।।🥶🥶উত্তরবঙ্গে তুষারপাতের ছোঁয়া🥶🥶।।
❤️আসসালামু আলাইকুম ❤️ |
---|
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
বর্তমান চলতেছে শীতের মৌসুম। যেহেতু শীতের মৌসুম চলতেছে তাহলে সব দিকেই শীত হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু কিছু জায়গায় আমাদের দেশে শীতের আদ্রতা এতটাই কম যে বলে প্রকাশ করার মত নয়। যেমন আমাদের বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের জেলাগুলোর। উত্তরাঞ্চলের জেলা বলতে আমি আমার জেলা রংপুরের কথাই বলছি। চলুন আপনাদের মাঝে রংপুরের শৈত্য প্রবাহ নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করি।
গত মঙ্গলবার এর আগের দিন পর্যন্ত শীতের প্রভাব মোটামুটি আমাদের রংপুর জেলায় স্বাভাবিক ছিল। সমীকরণ লক্ষ্য করলে দেখা গিয়েছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 12 এবং 14 মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল আর সর্বোচ্চ ছিল ২৫ বা ২৬ এর মত। কিন্তু গত মঙ্গলবার এর পর থেকেই শুরু হয়েছে কঠিন শীতের প্রকোপ।
এতটা পরিমাণের শীত আমার জন্মে আমি লক্ষ্য করিনি। এতটা পরিমাণের কুয়াশা আমার মনে হয় না আর অন্য কোন বার পড়েছিল। শীতের কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি যে মোটরবাইকের লাইট জ্বালিয়ে গেলেও সামনে খুব বেশি হলে ১০ থেকে ১৫ মিটারের বেশি দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন কুয়াশার পরিবর্তে তুষার পড়তেছে আমাদের রংপুরে।
সেই সাথে ঠান্ডার যে পরিমাণের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে বৃদ্ধ লোকদের জীবন ধারণ করা সত্যিকার অর্থেই অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বাচ্চারাও অনেক বেশি অসুস্থ হচ্ছে। মেডিকেল গুলোতে শীতের নানা রকম রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে বাচ্চা এবং বৃদ্ধ বয়স্ক মানুষরাই এই রোগীদের মধ্যে সবথেকে বেশি।
আজ অব্দি যেরকম টেম্পারেচার রয়েছে তথা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তার পরেও চলা যাচ্ছে। তবে আগামীতে টেম্পারেচার সাত বা আট ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। এরকমটাই বার্তা পাওয়া গেছে। তাছাড়াও আমি আপনাদের মাঝে ফোনের স্ক্রিন থেকে ধারণ করা একটি স্ক্রিনশট উপরে শেয়ার করেছি লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন আগামী পাঁচ দিনের তাপমাত্রা কতটা অবনতি হতে পারে।
বর্তমানে যে পরিমাণে শীত পড়তেছে তাতেই মনে হচ্ছে তাপমাত্রা 7 বা 8 ডিগ্রী সেলসিয়াসে রয়েছে মনে হচ্ছে মোবাইলের হিসেব ভুল হচ্ছে। যাইহোক এরকম পরিস্থিতি থেকে স্রষ্টা আমাদের স্বাভাবিক ওয়েদার দিবেন এটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। আর আমাদের উত্তর অঞ্চলে এত পরিমাণে শীত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে হিমালয়ের পাদদেশে আমাদের উত্তরাঞ্চল। যার ফলে অন্যান্য জায়গা থেকে সব থেকে বেশি পরিমাণের শীত আমাদের উত্তরাঞ্চলে লক্ষ্য করা যায়। দোয়া করবেন সবাই আমাদের উত্তরাঞ্চলের জন্য যেন এরকম ওয়েদার থেকে আমরা নিস্তার পাই।আজ এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
........................................................................
আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/mdetshahidislam/status/1875234312888709500?t=ivIYY89w84e8EW4swX9UKA&s=19
ডেইলি টাস্ক প্রুফ
আসলে আমাদের এখানেও কিছুদিন যাবত শীতের খুব চাপ। অর্থাৎ শীতের সাথে সাথে হওয়ার বেগটা অনেক বেশি মনে হচ্ছে। আসলে এই শীতের সময় যতটা সম্ভব নিজেদের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে।
খুবই একটা কঠিন সময় এটা। শীতের প্রকোপ-এ বৃদ্ধ এবং শিশুরা সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়, সে ব্যাপারে খুবই সতর্কতা অবলম্বন জরুরী।
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।
উওরবঙ্গে ঠান্ডা বরাবরই বেশি হয়। ৭-৮ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা নেমে আসলে এটা বেশ বাজে একটা ব্যাপার হয়ে যাবে। এমন শীত মানুষের সহ্য সীমার বাইরে চলে যাবে। আপনার পোস্ট থেকে আপনাদের ওয়েদার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেলাম।