ঈদের দিন কর্মসূচির একাংশ ||~~
☆꧁ঈদ মোবারক ꧂☆
ঈদের দিন কর্মসূচির একাংশ ||~~
বন্ধুরা সকলকে ঈদুল আযহার অনাবিল শুভেচ্ছা। ত্যাগের মহিমায় ঈদ আনন্দে, হাসিখুশিতে ভরে উঠেছে সবার মন। এটাই আমার বিশ্বাস। আর সকলেই ঈদ খুব ভালোভাবে উদযাপন করুন। এই শুভকামনা সবার তরে।
শুরু করছি আমার ঈদের দিনের নানা রকম কর্মসূচির একাংশ। ঈদ মানে হাসি খুশি আনন্দ এটা আমরা সকলেই জানি। ঈদের দিন ও পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অনেক কাজ করে থাকেন। পুরুষের কাজগুলো দ্রুত শেষ হয়ে গেলেও নারীদের কাজ যেন শেষ হয় না। ওই যে বলে না খুচরো পয়সা বাজে বেশি। সংসারের ছোট ছোট কাজকর্মগুলো সব সময় যেন লেগেই থাকে। বিশেষ করে বাসন মাজার কথা কি আর বলব।
বলছি ঈদের দিন সকাল বেলার কথা। বরাবরই ঈদের দিন আমরা খুব ভোরবেলা উঠে থাকি। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও ঈদের আগের দিন রাতে রাত তিনটার দিকে বিছানায় এসেছি। ভোর ছয়টার দিকে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠলাম। উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে আগে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এবার নিজের বিছানাটা খুব সুন্দর করে গুছিয়ে নিলাম। তারপরেই প্রবেশ করলাম রান্নাঘরে। সিয়াম শিপু এরপর আমারে পরিবারের ছোট ছোট পিচ্চি বাচ্চারা সবাই চটপটি খেতে খুব পছন্দ করে। গরম গরম চটপটি রান্না করবো বলে রাতেই বুট গুলো ভিজিয়ে রেখেছিলাম। শুরুতেই বুটগুলো সুন্দর করে ধুয়ে পরিষ্কার করি এরপরে সেদ্ধ করে, রান্না করে নিলাম।
এই চটপটির রেসিপি কোন একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। এরপরে লজ্জা সবাই রান্না করলাম খুবই সুন্দর করে। আর লাল সেবাইটাও কেউ কেউ খেতে পছন্দ করে তাই সেটাও রান্না করলাম। পেঁয়াজ কাটা মসলা বাটা কত কাজ।
সিয়াম এবং শিপুর ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলাম। তারা গরু প্রশাসনের জন্য কিছু কাজ করল নিচে। এরপরে ওরা গোসল করে আসলো ওদের পড়ার কাপড় গুলো রেডি করে দিলাম। বলতে ভুলে গেছি আকাশকে তো ভীষণ মেঘলা ছিল এবং রাতের বেলা প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। আকাশে কালো মেঘে জমাট বেঁধে লুকোচুরি খেলছিল। বৃষ্টি আর ঝড় হওয়ার সাথে। যাই হোক ওদেরকে রেডি করে জায়নামাজ হাতে নামাজের জন্য পাঠিয়ে দিলাম। কিছুই না খেয়ে। কুরবানী না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ এই ঈদে কোন খাবার খাই না। ওরা নামাজে গেলে আমি ওদের ঘর বিছানা কাপড় এগুলো আবার গুছিয়ে ঘর গুলো ঝাড়ু দিয়ে দিলাম।
এরপর দুপুরের রান্নার প্রিপারেশন নিলাম। ইতিমধ্যে বেশ কিছু রান্না করে ফেলেছিলাম তার মধ্যে পোলাও টা অন্যতম।
ওরা নামাজ পড়ে এসে শুধুমাত্র অন্য কোন খাবার না খেয়ে চটপটি খেলো অনেকগুলো। দুই ভাই এত বেশি চটপটি খাচ্ছিল একটু পরপরই বলছিল মা আরেকটু দাও মা আরেকটু দাও। আমি তো জাস্ট অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম তবে তারা রান্নার প্রশংসা করছিল দুজনেই।
আমাদের বাসায় অনেক লোকজন তাদের সকলের জন্য নাস্তা রেডি করলাম চা বানিয়ে তাদের পরিবেশন করে খাওয়ালাম। এরপর আবার সেই বাসন মাজা। মোটামুটি রান্নাগুলো করে ফেলেছি এবার মাংসের জন্য সব রকমের মসলা রেডি করে রাখলাম। এরপর আবার ডাইনিং টেবিল সহ সবকিছু গুছিয়ে রেখে আমি গোসলে চলে গেলাম।। তবে আজ আমার নামাজ পড়া হয়ে ওঠেনি সে অন্য বিশেষ কারণে।
এরপর সবার কাজ দেখছিলাম আর যারা, বাসায় আসতেছিল তাদের আপ্যায়ন করালাম। যতবার আপ্যায়ন করাতে হয় ততবার ভালোবাসার নষ্ট হয় বুঝতেই পারছেন বাসায় আমি একা কাজের মেয়ে। সব কাজ কমপ্লিট হয়ে গেলে সেগুলো বিতরণ করা গুছিয়ে রাখা রান্না করা অনেক সময়।তবে বেশি সময় লেগেছিল ভাগ করে প্যাকেট করে দেয়া আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের বাসায় দেয়ার জন্য। সব পরিবেশন করে যখন রান্না করতে গিয়েছি তখন দেখি গ্যাস নেই। সেকি বিরম্বনা। রাইস কুকারে মাংস সিদ্ধ করে নিয়ে এরপরে চুলা জ্বালালাম এ বছরে প্রথম। সেই ঘড়ির চুলায় মাংসগুলো খুব সুন্দর করে ভুনা করে এর পর ওদেরকে খেতে পেলাম।। বাসায় যত লোকজন আসতেছিল মাংস নেয়ার জন্য তাদের এক এক করে মাংস দিচ্ছিলাম। তখনো ফোন হাতে নেয়ার সময় হয়ে ওঠে নাই।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়:
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.