লাইফ স্টাইল। বড় ভাইয়ের অসুস্থতায় হঠাৎ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাওয়া।।
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি বিষয় নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
বেশ দুদিন যাবত এতটাই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে জীবন পার করতেছি সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। বাসায় কিছু ঝামেলার কারণে আর নিজের কিছু প্রবলেম এর জন্যে।আজকেতো একদম একটিভিটি করতে পারিনি কমিউনিটিতে।সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই বেরিয়ে গেছলাম আব্বুর একটু কাজে তারপর ওখান থেকে কাজ শেষ করে বাসায় আসতে প্রায় 11 টা বেজে যায়।তাই আজকের সকালের নাস্তাটাও আজকে করতে হয়েছে বাইরেই।বাসায় এসে একটু রেস্ট নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়লাম নিজের কাজের উদ্দেশ্য ইউনিয়ন কাউন্সিলের দিকে। সেখানে গিয়ে তো বললাম আরেক বিপদে এতটাই জ্যাম ছিল লোকের সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। তারপরেও একটু কৌশল করে সেখানকার কাজ সম্পূর্ণ করলাম। তাও কাজ শেষ হতে প্রায় তিনটা বেজে গিয়েছিল। পুনরায় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বাসায় এসে গোসল করে লাঞ্চ করে নিয়ে বিছানায় গা দেওয়া মাত্রই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যায় থেকে উঠে আবার বাজারে গিয়েছিলাম বাসার একটু খরচ করার জন্য। বাজার থেকে বাসায় আসতে প্রায় আটটা বেজে যায়।অবশেষে আপনাদের মাঝে আজকের এই পোস্ট লিখতে বসলাম । বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম বড় ভাইয়ের অসুস্থতা জনিত কারণে মেডিকেলে। আজকে বড় ভাইয়ের জন্য মেডিকেলে যাওয়ার অনুভূতি টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
গত পরশুদিন বড় ভাই হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে যায় তখন বেলা প্রায় ১১ঃ০০ টা বাজে। তার শরীর নাকি ওবস হয়ে আসছিল। বাসার সবাই একদম চিন্তিত এবং টেনশনে পড়ে গিয়েছিলো। পরিচিত এক জন ডাক্তারকে ফোন দিলাম যেন বাসায় এসে ট্রিটমেন্ট করে যায়। উনি আধা ঘন্টার মধ্যেই আমাদের বাসায় চলে আসেন। তারপর ডক্টর সবকিছু চেকআপ করে কিছু ঔষধ লিখে দিলেন। আর উনি বলে গেলেন সম্ভব হলে যেন মেডিকেলে চেকআপ করাতে। বিস্তারিত খুলে না বলেই তিনি চলে গেলেন। এদিকে আমিও পড়ে গেলাম কঠিন টেনশনে। তাই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম বিকেলে অবশ্যই ডক্টরদের চেম্বারে নিয়ে যাব। সেদিনের সময় যেন আর যাচ্ছিল না। অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়ে বিকেল তিনটে বেজে গেল। দেরি না করে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠিয়ে নিলাম বড় ভাইকে এবং সাথে আরো একজনকে নিয়ে নিলাম। রওনা দিলাম শহরের উদ্দেশ্যে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে চারটা নাগাদ বেজে গেল। ডক্টরের চেম্বারে দিয়ে দেখি সেখানে রোগীদের বিশাল লম্বা লাইন। পড়ে গেলাম আরেক টেনসনে। বুদ্ধি করে আমার এক বড় ভাইকে ফোন দিলাম যাতে তাড়াতাড়ি সিরিয়াল পাওয়া যায় কেননা আমার বড় ভাইয়ের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। ফোন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বড় ভাইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলে আসে। সিস্টেম করে অবশেষে ঢুকে গেলাম ডক্টরের চেম্বারে।
ডক্টর কে দেখানোর পর তিনি এটুকু আশ্বস্ত করলেন তেমন কোন সমস্যা হয়নি তবে যেগুলো টেস্ট করতে দিচ্ছি তাড়াতাড়ি করে নিয়ে আসুন। দেরি না করে ডক্টরের কথামতো টেস্টগুলো করাতে দিলাম। টেস্টের রিপোর্ট বের হতে প্রায় চার ঘন্টা তো বেশি সময় লেগে গিয়েছিল। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরপরই চলে গেলাম পুনরায় সেই ডক্টরের চেম্বারে। সেই একই সমস্যা প্রচন্ড জ্যাম। আসলেই মেডিকেল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে গেলেই বোঝা যায় আসলে মানুষ কতটা অসহায় এবং অসুস্থতায় ভোগে। মনে হয় যেন দেশের কোন মানুষই সুস্থ নেই সবাই অসুস্থ। চেম্বারের সামনে দাঁড়ানোর কিছুক্ষণ পরেই আমাকে ঢোকার অনুমতি দিল। তাৎক্ষণিক ঢুকলাম ডক্টরের চেম্বারে। ডক্টর রিপোর্ট দেখার পর বললেন বড় ভাইয়ার একটু ব্রেইন এর সমস্যা হয়েছে হয়তো কোথাও আঘাত পাওয়ার জন্য। তবে যেগুলো ঔষধ লিখে দিচ্ছি এগুলো নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াবেন সমস্যা আর হবে না বলে আশা করছি। অবশেষেই ডক্টরের চেম্বার থেকে বেরিয়ে ঔষধ গুলো নিয়ে নিলাম ফার্মেসি থেকে।
এখন চলে গেলাম একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। কেননা ঔষধ গুলো খাওয়ার জন্য তো অবশ্যই একটু খাওয়া দাওয়া করাতে হবে। সবশেষে ভাইয়াকে ওষুধ খাইয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাসায় ফেরার জন্যে। বাসায় আসতে রাত 11 টা বেজে গিয়েছিল। যাইহোক এর মধ্য দিয়েই আমার আজকের ব্লগটি লেখা শেষ করলাম বন্ধুরা আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। আর হ্যাঁ অবশ্যই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
প্রথমেই আপনার বড় ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করছি। যে গরম পরেছে কে কিভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে বলা মুশকিল। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে খুব ভালো করেছেন। আশাকরি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চললে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। ঠিক বলেছেন ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে গেলে অসুস্থ লোকজনের ভির দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। সাবধানে থাকবেন শুভ কামনা রইল।
মেডিকেল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেই গেলে বোঝা যায় আসলে কোন মানুষই সুস্থ নেই সবাই অসুস্থ। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার বড় ভাইয়ের অসুস্থতা নিয়ে লেখা পোস্টটি ভালো লিখেছেন ভাইয়া।আপনার ভাইকে নিজে ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর কাজটি নিজে করেছেন যেন ভালো লাগলো। আপনার ভাইয়ের দ্রুত দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমিতো ভয় পেয়ে গেছিলাম আপু যে কি থেকে কি না হয়ে যায় এজন্যই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গিয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি ভালোভাবে পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আজকে সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি এই প্রার্থনা করি যে আপনার বড় ভাই যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। আসলে উনার যে ব্রেনে আঘাত পেয়েছে জেনে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেছে। আসলে আপনারা সবাই মিলে আপনার বড় ভাইয়ের দিকে একটু এখন থেকে খেয়াল দেবেন। আর প্রতিদিনকার ওষুধ নিয়মিত যেন খায় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন।
জ্বি ভাই ডক্টর তো তাই বললো যে ব্রেইন এর আঘাত পেয়েছে। আর অবশ্যই তো আমরা খেয়াল রাখবো যেন ঠিকঠাক ভাবে ওষুধ এবং খাবার খায়।।পোস্ট টি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে সত্যি বলতে এখন ডক্টরের চেম্বার গুলোতে ঠিক এমন বড় লাইন হয়ে থাকে ভাই তবে সবকিছু মেনে নিয়ে আমাদের চিকিৎসা হতেই হবে। যাই হোক আপনার বড় ভাইয়ের জন্য দোয়া করি তিনি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারেন।
জি ভাই যদি ঐদিন আমার বড় ভাই না আসতো তাহলে ডক্টরের চেম্বারে ঢুকতে মিনিমাম দুই ঘন্টা লেট করা লাগতো। যাইহোক পোস্ট টি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইলো। যেন দ্রুত সুস্থতা লাভ করেন। তবে ব্রেইন এ আঘাত পেলে তো অবশ্যই বেশ জোড়েই আঘাত পেয়েছেন! এবং অবশ্যই সেটা তার বোঝার কথা! বা কী ধরনের সমস্যা হয়েছে সেটা ক্লিয়ার হলাম না। তবে অবশ্যই শুভকামনা রইলো।
আপু উনি সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন সেই সময় নাকি মাথায় একটু আঘাত লেগেছিল যার কারণে শরীর খুব দুর্বল লাগছিল এবং মাথা ব্যথা করছিল নাকি। আর এ কারণেই নাকি তার শরীর অবশ হয়ে আসছিল।
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে বোঝা যায় মানুষ কতটা অসহায়। আপনার বড় ভাইয়ের জন্য দোয়া রইলো সৃষ্টিকর্তা যেনো উনাকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
বর্তমান ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে আসলেই ভাইয়া অনেক বেশি মানুষের জ্যাম হয়ে থাকে অবশ্য এটারও যথার্থ কারণ রয়েছে কেন সবাই তো অসুস্থতার জন্যই সেখানে যায়। দোয়া করবেন ভাই বেশি বেশি করে আমার বড় ভাইয়া যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আপনার বড় ভাইয়ের হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা শুনে সত্যি খারাপ লাগলো। এরকম পরিস্থিতিতে চিন্তা হওয়ারই কথা। আর আপনি অনেক ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি ভাইয়া। যাই হোক যেহেতু বড় ধরনের কোন সমস্যা হয়নি আশা করছি আপনার ভাই তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবেন।
জ্বী আপু ডক্টর তো তেমনটাই বলেছে বড় রকমের কোন সমস্যার সম্ভাবনা নেই ঔষধ খেলে সুস্থ হয়ে যাবে। দোয়া করবেন ভাইয়ার জন্য যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বড় ভাইয়ের অসুস্থতার কথা শুনে মন খারাপ হয়ে গেলো। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আশা করি খুব শীঘ্রই ভালো খবর পাবো।
সমবেদনা জানানোর জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞ জানাচ্ছি ভাইয়া। এখন আমার বড় ভাইয়া মোটামুটি সুস্থ আপনাদের দোয়ায়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।