লাইফ স্টাইল পোস্ট।।বড় ভাইয়ের জুতোর দোকানে কাটানোর মুহূর্ত।।

সকাল থেকেই মাথাটা প্রচুর পরিমাণে ভার হয়ে আছে। মনে হচ্ছে যেনো মাথায় কোনো ভারী জিনিসকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল থেকেই মেডিসিন খাচ্ছি কিন্তু তাতে কোনো উপকার পাচ্ছি না। আসলেই টেনশন অনেক বড় খারাপ জিনিস, এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। ফোন হাতে নিয়ে বেশিক্ষণ চালালেই মাথা ব্যাথা শুরু হচ্ছে। তারপরেও মাঝে মাঝে চেষ্টা করেছি ডিস্কোডে অন থাকার জন্য কিন্তু কমেন্ট একেবারেই করতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে আজকে পুনরায় ডক্টরের কাছে গিয়েছিলাম। কিছু মেডিসিন চেঞ্জ করে দিলেন। বিকেলে মেডিসিন খেয়ে এখন একটু ফ্রেশ লাগতেছে মাথাটা। তাই আপনাদের মাঝে পোস্ট লিখতে চলে আসলাম। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব লাইফ স্টাইল পোস্ট।

আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার চাচাতো ভাইয়ের জুতোর দোকানে কাটানোর কিছু মুহূর্তের অনুভূতি। চাচাতো ভাইয়ের নাম হচ্ছে রানা। আজকে থেকে প্রায় এক বছর আগে গিয়েছিলাম রানার জুতোর দোকানে। অনেকদিন পর যাওতে রানা আমাকে দেখে ভীষণ খুশি। তারপর দুই ভাইয়ের অনেকক্ষণ বসে দোকানে আড্ডা দিলাম। এরই মাঝে তার বাড়ির সবাই কেমন আছে সেই বিষয়টা নিয়েও বেশ আলোচনা করলাম। সেই সাথে ব্যবসা কেমন চলছে সেই বিষয়গুলি নিয়েও মোটামুটি ভালোই আলোচনা হলো। সে বলছিল তার ব্যবসা অনেকটা ভালই চলছিল।তাকে এই ব্যবসা শুরুর দিকে তাকে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। আমরা সকলেই জানি যে কোন বিজনেস শুরু করার সময় অনেক স্ট্রাগল করতে হয়।

কিন্তু এখন সে মোটামুটি সফল ,এই জুতার ব্যবসার মধ্যে। আমি গিয়েছিলাম গত বছরের শীতকালের সময়। বিভিন্ন ধরনের জুতা সেখানে রয়েছে। তবে এটাই হলো বড় সত্য যে আমি সেখান থেকে কোন জুতা কিনিনি। কারণ বাসাতে এমনিতেই অনেকগুলো জুতো পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেগুলোই পরা হয়না। আবার নতুন জুতো কিনে কি করতাম? বাসায় কেমন আছে সবাই এবং আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে থাকি আমরা। বেশ দারুণ একটি সময় কাটিয়েছিলাম সেই দিন।

অবশেষে এক পর্যায়ে আমরা বিকেলের নাস্তা করার জন্য তার দোকান থেকে বের হয়ে পাশের একটি রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। দুই ভাইয়ে মিলে মোটামুটি ভালই নাস্তা করে নিলাম। সেই বিষয়টি আপনাদের সাথে অন্য আরেকদিন শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্তই বন্ধুরা ভালো থাকবেন সবাই। আর আমার জন্য দোয়া করবেন যেনো তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারি।