গিয়েছিলাম ভিন্ন জগৎ ❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
বিয়ে শেষ বাড়িতে আসার তারা কারণ পূজো শুরু হবে বাড়িতেই পুজো তাই আমি রেডি হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে বের হয়েছি আসার জন্য। পিসি ও বড়দি, বৌদি অনেকবার বলেছে কিন্তুু তাদের কে বুঝিয়ে শুঝিয়ে আসার জন্য বের হয়েছি।দাদার অনেক ধকল গেছে তাই ঘুমিয়ে আছে আমি আর ডাকিনি।বৌদি কে বলে বাড়ির কেয়ারটেকার কে বলে ব্যাগ লিফটের সামনে বের করেছি কিন্তুু দাদা হয়তো ঘুমায়নি চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলো। ঘর থেকে বের হয়ে এসে আমাকে বল্লো আজকে যাস না কাল যাস। কিছু একটা বলতে চাইলাম কিন্তুু আমার পিসি থামিয়ে দিয়ে বললো দাদার কথা রাখতে হয়।
দাদা বল্লো রেডি হয়েছিস তো বাইরে থেকে ঘুরে আয়।আমরা ব্যাগ রেখে আমার দেবেরে বাসায় গেলাম এবং সেখানে গিয়ে বিকেলের নাস্তা খেয়ে আসতে চাইলাম কিন্তুু কিছুতেই আসতে দেবে না আমিও থাকবো না কারণ যদি থাকি তাহলে কাল বাড়িতে যাওয়া হবে না।
অনেক বোঝানোর পর রাজি হলো আমার জা এবং বল্লো তাহলে রাতে খেয়ে যেতে হবে।আমিও রাজি হলাম।এরপর তিনদিনের রান্না একদিনে করে ফেল্লো কাতলা মাছ,ইলিশ মাছ,খাসির মাংস, মুরগির মাংস, চাটনি,বড়া,পোলাও।আমার সাথে আমার ভাইয়ের বউও কাকাতো বোন ছিলো।
রাতে খেয়ে আমরা চলে আসলাম দাদার বাসায়।আমার দেবর আমাদেরকে রেখে গেলো। আমাদের রিক্সার সাথে বাইক নিয়ে এসে রেখে গেছে তবে বাসায় যায়নি।আমি যেতে বল্লে সে বলল অন্যদিন যাবো আজ নয়।
এরপর রাতে খাওয়া হওয়ার পর দাদা বললো যে সবাই ঘুমাও গাড়ি আসবে সকালে সবাই ঘুরতে যাবো ভিন্ন জগৎ। আমি একবার গিয়েছিলাম ভিন্ন জগৎ। ভিন্ন জগৎতের পাশেই আমার পিসতুতো বোনের বাড়ি আর সেই সুবাদে যাওয়া এবং ভিন্নজগৎতের লেকের পাড়ে গিয়ে বসে ছিলাম।এই ভিন্ন জগৎ এমপি শিবলী সাদিকের।
ভিন্ন জগৎ রংপুর বিভাগের একটি অন্যতম পার্ক।
শিক্ষামূলক ভ্রমণে ভিন্নজগৎ পর্যটন কেন্দ্র ছাত্র-ছাত্রীদের ও ভ্রমণ পিপাসুদের ভিন্নমাত্রায় সাজানো একটি পার্ক
যাইহোক তবুও যেতে চাইলাম সবাই যাচ্ছে আর আমার মেয়ে যায়নি কখনো তাই।ছোট মানুষ ভালো লাগবে গেলে।সকালে উঠে স্নান খাওয়া দাওয়া করে রেডি হয়ে গেলাম এবং সবাই মিলে চলে গেলাম ভিন্ন জগৎ।
রংপুর থেকে খুব বেশি দূর নয় খুব তারাতারি আমরা পৌঁছে গেলাম
টিকিট কেটে ঢুকলাম এবং ঘুরতে লাগলাম।পিকনিকের অফ সিজনের কারণে তেমন লোকজনের সমাগম নেই।খুব অল্প লোকজন দেখতে পেলাম।বিশাল বড়ো এলাকা জুড়ে এই পিকনিক স্পষ্ট টি।
আকর্ষণীয় সব গাছপালা ও মুর্তি। আমার মেয়ে খুব খুশি সে লাভের নিচে দাড়িয়ে ফটোগ্রাফি করার ইচ্ছে পোষণ করলো তাই তুলে দিলাম ফটো।
গাছপালা গুলো খুব সুন্দর ডেকোরেশন করা।ফুলের গাছে তেমন ফুল নেই এখন শীতকালে ফুলে ফুলে ভর্তি হয়ে থাকে প্রতিটি গাছ আর তখব দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে।যেদিকে তাকানো যায় শুধু সবুজের সমাহার।
বট বৃক্ষ বেশ কয়েকটা এবং গাছের নিচে কিছু বসার জন্য গাছের আকারে বানিয়ে বালি,সিমেন্ট দিয়ে দেখলে মনে হয় যেন গাছের গুড়ি রেখেছে। এই বটবৃক্ষের গাছের তলায় অনেক ঠান্ডা। গাছের নিচে বসলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। গাছের নিচে বিশাল বড়ো লেক এবং ঘাট বাঁধানো রয়েছে।আমরা কিছুটা সময় সেখানে বসলাম এবং ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
আমি কিছু সময় লেকের পাড়ে ঘাটে বসে ছিলাম পা ভিজিয়ে। দারুণ লেগেছে। এরকম জায়গায় নিরিবিলি একা একা বসে থাকতে দারুণ লাগবে।
ভিন্ন জগৎ এ বেশ কিছু দোকান রয়েছে।আমার মেয়েকে দাদা দোকানে নিয়ে গিয়ে বলেছে কিছু নিতে সে প্রথমে নিতে না চাইলেও পরে একটি টুপি নিয়েছে। আমার মেয়েটা বেশ লাজুক তবে তা বাবা মা ছারা অন্যদের কাছে।যতো আবদার মায়ের কাছে। অন্য কেউ কিছু দিতে চাইলে সে নিতে চায় না সহজে।দাদা মেয়েকে একটা টুপি কিনে দিয়েছে।
আচার আমার ভীষণ পছন্দের। আচার দেখলে জীভে জল চলে আসে।এখানে দেখলাম বেশ কিছু আচারের দোকান। আচার দেখে কি না খেয়ে থাকা যায় আচারের দোকানে গেলাম কিন্তুু পিছু ডাক দিলো আমার পিসতুতো বোন কারণ তার ছেলেকে ডাক্তার একদমই নিষিদ্ধ করেছে টক তাই আমি আচার নিলে সে খেতে চাইবে তাই এটা নিতে নিষেধ করলো।কি আর করার ফটোগ্রাফি করে ফেরত আসলাম।এই দোকানের তেঁতুল আচারটি আমার খুব খেতে মন চাচ্ছে। পুরা তেঁতুল আচার করেছে তেঁতুলের খোসাসমেত ও ঝুলিয়ে রেখেছেন। এই তেঁতুলের আচার খেতেই যাবো আবারও কারণ এই আচার আমার খেতেই হবে।দেখতে যতো সুন্দর খেতে না জানি কতো সুন্দর।
দিনটি বেশ ভালোই কেটেছে আমাদের। অনেক মজা করেছি আমরা।বাচ্চারা বিভিন্ন রাইডে উঠেছিল সেগুলোর ফটোগ্রাফি করা হয়নি।
আনন্দ শেষ ক্লান্ত শরীরে প্রফুল্ল মনে আমরা চলে আসলাম বাসায়। বেশ সুন্দর কেটেছে দিনটি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোষ্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
ইতিমধ্যে আমি রংপুর ভিন্ন জগতে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। আপনিও দেখছি বেশ কয়েকজন মিলে বেশ কয়েকজন মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন। পার্কের মধ্যে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছেন।
আপনি বেশ কয়েকবার ভিন্ন জগৎ গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।
সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। ভিন্ন জগৎ আমি কখনো যাইনি। তবে স্বপ্নপুরী গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। সময় পেলে কোন একদিন ঘুরতে যাবো আপু।
হ্যাঁ যাবেন আপু অনেক ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম তৃতীয় শ্রেণীতে কি চতুর্থ শ্রেণীতে তখন একবার গিয়েছিলাম স্কুল থেকে। অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে দেখছি। আমরা যে কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে যায় না কেন নিজের ইচ্ছাতে গেলেও ফিরতে হয় আত্মীয়-স্বজনের ইচ্ছেতে। যাই হোক সব মিলিয়ে বেশ ভালো মুহূর্তে কাটিয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।
একদমই ঠিক বলেছেন নিজের ইচ্ছায় ফেরা হয় না।
সবাই এত আদর করে রাখতে চাচ্ছে তাহলে কি এভাবে চলে আসা যায়। ভালো করেছেন আপনার দাদার কথা মত না এসে। আবার আপনার জা ও দেখছি থাকার জন্য জোরাজোরি করছিল। যাই হোক সব দিক দিয়ে বেশ ভালোই হয়েছে। খুব সুন্দর ঘোরাঘুরি করেছেন সবাই মিলে। দেখেই ভালো লাগছে।
ঠিক বলেছেন আপু সব মিলিয়ে সুন্দর ঘোরাঘুরি করেছি।
বড় সুন্দর জায়গা তো, কোথাও গেলে এরকমই হয় জানো। কাছে আত্মীয়রা সহজে বাড়ি যেতে দেয় না। আমি তো মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে যাই ভাবি বাড়িতেও তো কত কাজ আছে সেগুলো তো করতে হবে। কিন্তু কে কার কথা শোনে যে যার নিজের চাহিদাতে দাঁড়িয়ে থাকে। তোমার মেয়ের স্বভাবের কথা পড়ে খুব ভালো লাগলো। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের এরকমই হওয়া ভালো। সমস্ত সাবলীলতা যেন বাবা-মার কাছেই থাকে।
ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর মন্তব্য করলে জন্য।