অল্প মসলায় মজাদার স্বাস্থ্যসম্মত "পোলাও" রেসিপি~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছিআর আপনারা সকলেই সবসময় সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন। এটাই আমার প্রত্যাশা।
বন্ধুরা আজ আমার বাসায় অনেক মেহমান এসেছিল। বড় ভাই, ভাবি, বাচ্চারা, ভাবির মা সহ আরো অনেকেই।সারাটা দিন রান্নাবান্না নিয়ে অনেক ব্যস্ততম সময় পার করলাম।অনেক রান্না হয়েছে আজ বাসায়।বেশ মজার মজার রান্না করেছি।এবং অনেকটা স্বাস্থ্যসম্মত রান্না করার চেষ্টা করেছি।সারাদিন একটিবারের জন্য মোবাইল ফোন হাতে নেওয়ার সুযোগ হয়নি তেমন ভাবে।যাইহোক শত ব্যস্ততার মাঝেও মোবাইল ফোন নিয়ে একটি সহজ রেসিপির কিছু ছবি তুলেছি। অল্প মসলায় মজাদার স্বাস্থ্যসম্মত পোলাও রেসিপি।অল্প মসলায় দিয়েও যে খুব চমৎকার পোলাও রান্না করা যায় সেই বিষয়টি আজ আপনাদের সামনে নিয়ে আসবো।অনেককেই দেখা যায় বেশি মসলা কিংবা তেলের কারণে পোলাও খেতে চান না।আমি সকলের স্বাস্থ্যর কথা চিন্তা করে খুব কম মসলা এবং কম তেল দিয়ে মজাদার পোলাও রান্না করেছি। সেটা কিভাবে করেছি। আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যে পোলাও অনায়াসে সবাই খেতে পারবে।আমাদের বাসায় সবাই পোলাও খেতে খুব পছন্দ করে। বিশেষ করে সিয়াম এবং শিপু। ওরা পোলাও এতটাই পছন্দ করে। যে, তিনবেলা খেতে দিলে কোন সমস্যা থাকবে না।যাই হোক আর কদিন বাদেই শিপুর পরীক্ষা।আপনারা সকলে ওর জন্য দোয়া করবেন।তো চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক আজকের রেসিপি।
উপকরন | পরিমান |
---|---|
পোলাও এর চাল | ১ কেজি |
পেয়াজ | পরিমান মত |
তেজপাতা | ২ টি |
এলাচ | ৪ টি |
লং | পরিমান মত |
লবন | পরিমান মত |
তেল | পরিমান মত |
কাচা মরিচ | ৪ টি |
রসুন | পরিমান মত |
♦প্রথমে চালগুলো ঝেড়ে-বেছে এরপর ভাল করে ধুয়ে পানি গুলো নিংড়ে নেব।
♦এবার একটি রাইস কুকার এর মধ্যে আগে তেল দিয়ে এরপর পেঁয়াজ কাঁচামরিচ এবং সব মসলার উপকরণ গুলো একসাথে দিয়ে ভেজে নেব।
♦পেঁয়াজগুলো বেরেস্তা হওয়ার পরে, একটু পেঁয়াজ তুলে রাখবো। এরপর চালগুলো দিয়ে ভাল করে ভেজে নেব।
♦চালগুলো ভাজা হয়ে গেলে, আগে থেকে গরম করা পানি পরিমাণ মতো দিয়ে দিব।
♦এবার স্বাদমতো লবণ দিয়ে নেরে চেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেবো।
♦কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে হালকা নেড়ে ছেড়ে দেবো।এবং রাইস কুকারের সুইচড অফ করে দেবো।হালকা তাপে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে মজাদার পোলাও।
♦এবার পরিবেশন ডিশে করে পোলাও গুলো ঢেলে নিয়ে, এরপরে বেরেস্তা করা পেঁয়াজগুলো উপর দিয়ে ছিটিয়ে দেব।
বন্ধুরা ঝটপট তৈরি হয়ে গেল মজাদার পোলাও রেসিপি।আপনারা হয়তো দেখতে পেয়েছেন, আমি যেমন মসলাগুলো খুব কম পরিমাণে দিয়েছি। ঠিক তেমনি তেল ও কিন্তু কম পরিমাণে দিয়েছি।তেল এবং মসলা কম করে দেয়ার কারণে এটা হয়ে উঠেছে অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।এবং খেতেও বেশ মজাদার।আমার মেহমানরা পোলাও খেয়ে তো অনেক প্রশংসা করেছে।তো বন্ধুরা যারা মসলাযুক্ত কিংবা তেলযুক্ত পোলাও খেতে অনীহা প্রকাশ করে তাদের জন্য এই রেসিপিটি যথাযথ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
পোলাও আমার খুবই প্রিয়। পোলাওতে নানাবিদ মসলা ব্যবহার না করে আপনার মত এমন সিম্পল ভাবে রান্না করলেই বেশি স্বাধের।ধন্যবাদ ,অতিথি আপ্যায়নের প্রধান খাদ্য শেয়ার করার জন্য।
আসলেই সিম্পল হবে পোলাও টা কিন্তু অনেক স্বাস্থ্যসম্মত।।এমনিতেও মশলাযুক্ত খাবার, এবং তেলযুক্ত খাবার, আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ♥♥
সাদা ঝর ঝরে পোলাও এর গন্ধ শুনলে লোভ লেগে যায়। আপু অল্প মশলায় মেহমানদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পোলাও রান্না করেছেন।আমাদের সবার প্রিয় সিয়াম ভাইয়া ও পোলাও খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। রাইস কুকারে পোলাও খেতে আরও বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক আপু রাইস কুকারে পোলাও রান্না দারুন হয়।♥♥
বাসায় মেহমান আসলে তাদেরকে আপ্যায়ন করার জন্য একটু মজার মজার খাবারের আয়োজন তো করতেই হয়। তবে আপনি মজার খাবার আয়োজন করলেও আমাদের কিন্তু দেখে খাওয়ার প্রতি একটা লোভ জেগে যায় এই যে রাতভর মনের মধ্যে খাই খাই একটা ভাব চলমান থাকবে হা হা।
অনেক লোভনীয় ছিল আপু, শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসলে পোলাও খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। আর আমাদের পরিবারের সকলেই খুব পছন্দ করে।তবে এটা ঠিক লোভনীয় খাবার দেখলে মনটা খাই খাই করে ওঠে।♥♥
আপু আপনি অল্প মসলা দিয়ে পোলাওয়ের দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে পোলাও রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু হয় এবং স্বাস্থ্যসম্মতও হয়। আপনি প্রথমে সবগুলো মশটাকে খুব সুন্দর করে ভেজে নিয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার পোলাওয়ের পরিবেশনের চিত্রটিও বেশ চমৎকার হয়েছে ।দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।♥♥
বাহ অনেক সুন্দর করে পোলাও রেসিপি করেছেন। পোলাও আমার খুব প্রিয় খাবার। দুই দিন আগে আমাদের বাড়িতে মেহমান আসলো আমি পোলাও বানিয়েছি। আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আসলে এভাবে সিম্পল ভাবে পোলাও রান্না করলে, আমাদের বাসায় সবাই তৃপ্তি সহকারে খেতে পারে।♥♥
পোলাও আমার ভীষণ ভালো লাগে, তবে দুপুরে ছাড়া রাতে তেমন খেতে পারিনা। আর একটু অল্প পরিমাণে খেতে পারি। তবে ভালো লাগে পোলাও আর মুরগির রোস্ট একসাথে।
আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম ইনশাআল্লাহ আমরাও তৈরি করতে পারবো।
এই পোলাও রেসিপি টা অনেক সহজ। যে কেউ যখন তখন বানিয়ে ফেলতে পারবে।♥♥
আপনার সাথে আমি একমত মসলা কম পরিমাণে ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো এটি শরীরের জন্য অনেক ভালো।আসলে পোলাও রেসিপি তৈরির প্রতিটি ছবি অনেক ভালো লেগেছে আর রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আপু। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।♥♥
জী আপু আপনি ঠিক বলেছেন প্রায় সময় বেশি মসলা এবং তেলের কারণে আমিও পোলা খেতে চাই না। এক বেলা খেলেও দ্বিতীয় বেলা অসম্ভব। আপনাকে দেখলাম সহজ পদ্ধতিতে খুব সিম্পল ভাবে পোলাওটা রান্না করলেন। লাষ্ট পরিবেশনটাও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।