পরিবার সহ রংপুর বাণিজ্য মেলায় ঘোরা এবং কেনাকাটা।(শেষ পর্ব)
৩ মার্চ ২০২৪, রবিবার।
আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।
গত পর্বেগুলোতে রংপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলার বেশ কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম বাণিজ্য মেলা ঘোরার শেষ পর্বটি নিয়ে।
গেট দিয়ে ঢুকে ভিডিওগ্রাফি জোন টির একটু সামনেই রয়েছে কৃত্রিম আকারে তৈরি করাএকটি লেক। যেই লেকটি মেলার সৌন্দর্যকে আরো দ্বিগুণ করে দিয়েছে। চতুর দিক দিয়ে ঝাড়বাতি ডিম বাতি সহ আরো অন্যান্য বেশ কিছু রঙ্গিন বাতির মাধ্যমে লাইটিং করে অনেক সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেছে মেলা কর্তৃপক্ষ। এই লেকের মাঝখান দিয়ে ঝর্ণার সিস্টেম করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও এটাই সত্য যে আপনাদেরকে আমি সেই ঝর্ণাটি দেখাতে পারলাম না। কারণ আমরা যে সময় মেলার মাঠে অবস্থান করছিলাম ওই সময় লেকের ঝর্ণা বন্ধ ছিল।লেকের চতুর্দিক দিয়ে বিভিন্ন রঙের বাতি সেট করা ছিল, সবুজ ঘাসের রেশ লাগানো, এবং চতুর দিক দিয়ে বিভিন্ন রকমের ফুল টব সহ লাগানো ছিল।
লেকের পাশ দিয়ে পূর্ব দিকে একটু এগোলেই পাওয়া যাবে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন রাইড। প্রথমেই ছোট বাচ্চাদের নিয়ে উঠি, টুনটুনি ট্রেনে। ট্রেনের প্রতিটি সিটের জন্য এখানে ৩০ টাকা করে টিকিট কাটতে হবে। তারপর এখানে প্রায় সাত মিনিটের মত ঘোরাবে। টুনটুনি ট্রেন থেকে নেমে হাতের ডান দিকে একটু এগোলে পাওয়া যাবে বাচ্চাদের জন্য আরও একটি রাইড যেটার নাম আমি অবশ্য জানিনা। এখানেও বাচ্চারা ওঠার জন্য আবদার করছিল তাই ছোটদের উঠিয়ে দেই । এখানে প্রতি সিটের জন্য পড়বে হচ্ছে ২০ টাকা করে। এই রাইডে বেশ অনেকটা সময় ধরে ঘোরানো হয়েছিল। এই রাইড থেকে আরো একটু পূর্ব দিকে এগুলো পাওয়া যাবে ডার্ট গেমস। এই গেমটি আমার কাছে অনেক বেশি প্রিয় বেশ কিছু পুরস্কার জিতেছিলাম এই গেম খেলে। তো সামনে পড়তেই আর কোন কথা নেই শুরু করলাম, তিনবার খেলেছি দুটো জগ এবং একটি বাটি পেয়েছি। এটি খেলার নিয়ম হচ্ছে আপনাকে ছয়টি ডার্ট দিবে, তার বিনিময়ে ৩০ টাকা নিবে। এখন এই ছয়টি ডার্ট দিয়ে আপনি যতটি বেলুন ফাটাতে পারবেন তার উপর ভিত্তি করেই আপনাকে প্রাইস দিবে। আর বাকিটা তো দেখতেই পারছেন পিকচারের মাধ্যমে কয়টা বেলুন ফোটালে কি পুরস্কার দিবে।
মেলাতে আরও একটি আকর্ষণীয় বিষয় রয়েছে সেটি হচ্ছে নাগরদোলা। নাগরদোলা তে পরিবারের কেউ উঠতে রাজি না হওয়ায় নাগরদোলায় আর উঠাও হয়নি কিন্তু আমার উঠতে ভালই লাগে। তারপর আমরা চলে গেলাম মেয়েদের কাপড়ের একটি শপে। কাপড়ের দোকান থেকে ছোট বোনের,আম্মুর, ভাবির সহ ছোট মেয়েটার জন্য বেশ কিছু কাপড় কেনা হয়। তারপর চলে যাই একটি ব্লেজারের দোকানে। ব্লেজারের দোকান থেকে আমার একটি ব্লেজার কিনে নিই। কাপড়ের দোকান থেকে সব কিছু প্যাক করে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি অন্য শপে নতুন কোন জিনিসের খোঁজে।
এবারের মেলাতে এবার একটি ইউনিক জিনিস ছিল সেটা হচ্ছে হোন্ডা ব্র্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল লটারি ব্যবস্থা ছিল। আমার তো কপালটাই খারাপ এজন্য আমি কোন টিকিট কাটিনি। তারপর হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়লো ভূতের রাজ্য। যেখানে আমার ঢোকার অনেকটা ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পরিবার সাথে থাকার কারণে সেটাও হয়ে উঠলো না,মিস্টেক হয়ে গেল। এখন সেই সময়ের পালা, খাওয়া-দাওয়া করার সময়। প্রথমেই চলে যাই একটি বারবিকিউ এর স্টলে। ওখানে যাওয়ার পর তার পাশেই একটি চটপটি হাউজ চোখে পড়ে।কি আর বলবো ভাই।মে মানুষ সাথে আছে বুঝতেছেন বিষয়টা।সবাই এখন চটপটি খাবে।বার্বিকিউ আর খাওয়া হলনা।পার্সেল করে নিলাম,বাসায় খাওয়ার জন্যে।এখন সবাই মিলে চটপটি খাইলাম।
অবশেষে চলে এলো সেই সময়,ঘোরাঘুরি কেনাকাটা খাওয়া,সব শেষ এইবার বাসায় যাওয়ার পালা।মেলা থেকে বের হয়ে আসার সময় চোখে পড়লো মেলার ভিতর থেকে দেখতে পাওয়া গেট এর দৃশ্য।আসলেই অনেক সুন্দর লাগছিল,তাই আপনাদের ও দেখার সুযোগ করে দিলাম।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি বন্ধুরা দেখা হবে পরবর্তী পর্বে ততক্ষণ ভালো থাকবেন ।আল্লাহ হাফেজ।
vote@bangla.witness as a witness
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
ইতোমধ্যে আমরা আপনার পোস্টের মাধ্যমে রংপুরের শিল্প ও বানিজ্য মেলার প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব দেখতে পেরেছি। আজকে আপনি আমাদের মাঝে রংপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরি করার শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন। আসলে এবার মেলা শেষে একটি রাফেল ড্র আয়োজন করা হয়েছে। আসলে যারা লটারি তে ইউন হবে তারা একটি বিশাল এমাউন্ট এর একটি পুরুস্কার পাবে।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া,রেফেল ড্র উপলক্ষে হোন্ডা ব্র্যান্ড এর একটি মোটরসাইকেল পুরস্কার হিসেবে থাকছে।
পরিবারকে নিয়ে বাণিজ্য মেলা ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং অনেক কেনাকাটা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আগের দুটি পর্ব আমি দেখেছি আগের দুটি পর্বের মতোই এই পর্বটা আপনি চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সত্যি বলতে বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে এখানে নতুন নতুন অনেক জিনিস আছে যেগুলো অন্যান্য মেলায় দেখা যায় না। যাই হোক লেক টা দেখে খুবই ভালো লাগলো সেই সাথে এটা জেনে রীতিমতো অবাক হলাম যে আপনার নাগরদোলায় হোটেল নেই। নাগরদোলা দেখলে পরে তো আমার মাথা নষ্ট হয়ে যায় নাগরদোলায় উঠতেই হবে যেভাবেই হোক হাহাহা। যাই হোক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার পোস্ট এর বিবরণ এবং কেনাকাটার বিষয়সমূহ আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমারও অনেক ভালো লাগলো, সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পরিবারের সাথে বাণিজ্য মেলা ভ্রমণ করে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন নিশ্চয়ই।
এরকম জায়গা ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে।
আমিও বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা বাণিজ্য মেলা ভ্রমণ করেছিলাম ।
আপনার ভ্রমণ কাহিনী এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
পরিবারকে নিয়ে আপনি বাণিজ্য মেলায় খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন এবং প্রতিনিয়তই আমাদের মাঝে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু পোস্ট শেয়ার করে আসছেন। এই বাণিজ্য মেলার পূর্ববর্তী পর্ব আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এর শেষ পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো৷ আপনারা সকলে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন৷ এরকম সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিবারের সাথে আপনি রংপুর বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরি করেছিলেন। এবং কি কেনাকাটা করেছিলেন। আজকে তার শেষ পর্ব পড়ে আমার কাছে খুব সুন্দর লেগেছে। পরিবারকে নিয়ে কোথাও গেলে ভালো লাগে আমার কাছে। আর মেলায় ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো খুবই কম রয়েছে। আমি তো অনেক বেশি পছন্দ করি মেলায় গিয়ে ঘুরাঘুরি করতে। মেলার আপনি অনেক সুন্দর সৌন্দর্য ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। যেগুলো দেখতেও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে মেয়েরা চটপটি খেতে পছন্দ করে। তাই তো আর বারবিকিউ খেতে পারেননি। পার্সেল করে নিয়ে গিয়ে ভালোই করেছেন। পরবর্তীতে চটপটি খেয়েছিলেন শুনে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
মেলায় ঘোরার পর্বগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের এদিকে যখন মেলা হয় তখন আমি যাওয়ার চেষ্টা করি। কারণে মেলাতে গিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি আমি। আপনি এর আগের পর্ব গুলোতে পরিবারসহ রংপুর বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরি করার এবং কেনাকাটা করার মুহূর্তের আগের পোস্টগুলো শেয়ার করেছিলেন। আর আজকে শেষ পর্ব শেয়ার করলেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। মেলায় গিয়ে কোন কিছু খাওয়া দাওয়া করতেও খুব ভালো লাগে। মেলায় খাওয়ার মজাটাও একেবারে আলাদা হয়ে থাকে। আপনাদের সবার কাটানো মুহূর্তটা সুন্দর করে সবার মাঝে তুলে ধরেছেন সুন্দর করে।