মনে পড়লে খুব ভয় লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার কথা শুনে তো আমার গা শিউরে উঠল আপু ভাগ্যিস আপনাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমাদের আশেপাশে এমন কিছু রোগী আছে যাদেরকে দেখলে বোঝাই যায় না। আপনার ফোন কেনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো। ফোন কেনা শেষ হলে আবার ভাই এবং ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে ফুচকাও খেয়েছেন দেখছি। ধন্যবাদ আপু ফোন কেনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
good