ভ্রমণ পোস্ট।।রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার অভিজ্ঞতা।। পর্ব --8
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘুরার অভিজ্ঞতা:
বন্ধুরা আজকে পুনরায় আপনাদের মাঝে আমাদের রংপুরের দর্শনীয় স্থান তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার আরো একটি পর্ব নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকের এই পর্বের শুরুতেই দুটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যার প্রথমটিতে দেখতে পাচ্ছেন আপনারা বেশ কিছু আসবাবপত্রের ফটোগ্রাফি সেই সাথে নর্তকিরও পোড়ামাটির ফলক। প্রথমের ফটোগ্রাফির নিদর্শনগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে ময়মনসিংহের শেরপুরর নাট্য পরিশোধ থেকে। দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন বেশ কিছু মানুষের মস্তিষ্কের মাটির ফলক। এগুলো তৎকালীন সময়ের জমিদার বাড়ির কিছু রাজবংশীয় লোকেদের মস্তিষ্কের পোড়ামাটির ফলক। এগুলো রংপুর সাহিত্য পরিষদ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এখন আপনাদের মাঝে আরো দুটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। ফটোগ্রাফি দুটির মধ্যে দেখতে পাচ্ছেন আরবির মতো কিছু লেখা। কিন্তু এগুলো আরবি লেখা নয় এগুলো হচ্ছে ফার্সি লেখা। এগুলোকে শিলালিপিও বলা হয়ে থাকে। পোড়া মাটির উপরে খুবই সুন্দর করে খোদাই করে ফার্সি ভাষায় লেখা হয়েছিল। ফটোটা চমৎকার ছিল সেসময়ের আর্ট শিল্পীরা। তাদের সেই প্রতিভার সামান্যতম প্রকাশ হলো এই অনুলিপিগুলি গুলি। আর এই ফার্সি লেখার অনলিপি গুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল তৎকালীন সময়ের পীরপল মসজিদ থেকে। যা বর্তমান সময়ের রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আর এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল ১১৭৯ হিজরী মতান্তরে ১৭ ৬৫ খ্রিস্টাব্দে।
এখন আপনারা উপরে যে দুটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন মধ্যেই কাগজে এবং মাটির মধ্যে দেখেন কিছু লেখা রয়েছে। হয়তোবা মনে প্রশ্ন জেগে গেছে এগুলো আসলে কিসের ফটোগ্রাফি। এগুলো হচ্ছে উর্দু লেখার ফটোগ্রাফি। পোড়ামাটির ফলকেও খুবই সুন্দর করে লিপিবদ্ধ করে রেখেছিল। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৭ শতাব্দীর দিকে। আর নিচের পেপার এর উপরে যে লেখাগুলো রয়েছে এগুলোর সংগ্রহের কাল এবং কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে এটা অবশ্য বর্তমানে মনেই নেই আমার।
এখন আপনারা যে দুটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এগুলোতে প্রাচীনকালের দারুন কিছু নিদর্শন ফুটিয়ে তুলেছে। প্রথমটিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন দুটি মূর্তির দৃশ্য তৈরি করা। মূর্তি দুটি হচ্ছে নারীর। দুজন দাঁড়িয়ে থাকা নারীর দৃশ্য তৈরি করেছিল মাটির মধ্যে মৃৎশিল্পীরা। দণ্ডায়মান নারীর পোড়ামাটির ফলক। পরের ফটোগ্রাফিটিতে বেশ কয়েকটি বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে। চার হস্ত বিশিষ্ট পোড়ামাটির ফলকে মৎস্যকন্যা তারপরে জলপরী সহ আরো কয়েকজন পরীর মাটির ফলক তৈরি করেছিল। এগুলো সংগ্রহের সময়কাল এবং কোথা থেকে সংগ্রহ করেছিল সেটি উল্লেখ করা ছিল না তাই আপনাদের মাঝে সেই তথ্যটি দিতে পারলাম না।
আমার লিখে যাওয়া প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
https://x.com/mdetshahidislam/status/1884871965066043789?t=GgbvMOxNyG6W9jUbD1oVzA&s=19
Daily task,,
বিভিন্ন কবি অথবা নামকরা মানুষের বাড়ি ভ্রমণ করতে গেলে দেখবেন তাদের ব্যবহার করা জিনিসগুলো সুন্দর করে রাখা হয়। আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর জিনিসের ফটোগ্রাফি ধারণ করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। তবে আপনার ধারণ করা জিনিসগুলো সবগুলোই প্রাচীনকালের। রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর জিনিস দেখেছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ইতোমধ্যে এই জমিদার বাড়ির বেশ কিছু পোস্ট আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন। আর আপনার জন্যই কিন্তু অনেক কিছু জানতে পারলাম এই জমিদার বাড়ি সম্পর্কে। এর সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অজানা অচেনা জিনিসগুলো দেখার জানার সুযোগ করে দেয়। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার সুন্দর এই ব্লগটা।
একটি সময় বিভিন্ন স্থানগুলো জমিদার দ্বারা পরিচালিত হতো। এখন আর জমিদার ব্যবস্থা না থাকলেও আগেকার জমিদারদের স্মৃতি রয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ঠিক তেমনি আজকে আপনি আমাদের মাঝে রংপুরের এক জমিদার বাড়ির বেশ কিছু সংরক্ষিত জিনিস দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনার এই ভ্রমণ পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে আমাদের।