হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

আমার আজকের ব্লগের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ।নাটকের নাম হচ্ছে ধনী গরিবের লড়াই।আশা করি আমার আজকের নাটক রিভিউ ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে। ।চুলুন শুরু করি তাহলে।

নাটকটির গুরুত্ববহ তথ্যসমূহ:

নাটকের নায়ক ইফতেখার ইফতি নাটকের মধ্যে
সোহাগ নামে পরিচিত আর নায়িকা জান্নাতুল মাওয়া রিমা নামে পরিচিত।

নাটকের শুরুতেই দেখতে পারবেন মোড়ল মশাই তার বউ এবং রিমার ভাবিকে সোহাগের বাড়িতে যাওয়ার জন্য নানাভাবে কথা শোনাচ্ছে এমনকি তাদেরকে মারতে যায় মোড়ল মশাই। তখনই সুলতানা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মোড়ল মশাই কে আটকে দেয়। তখন মোড়ল মশাই রিমা কে মেয়ে বলে অস্বীকার করে মন খারাপ করে সেখান থেকে চলে যায়। সুলতানা বলে সোহাগকে নিজের হাতে খুন করবে সে। এদিকে সরুজ তার বাবা এবং জ্যাঠামশাই তথা মোড়ল মশাই কে বলে সে তার মাকে আনতে যাবে। কিন্তু সুরুজকে কেউই তার মাকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য অনুমতি দেয় না। তারপরেও সুরুজ নিজে থেকেই তার মাকে মোড়লবাড়ীতে ফিরিয়ে আনার জন্য তার নানার বাসায় যায়।

এদিকে সোহাগ এবং রিমা দুজনেই রিমার ছোট মায়ের সাথে দেখা করার জন্য সোহাগের মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়ে তারা। এদিকে মোড়ল মশাই এবং তার ছেলে রতন দুজনে মিলে ফন্দি তৈরি করে কিভাবে রিক্সাওয়ালাকে শেষ করে দেওয়া যায়। মোড়ল মশাই বলে সুযোগ পেতে বসে থাকতে যখনই সুযোগ পাবে তখনই যেন রিক্সাওয়ালাকে মেরে দেয়। তারপর রতন মোড়ল মশাই কে বলে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে যখন দেখতে পারবে রিক্সাওয়ালাকে তখনই গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলবে।

অবশেষে সোহাগ এবং রিমা যখন রিমার ছোট আম্মার সাথে দেখা করার জন্য তার বাসায় গিয়ে উপস্থিত হয় তখন তাদেরকে রিমার ছোট আম্মা বলে তারা এখানে কেন এসেছে, কারণ মোড়ল বাড়ির লোকজন দেখলে তোমাদেরকে তো মেরে ফেলবে। তাদের মাঝে কথা চলতে চলতেই মাঝখানে সুরুজ চলে আসে। সুরুজ এসেই দেখে তার মা ,সোহাগ এবং রিমার সাথে কথা বলতেছে। সুরুজ তখন ভীষণ রেগে যায় এবং সোহাগকে মারার জন্য এগিয়ে যায়। সোহাগকে বলে আজকে তোর জন্যই আমার মা ঘর ছাড়া তোর জন্যই আজকে মোড়ল বাড়িতে শান্তি নেই। তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়ে যায়। রিমা এবং সুরুজের মা সরুজকে আটকায় এবং বকাবকি করে। তখন সুরুজ তার মাকে বলে আমি তোমাকে মোড়ল বাড়িতে পুনরায় নিয়ে যেতে এসেছিলাম। কিন্তু তুমি তো আমার মা হতেই পারো না। নিজের ছেলের কপাল পুড়ে অন্যের ছেলের সংসার গড়ে দিচ্ছ তুমি। আর আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছো তুমি। সুরুজ সেখান থেকে অভিমান করে চলে যায়। সুরুজের মা বলে আমি তোর ভালো মা নই। তুই এখানে আর আসিস না।

তারপরে সুরুজের মা সোহাগ এবং রিমা কে বিভিন্ন কথা বলে বুঝিয়ে শুনিয়ে সেখান থেকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। এদিকে রাস্তায় রতন মিয়া সোহাগের বোনকে দেখে একেবারে ক্রাশ খেয়ে যায়। রতন সোহাগের বোনকে না চিনে তাকে বলে এই মেয়ে তোমার বাসা কোথায় বল? বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো। তখন সোহাগের বোন রাগ করে সেখান থেকে চলে যায়। সুলতানা এবং মাস্টারমশাইয়ের হঠাৎ রাস্তায় দেখা হয়ে যায়। তখন সুলতানা মাস্টার মশাই কে বলে কি বলতে এসেছেন বলে ফেলুন তাড়াতাড়ি। তখন মাস্টারমশাই সুলতানা কে রিমার কোন বাড়িতে বিয়ে হয়েছে সেই খোজটি দেয়। রিমা তখনই বলে আমি আজকেই গিয়ে ঐ পোলারে খুন করে ফেলবো বলে সেখান থেকে চলে যায়।

সুলতানা সোহাগকে খুন করতে গেছে এই বিষয়টি মোড়ল মশাইকে যখন বলে তখন তিনি অবাক হয়ে যান। আর বলেন সবাইকে বড় মাপের শাস্তি দিতে হবে সবাই অনেক বেড়ে গেছে। অন্যদিকে সুলতানা সোহাগদের বাসায় গিয়ে আপ্যায়ন পেয়ে মুগ্ধ হয়ে যায়। সুলতানা সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে কখন সোহাগ বাসায় আসবে। আর সোহাগ যখন বাসায় আসে তখন সুলতানা সুযোগ বুঝে সোহাগের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে দেয়। আর এখানেই নাটকের এই পর্বটি শেষ হয়ে যায়। দেখা যাক আগামী পর্বে কি ঘটতে চলেছে।

নাটকের এই পর্বকে নিয়ে আমার মন্তব্য:-

ব্যক্তিগতভাবে ধনী-গরীবের লড়াই নাটকের এই পর্বটিও আমাকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। ভীষণ ভালো একটি নাটক। ধনী গরিবের লড়াই নাটকের দশম পর্বে যেটা বুঝতে পারলাম সেটা হচ্ছে মোড়ল বাড়ির সবাইরে মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলতেছে। মোড়লমশাই তো রাগে পুড়ে জলে ছাই হয়ে যাচ্ছে। কখন রিক্সাওয়ালাকে মেরে ফেলতে পারবে। সেই বিষয়েই চিন্তা করে যাচ্ছে সব সময়। এদিকে রিমা তো আবার সোহাগকে খুন করার জন্য তার বাসায় চলে গিয়েছে। এমন জ্বলন্ত পরিস্থিতির মধ্যে পুনরায় আরও একটি সম্পর্ক গড়ে উঠতে চলে যায়। সেটি হল রতন এবং সোহাগের বোনের মধ্যে। কেননা রতন সোহাগের বোনকে পছন্দ করে ফেলেছে। দেখা যাক নাটকটির পরবর্তী পর্বতে কি হতে চলেছে।