জন্মদিনের কেক: পিছনের গল্প----🎂🎂
স্বরচিত -কবিতা-
সকলকে অনাবিল শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি। আজ আবারো আমার লেখা আর একটি কবিতা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, আজকের কবিতাটিও।
জন্মদিনের কেক: পিছনের গল্প----
সকাল থেকে দিনটা যেন ছুটছিল কোথাও।
আমরা তিনজন—আমি, সিয়াম, আর শিপু।
ঢাকার ব্যস্ততা, ঘরের কাজ,
আর সিয়ামের জ্বর মিলে একটা ছন্নছাড়া দিন।
কাল রাতেই মনে হয়েছিল—
জন্মদিনটা হয়তো কেবলই একটা তারিখ হয়ে থাকবে।
মোমবাতি থাকবে না, কেক থাকবে না,
আর সেই ছোট ছোট উচ্ছ্বাসগুলোও নয়।
কিন্তু মা কি হার মানে?
দিন শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে
গেলাম কেকের দোকানে।
ছোট একটা কেক কিনলাম—
নতুন দিনের আনন্দকে ধরা দিতে।
সিয়ামের মুখে ক্লান্তি ছিল,
তবুও হাসিটা জ্বলছিল মোমবাতির মতো।
রাতে যখন কেক কাটা হলো,
আমার মনে হল—
জীবনের সব গল্প এমনই।
সব সময় তা নিখুঁত হয় না,
কিন্তু সেই অসম্পূর্ণতার মধ্যেই থাকে
সত্যিকারের আনন্দ।
একটা কেক, কিছু হাসি,
আর অনেকগুলো আশীর্বাদ—
এই তো আমাদের জীবনের আসল গল্প।
এই গল্পের পেছনে লুকিয়ে আছে
একজন মায়ের নাছোড়বান্দা চেষ্টা,
একটা পরিবারের ছোট ছোট ভালোবাসা,
আর জীবনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস।
এভাবেই তো আমরা সময়কে থামিয়ে দিই,
আর জন্মদিনকে নতুন করে বাঁচিয়ে তুলি।
জীবনের ব্যস্ততা মাঝে মাঝে
মুহূর্তগুলোকে ফাঁকি দেয়।
কাল দিনটা কেমন যেন
ঘোলাটে হয়ে গিয়েছিল—
সিয়ামের মুখে জ্বরের আঁচ আর
আমার মনে অগোছালো সময়ের হিসাব।
তবুও জন্মদিন কি হুট করে থেমে যায়?
জন্মদিন মানে তো শুধু কেক আর মোমবাতি নয়,
জন্মদিন মানে এক টুকরো আনন্দ,
যা সময়ের ঝড়কেও ছাপিয়ে যায়।
আজ সময়ের হাত ধরে আমরা
দাঁড়ালাম হাসির কাছে।
কেকের গায়ে চকোলেটের নকশা,
তার উপর ছোট ছোট মোমবাতি—
যেন জীবনের আলো জ্বালানোর প্রতিশ্রুতি।
সিয়াম হেসে মোমবাতিতে ফুঁ দিল,
শিপু করতালি দিল,
আমি মনের মধ্যে গোপনে বললাম,
"জীবন, এমন হোক প্রতিদিন।"
কেকের প্রতিটি টুকরো যেন মিশে ছিল
আমাদের ছোট ছোট স্বপ্নে।
এক টুকরো খেতে গিয়ে বুঝলাম,
আমাদের হাসির স্বাদও ঠিক তেমন—
মিষ্টি আর পূর্ণ।
আজকের দিনটা সিয়ামের
মুখের হাসি দেখার দিন।
এই হাসিই তো আমাদের শক্তি,
আমাদের পৃথিবী।
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
সময় রাত -১১:৩০
নতুন বাজার ঢাকা
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.